কবরস্থানের টাকা জনপ্রতিনিধির পেটে

মানিকগঞ্জের শিবালয় উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান মিরাজ হোসেন লালন ফকিরের বিরুদ্ধে প্রকল্পের অর্থের পরিমান গোপন করে কবরস্থানের নামে বরাদ্দকৃত অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ উঠেছে।
অফিস সুত্রে জানা যায়, ২০২১-২০২২ অর্থ বছরের গ্রামীণ অবকাঠামো সংস্কার (কাবিটা) প্রকল্পের  শিবালয় ইউনিয়ন নবগ্রাম কবরস্থানের মাটি ভরাটের জন্য ১ লক্ষ টাকা উপজেলা পরিষদ থেকে  বরাদ্দ দেওয়া হয়।
এলাকাবাসী বলেন, আমাদের এই গ্রামটা অবহেলিত আগে থেকেই। আমরা সরকারী কোন উন্নয়ন মুলক কাজকর্ম সহজে পাইনা। যাও কিছু পাই তার  অর্ধেকের বেশী সব চোরের দলেরা খাইয়া ফালায়। তারা আরো বলেন,কবরস্থানে নামমাত্র মাটি ফেলে টাকা আত্মসাৎ করেছেন কবরস্থানের  উন্নয়ন কমিটি ও ভাইস-চেয়ারম্যান। এখন অবহেলায় পরে আছে কবরস্থানটি।
নবগ্রাম কবরস্থানের সভাপতি এ কে এম মনোয়ার হোসেন বলেন, প্রায় তিন চার-মাস আগে  ভাইস চেয়ারম্যান আমার  হাতে ৫০ হাজার টাকা তুলে দেয়।  আমরা অল্প কিছু মাটি ফেলতে পেরেছি। পরে মাটির দাম বেড়ে গেলে আর মাটি ফেলতে পারি নাই।
ওই প্রকল্পের  সভাপতি ৮নং ওয়ার্ডের সদস্য মনির বলেন, আমি  ওই প্রকল্পের সভাপতি কিন্তু প্রকল্প দিয়েছেন ভাইস চেয়ারম্যান। তাই  তিনি আমার কাছে থেকে প্রকল্পের  টাকা নিয়ে সে নিজে কবরস্থানের সভাপতির হাতে ৫০ হাজার টাকা  দিয়েছেন।
শিবালয় উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান মিরাজ হোসেন লালন ফকির বলেন, তাদের কাজ এখনো শেষ হয়নি। ২য় কিস্তির ৫০ হাজার টাকা আমাদের উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তার কাছে আছে। কাজ শেষ হলে দেয়া হবে। তিনি পরে নিউজ না করার জন্য এই প্রতিনিধিকে অনুরোধ করে।
উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা সুদেব কৃষ্ণের সাথে মুঠোফোনে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করেও কথা বলা সম্ভব হয়নি।
এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো: জাহিদুর রহমানের কাছে জানতে চাইলে তিনি বার্তা বাজারকে বলেন, বিষয়টি আমার জানা নেই। আমার সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তার নিকট থেকে জানতে হবে। তবে কাজে যদি অনিয়ম থাকে তাহলে প্রয়োজনীয় ব্যাবস্থা নেয়া হবে।

সজল/বার্তাবাজার/এইচ.এম.

বার্তা বাজার .কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
এই বিভাগের আরো খবর