সাবেক কৃষিমন্ত্রী মতিয়া চৌধুরীর এলাকায় আওয়ামীলীগ প্রার্থীর হার!

সাবেক কৃষিমন্ত্রী মতিয়া চৌধুরীর এলাকায় শেরপুর জেলার নালিতাবাড়ী উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে নৌকার ভরাডুবি হয়েছে। বিদ্রোহী প্রার্থী মোকছেদুর রহমান লেবু (মোটর সাইকেল) প্রতীকে ৪৬৪৭৮ ভোট পেয়ে বেসরকারী ভাবে নির্বাচিত হয়েছেন। নৌকার প্রার্থী হাজী মোশারফ হোসেন পেয়েছেন ২৮০৩৮ ভোট।

এছাড়া আনারস প্রতীক নিয়ে সরকার গোলাম ফারুক ১৯২০০ ভোট । ঘোড়া প্রতীকের প্রার্থী ফজলুর রহমান পেয়েছেন ৩৭৫ ভোট পেয়েছেন। উপজেলার মোট ভোট এক লাখ ৯৭ হাজার ৬২৭। ৭২টি কেন্দ্রের ৫১৭টি বুথের মাধ্যমে ভোটারা ভোট দেন।
২৪ মার্চ রোববার অনুষ্ঠিত তৃতীয় ধাপের নির্বাচনে বিচ্ছিন্ন কিছু ঘটনা ছাড়া সুষ্ঠ ভোট অনুষ্ঠিত হয়েছে। তবে ভোটকেন্দ্র সংঘাত এড়াতে ভোটারের উপস্থিতি ছিলো কম। ২২টি ভোট কেন্দ্র ঘুরে এই চিত্র দেখা গেছে।

কেন্দ্রে ভোটারারের উপস্থিতি সম্পর্কে জানতে চাইলে শতাধিক ভোটার গত দুই দিনের নৌকা ও মোটরসাইকেল প্রার্থীও সমর্থকদেও মাঝে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া ঘটনায় ভয় ভিতি ও সংঘর্ষের কারণে সাধারণ ভোটারের উপস্থিতি কম বলে দাবী করেন। ২২টি ভোট কেন্দ্র ঘুরে দেখা গেছে, ভোট কেন্দ্র গুলোতে ভোটার উপস্থিতি একে বারেই কম। তবে কিছু কেন্দ্রে পুরুষের চেয়ে নারীদের উপস্থিতি বেশি দেখা গেছে। সকালে কালাকুমা সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে নৌকা ও মোটরসাইকেলে প্রার্থীও সমর্থকরা দুই ভাগে বিভক্ত হয়ে সড়কের দুই পাশে অবস্থান করেন। ভোট দিতে কোন ভোটার উপস্থিতি হলেই সমর্থকরা তারা নিজেদেও ভোটারা দাবি কওে কাডাকাড়ি করেন। পওে বিজিবি ও পুলিশের স্টাইকিং ফোস উপস্থিত হয়ে দুই পক্ষকে ধাওয়া দিয়ে সড়ক থেকে সড়িয়ে দেন। পরে ভোটের সুষ্ঠ পরিবেশ সৃষ্টি হয়। রামচন্দ্রকুড়া বেলতৈল কেন্দ্রে ৫টি বুথের মধ্যে ৪টিতে মোটরসাইকেলে কোন এজেন্ট ছিলো না। নৌকার সমর্থকদেও বাঁধার কারণে তারা কেন্দ্রে ঢুকতে পারেনি বলে জানা গেছে। এছাড়া রামচন্দ্রকুড়া প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে নৌকার একজন সমর্থক ভোটারদের ভোট কেন্দ্রে যেতে বাঁধা দেওয়া অভিযোগে নির্বাহী ম্যাজিস্টেট তাকে আটক করেন।

এছাড়া কেন্দ্র গুলোতে প্রার্থীদেও সমর্থকরা ভোটাদেও উপস্থিতি বাড়াতে ভোটকেন্দ্রে নিতে বাড়ি বাড়ি অটোরিকশার নিয়ে হাজির হন। তবে ভোটারদেও উপস্থিতি কম হলেও সারাক্ষণ ভোটারদের আনাগোনা ছিলো ভোট কেন্দ্রে। প্রতিটি কেন্দ্রে পুলিশ,আনসার,বিজিবির সদস্যরা সক্রিয় ছিলেন। চারআলী,গোজাকুড়া,রামচন্দ্রকুড়া,আবদুল খালেক প্রাথমিক বিদ্যালয়,কালাকুমা ভোট কেন্দ্রে হট্ট গোল সৃষ্টি হলে খবর পেয়ে ভ্রাম্যমান ম্যাজিস্টেট,পুলিশের স্টাইকিং ফোস ও সহকারী রিটানিং কর্মকর্তা দ্রুত ঘটনা স্থলে গিয়ে পরিস্থিতি স্বাভাবিক করেন। প্রশাসনের সরব উপস্থিতির কারণে কোন প্রার্থীও পক্ষে ভোটে কোন প্রভাব বিস্তার করতে পারেনি।

সহকারী রিটানিং কর্মকর্তা ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আরিফুর রহমান বার্তা বাজার কে জানান, উপজেলায় বিচ্ছিন্ন কিছু ঘটনা ছাড়া সুষ্ঠ ভোট অনুষ্ঠিত হয়েছে। ভোটারা তাদের পছন্দের প্রার্থীকে ভোট দিতে পেরে আনন্দ প্রকাশ করেছেন।

বার্তা বাজার .কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
এই বিভাগের আরো খবর