ম্যাজিস্ট্রেটের অর্থায়ণে রোপণকৃত বৃক্ষ কেটে ফেলল সাবেক সেনা সদস্য
সিরাজগঞ্জ জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মোঃ মাসুদুর রহমানের নিজস্ব অর্থায়নে এক হাজার বৃক্ষরোপণ কর্মসূচির আওতায় রোপণকৃত বৃক্ষ সাবেক সেনা সদস্যের নেতৃত্বে রাতের আধাঁরে কেটে ফেলার অভিযোগ উঠেছে।
সিরাজগঞ্জ-বগুড়া মহাসড়কের পাশে জেলার সদর উপজেলার চন্ডিদাসগাতী কবরস্থানের আশেপাশের ফসলি জমিতে ছায়া পড়ার দোহায় দিয়ে কবরস্থানের ভিতর অনেক গুলো মেহুগুনি গাছ কেটে ফেলা হয়েঠে গভীর রাতে। অনেক যত্ন করে রোপণকৃত গাছ অনেকটাই বেড়ে উঠেছিল। এটি প্রথমবার যে আক্রমণ হয়েছে সেরকম নয়, এর আগেও বৃক্ষরোপণ করার পরের দিনেই নতুন গাছই ইচ্ছে করে কেটেঁ ফেলেছিল প্রায়। কবরস্থান সংশ্লিষ্ট মানুষদের বলে রাখায় তাদের যত্ন গাছগুলো দ্বিতীয় দফায় বেড়ে ওঠার পরে কেটেঁ ফেলার চেষ্টা করলেও পারেনি তারা। তাই কবরস্থানে সুন্দর ভাবেই বেড়ে উঠছিল গাছগুলো। তবে তাদের হিংসা পরায়ণ মনোভাব কমাতে পারেনি। বেশকিছু মাস যাওয়ার পরে রাতের আধারে বড় হওয়া গাছগুলো তারা আক্রমণ করে পুনরায় একদম গোড়াঁতে কোপ মেরে কেটেঁ ফেলেছে।
চন্ডিদাসগাতী এলাকার বাসিন্দা ও ভদ্রঘাট শামছুন মহসীন উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষক ইয়ামিন হোসেন বলেন, ম্যাজিস্ট্রেট মাসুদ স্যারের সাথে আমি নিজেও সাথে থেকে বৃক্ষরোপণ করেছিলাম। যখন যেয়ে দেখলাম দাঁ দিয়ে একদম গোড়ঁ কেটেঁ ফেলা হয়েছে, তখন নিজের কাছে নিজেই লজ্জিত আমি।
এব্যাপারে শিয়ালকোল ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান মোঃ শাহজামাল আকন্দ বলেন, গাছ কাটাঁর বিষয়টি নিয়ে একটি বিচার করে মিটমাট করে দেওয়া হয়েছে। মূলত সাবেক সেনা সদস্য মোঃ আশরাফুলের চাচাঁতো ভাই (মানসিক রোগী) ভুল করে কাজটি করেছিল।
এব্যাপারে অবসর প্রাপ্ত সেনা সদস্য মোঃ আশরাফুল বলেন, আমার নামে আনা অভিযোগ মিথ্যা। আমি এসবের কিছুই জানিনা। তবুও আমি পুনরায় ঐ একই জায়গায় এর চেয়েও বেশি গাছ লাগিয়ে দেব।
তবে ম্যাজিস্ট্রেট মাসুদুর রহমানের দুঃখ প্রকাশ করে জানান, যে বা যারা এই কাজ করেছে তারা যদি স্থানীয় মেম্বারের কাছে ক্ষমাপ্রার্থী হয়ে যে পরিমাণ গাছ কেটেঁছে তার দ্বিগুণ গাছ লাগায় আমি খুশি হবো।
নাজমুল/বার্তাবাজার/এম আই