মিঠাপুকুরে ক্রয়কৃত সম্পত্তিতে প্রতিপক্ষের হামলা

রংপুর-ঢাকা মহাসড়কের মিঠাপুকুর গড়েরমাথা নামক স্থানে চারলেন রাস্তার পাশেই গত ডিসেম্বর মাসে দলিলমূলে ২৫ শতাংশ জায়গা ক্রয় করেন উপজেলার রশিদপুর মন্ডলপাড়া গ্রামের মমদেল হোসেন মন্ডলের পুত্র,মোঃ রতন মন্ডল।

ক্রয়করা জমিতে সীমানা প্রাচীর নির্মাণের কাজ চলমান অবস্থায়, মঙ্গলবার ২৮ সেপ্টেম্বর সকালে হঠাৎ করে ওই জমিতে অবৈধভাবে প্রবেশ করে উত্তরদিকের নির্মাণাধীন প্রাচীর ভেঙ্গে দেয়ার চেষ্টা করেন দূর্বৃত্তরা। ওই জমিতে থাকা একটি টিনশেড ঘরও ভেঙ্গে ফেলা হয়। নির্মাণ কাজ চলা অবস্থায় উভয় পক্ষের মধ্যে আবারো সংঘাতের সম্ভবনা রয়েছে বলে জানান স্হানীয়রা।

শনিবার (১ অক্টোবর) সরেজমিনে জানাযায়, উপজেলার মিঠাপুকুর ফুলবাড়ী আঞ্চলিক মহাসড়কের প্রবেশদ্বার গড়ের মাথায় রশিদপুর মৌজায় রতন মন্ডলের ২৫ শতক জমি রয়েছে।

ওই জমির পাশে শফিউল আলম নামে এক ব্যক্তির পৈতৃকসুত্রে পাওয়া ২০ শতাংশ জমি ছিলো কিন্তু ফোরলেন রাস্তার কাজে সরকার তার সেই জমিটি অধিগ্রহণ করেন।শফিউলের জমির পূরো ২০ শতাংশ জমি অধিগ্রহণ হলে তিনি রতনের ক্রয়কৃত অন্য একটি জমির তিন শতাংশ জায়গা নিজের বলে দাবি করেন।

এরই সূত্র ধরে রতনের ক্রয়কৃত জায়গাটি দখলের উদ্দেশ্য গত বুধবার শফিউল গং- তার স্বজন ও বহিরাগত লোক দিয়ে আকস্মিকভাবে ওই জমিতে তাদের ৩ শতক জমি রয়েছে বলে দাবি তুলে নির্মাণাধীন প্রাচীর ভেঙ্গে ফেলেন।

এসময় স্হানীয়রা বাঁধা প্রদান করলেও বাঁধা উপেক্ষা করে সেখানে থাকা টিনশেডের একটি ঘর ভেঙ্গে ফেলেন। পরিস্থিতি উত্তপ্ত দেখে কে-বা কাহারা জাতীয় জরুরি সেবা ৯৯৯ ফোন দিলে মিঠাপুকুর থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে তাৎক্ষণিক উপস্থিত হলে দুর্বৃত্তরা সেখান থেকে সটকে পড়েন।

রতন মন্ডল বলেন, আমি জমি কিনে নিয়েছি। আমার বৈধ কাগজপত্র আছে। তাদের কাগজপত্র থাকলে তারা নিয়ে আসুক কিন্তু তারা কোন কাগজপত্র দেখায় না।

এ নিয়ে থানায় একাধিকবার শালিসি বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে। এসময় শফিউল কাগজ দেখাতে ব্যার্থ হয়ে পেশিশক্তির মাধ্যমে লোকজন দিয়ে আমার জমি দখলের চেষ্টা ও বিভিন্নভাবে হয়রানি করছে। আমি প্রশাসনের সহযোগিতা কামনা করছি।

শফিউল আলম বলেন, জমি সংক্রান্ত বিষয়টি নিয়ে রতন মন্ডল আমাকে রাজনৈতিকভাবে হয়রানির চেষ্টা করছেন। সেখানে আমার জমি রয়েছে,আমার একটা ঘরও আছে। জায়গা মাপা হলে আমার জমি আছে কি-না তা জানতে পারবেন!

এ বিষয়ে মিঠাপুকুর থানার ওসি মোস্তাফিজার রহমান বলেন, উভয় পক্ষের অভিযোগের ভিত্তিতে মিমাংসার চেষ্টা করা হয়েছে। তারপরও কারো আপত্তি থাকলে তারা মামলা করতে পারে। এ বিষয়ে আমাদের কোন মন্তব্য নেই।

পলাশ/বার্তাবাজার/এম.এম

বার্তা বাজার .কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
এই বিভাগের আরো খবর