সারিয়াকান্দিতে কৃষকের জমির মরিচ চারাগাছ নষ্টের অভিযোগ

বগুড়ার সারিয়াকান্দিতে জমিজমা সংক্রান্ত বিরোধের জেরে এক বিঘা জমিতে রোপন করা মরিচের চারাগাছ মেরে ফেলা হয়েছে কারেন্ট বিষ প্রয়োগ করে। ঘটনাটি ঘটেছে উপজেলার বোহাইল ইউনিয়নের লক্ষিখোলা চর এলাকায়।

উপজেলার বোহাইল ইউনিয়নের কোমলপুর গ্রামের মৃত দানেজ উদ্দিনের ছেলে মোঃ আশরাফ আলী তার পৈতৃক সম্পত্তি লক্ষিখোলা মৌজায় সিএস খতিয়ানের ৬৬,৭৫,ও ৭৬ দাগ নম্বরে মোট ৪৩ শতাংশ জমি দির্ঘদিন যাবত ভোগদখল করে আসিতেছে। এক মাস আগে জমিতে রোপণ করেছিলেন মরিচের চারাগাছ।

ভুক্তভোগী জানান, মরিচ গাছ গুলো তরতর করে বেড়ে উঠছিল। এরইমধ্যে নজর পরে শকুনের চোখ। প্রতি হিংসা করে গত ২৮ সেপ্টেম্বর দিন দুপুরে লক্ষিখোলা গ্রামের মৃত সামছুল হক সরকারের তিন ছেলে,মোঃ ইব্রাহিম সরকার, আলী আহমেদ সরকার ও আশরাফ আলী সরকার পুর্ব শত্রুতার জেরে ওই কৃষকের এক বিঘা জমিতে কারেন্ট বিষ প্রয়োগ করেন। আশপাশের মানুষদের বলেছে জমিতে সার ছিটিয়ে গেলাম। একদিন পর কৃষক আশরাফ আলী তার জমিতে গেলে দেখতে পায় মরিচের গাছ গুলো মারা গেছে।

পরে প্রতিবেশিরা তাকে জানায়, গতকাল ইব্রাহিম, আলী আহমেদ ও আশরাফ আলী তারা তিন ভাই এসে মরিচের জমিতে কারেন্ট বিষ ছিটিয়ে গেছে। ফলে এক বিঘা জমির মরিচ গাছ গুলো মারা গেছে।

পরে চন্দনবাইশা পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রে গিয়ে কৃষক আশরাফ আলী বাদি হয়ে, ইব্রাহিম, আলী আহমেদ ও আশরাফ আলী’র নামে অভিযোগ দায়ের করেন।

এঘটনায় বোহাইল ইউপি চেয়ারম্যান আসাদুজ্জামান আসাদ খান কে অবগত করলে তারা সরে জমিনে গিয়ে ঘটনার সত্যতা প্রমাণিত হয়।

অপর দিকে অভিযুক্তদের বড়ভাই আব্দুর রহিম জানান,উল্লেখিত দাগ নম্বরের আমাদের ক্রয়কৃত সম্পত্তি। ৬২ খতিয়ান ১১, আরএস খতিয়ান ৯১ এর ৩২ নম্বর দাগে আলহাজ্ব নুরুল ইসলাম এর কাজে থেকে ৪/১০/২০১১ সালে ক্রয় করা হয়।সকল প্রকার খাজনা খারিজ সম্পন্ন করা হয়েছে।সেই থেকে ৪০ শতাংশ জমি ভোগদখল করে আসিতেছি।

গত বছর থেকে অন্যায় ভাবে জমি জবরদখল করার চেষ্টা করা হলে আদালতে মামলা দায়ের করা হয়েছে।। গত ২৯/৮ /২২ তারিখে বিবাদী গনের বিরুদ্ধে অন্তর্বত্তিকালিন নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে।এবং স্থানীয় ইউপি সদস্য আয়নাল আকন্দ ও গ্রাম পুলিশের মাধ্যমে তাদের কাছে নোটিশ পাঠান ইউপি চেয়ারম্যান আসাদুজ্জামান আসাদ খান।

এর পর জমিতে আমরা মরিচের চারাগাছ রোপণ করি। এরপর থেকে আমরা জমিতে গেলে তারা বিভিন্ন প্রকার হুমকি দেয়।পরে সারিয়াকান্দি থানায় তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করা হলে এসআই নজরুল ইসলাম সরে জমিনে গিয়ে তাদের জমিতে আসতে নিষেধ করা হয়।

অভিযোগের তদন্তকারী পুলিশ অফিসার এসআই শামীম আহমেদ ও বোহাইল ইউপি চেয়ারম্যান আসাদুজ্জামান আসাদ খান পল্লী টিভি কে বলেন, তদন্তে জানা গেছে উল্লেখিত ব্যক্তিরাই প্রতি হিংসা করে মরিচের জমিতে কারেন্ট বিষ প্রয়োগ করে মরিচের গাছ গুলো মেরে ফেলেছে। তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।

বারী/বার্তাবাজার/এম.এম

বার্তা বাজার .কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
এই বিভাগের আরো খবর