মাদ্রাসায় ঢুকে সহ সুপারের উপর হামলা

পিরোজপুরের সদর উপজেলার নামাযপুর এলাকায় নামাযপুর সাকিনা হামিদ বালিকা দাখিল মাদ্রাসার সহ সুপার কে মাদ্রাসার ভেতরে ঢুকে হামলা চালিয়ে গুরুতর আহত করেছে প্রতিপক্ষ।

শুক্রবার (১অক্টোবর) দুপুরে পূর্ব শত্রুতার জের ধরে নামাযপুর সাকিনা হামিদ বালিকা দাখিল মাদ্রাসার সহ সুপার মো: তৌহিদুল ইসলাম কে মাদ্রাসার ভেতরে ঢুকে এ মামলা চালায় বলে অভিযোগ করেছেন মাদ্রাসার সুপার। আহত সহ সুপারকে উদ্ধার করে জেলা হাসপাতালে নেয় স্থানীয়রা।

মাদ্রসার সহ সুপার তৌহিদুল ইসলাম জানান, নামাযপুর এলাকায় তার পৈত্রিক ৪৪ শতাংশ জমিতে তিন ভাইয়ের শুপারি বাগান থেকে পার্শবর্তী আবু জাফর ও তার লোকজন অন্যায় ভাবে সুপারি নিয়ে নিলে তার প্রতিবাদ করায় আবু জাফর ও তার লোকজন মাদ্রসার ভেতরে দেশিয় অস্ত্র দিয়ে অতর্কিত হামলা চালায়। এতে তার মাথায় আঘাতের ফলে মাথা ফেটে যায় এবং তিনি অজ্ঞান হয়ে গেলে তারা ফেলে রেখে চলে যায়। পরে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে পিরোজপুর জেলা হাসপাতালে ভর্তি করে।

সহ সুপারের স্ত্রী নাসরিন লাকী জানান, আমাদের সুপারি বাগান থেকে অন্যায় ভাবে প্রায়ই সুপারি পেরে নিয়ে যায় শুক্রবার দুপুরে সুপারি নিতে আসলে প্রতিবাদ করলে আবু জাফর ও তার তিন ছেলে খায়রুল ইসলাম, মুন্না, রিয়াজুল, পার্শ মনিরুজ্জামান বেলা, রবিউল সহ ৮/১০ জন মাদ্রাসার ভেতরে গিয়ে সহ সুপারের উপরে হামলা চালায়। তার মাথায় কোপ দেয় এবং এলোপাতাড়ি পিটিয়ে অজ্ঞান করে ফেলে। তিনি জেলা হাসপাতালে চিকিৎসারত আছেন। নানা ভাবে আমাদের হুমকি ধামকী দিয়ে যাচ্ছে যেনো মামলা না করি।

নামাযপুর সাকিনা হামিদ বালিকা দাখিল মাদ্রাসার সুপার আলী আফসার ওহীদ জানান, দির্ঘদিন ধরে আবু জাফর ও তার লোকজন মাদ্রাসার ভেতরে ঢুকে বিভিন্ন ঝামেলা করে আসছিলো। প্রতিবাদ করলে এলাকার বখাটেদের নিয়ে এসে ঝামেলা করে। সহ সুপার তৌহিদুল ইসলাম মাদ্রাসার শিক্ষক তাই তার সুপারি বাগান থেকে সুপারি পেরে নিয়ে যাচ্চিলো তাতে বাধা দিয়ে তাকে মাদ্রাসার ভেরতে এসে বেধরক মারধর করে।

জেলা হাসপাতালের কর্তব্যরত ডাক্তার রমজান আলী জানান, রোগীর মাথায় আঘাতের চিহ্ন রয়েছে সেখানে সেলাই দেয়া হয়েছে। এছাড়াও শরীরের বিভিন্ন জায়গায় আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। ভর্তি রেখে রোগীকে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে।

পিরোজপুর সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আ.জ.ম: মাসুদুজ্জামান মিলু জানান, পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। উভয় পক্ষেরই থানায় অভিযোগ পেয়েছি। এ বিষয়ে আইনগত ব্যবস্থা প্রকৃয়াধীন।

কাফী/বার্তাবাজার/এম.এম

বার্তা বাজার .কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
এই বিভাগের আরো খবর