ফরিদপুর-২ আসনের উপনির্বাচনে আ.লীগের মনোনয়ন চান ১৪ প্রার্থী

ফরিদপুর-২ আসনের উপনির্বাচনে জাতীয় সংসদের সাবেক উপনেতা সৈয়দা সাজেদা চৌধুরীর দুইপুত্রসহ, আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় নেতা ও বিভিন্ন স্তরের নেতৃবৃন্দসহ মোট ১৪ জন দলীয় মনোনয়ন চেয়েছেন।

গত ২৯ সেপ্টেম্বর থেকে এ আসনে দলীয় মনোনয়ন প্রত্যাশীদের মনোনয়নপত্র সংগ্রহ ও জমা নেওয়া শুরু হয়। গতকাল শনিবার (১ অক্টোবর) ছিল মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার শেষ তারিখ।

নির্বাচন কমিশনের ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী আগামী ৫ নভেম্বর অনুষ্ঠিত হবে নগরকান্দা, সালথা উপজেলা ও সদরপুর উপজেলার কৃষ্ণপুর ইউনিয়ন নিয়ে গঠিত ফরিদপুর-২ আসনের উপনির্বাচন।

গত ১১ সেপ্টেম্বর এ আসনের সংসদ সদস্য জাতীয় সংসদের উপনেতা আওয়ামী লীগের সভাপতি মন্ডলীর সদস্য সৈয়দা সাজেদা চৌধুরীর মৃত্যুর কারণে শূণ্য ঘোষণা করা হয়।

এরপর থেকে ওই আসনে কে হবেন নৌকার মাঝি, তা নিয়ে নগরকান্দা, সালথা ও কৃষ্ণপুরে ব্যাপক আলোচনা চলে আসছিল। এরমধ্যে অনেক নেতাকে গণসংযোগ করতে দেখা গেছে।

দলীয় মনোনয়ন চেয়ে যারা আবেদন করেছেন তাদের মধ্যে উল্লেখিত ও আলোচিত জায়গায় রয়েছেন প্রয়াত সাজেদা চৌধুরীর দুই পুত্র। তারা হলেন নগরকান্দা উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আয়মন আকবর বাবলু চৌধুরী এবং কনিষ্ঠপুত্র শাহদাব আকবর চৌধুরী লাবু।

এরপর যার মনোনয়ন নিয়ে এলাকাবাসীর মনে বিস্ময়ের সৃষ্টি হয়েছে তিনি হলেন বিপুল ঘোষ। বিপুল ঘোষ জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ছিলেন।

বর্তমানে তিনি আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য। তিনি একাধিক বার সাজেদা চৌধুরীর পক্ষে ওই সংসদীয় আসনে গিয়ে কাজ করেছেন। অন্য যারা দলীয় মনোনয়ন চেয়েছেন তাদের মধ্যে আছেন জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সহ-সভাপতি ও নগরকান্দা উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মনিরুজ্জামান সরদার, ফরিদপুর জেলা শ্রমিকলীগের সাবেক সহ-সভাপতি, সাবেক সংসদ সদস্য সাইফুজ্জামান জুয়েল, নগরকান্দা উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক জামাল হোসেন মিয়া, আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় উপকমিটির সদস্য মেজর (অব.) আতমা হালিম ও সাব্বির হোসেন, বীর মুক্তিযোদ্ধা আবু ইউসুফ মিয়া, আব্দুস সোবহান, বিমান বাহিনীর সাবেক কর্মকর্তা এয়ার কমডোর (অব.) কাজী দেলোয়ার হোসেন, ফরিদপুর জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি হাবিবুর রহমান হাবিব, সাংবাদিক লায়েকুজ্জামান ও কালাচাঁদ চক্রবর্তী।

উল্লেখ্য, গত ১১ সেপ্টেম্বর সৈয়দা সাজেদা চৌধুরী মারা যাওয়ার পর গত ১৩ সেপ্টেম্বর আসনটি শূন্য ঘোষণা করা হয়। এরপর গত ২৬ সেপ্টেম্বর নির্বাচন কমিশন এ আসনে উপনির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করে।

ইভিএম পদ্ধতিতে এ উপনির্বাচনে ভোটগ্রহণ করা হবে। তফসিল অনুযায়ী মানোনয়নপত্র বাছাই করা আগামী ১২ অক্টোবর, প্রার্থীতা প্রত্যাহারের শেষ তারিখ আগামী ১৯ অক্টোবর এবং ভোটগ্রহণ হবে ৫ আগামী নভেম্বর।

বার্তাবাজার/এম.এম

বার্তা বাজার .কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
এই বিভাগের আরো খবর