প্রধানমন্ত্রীর জীবন থেকে বিএনপিকে শিক্ষা নিতে হবে: নৌপ্রতিমন্ত্রী

নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী মন্তব্য করে বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার জীবন থেকে বিএনপিকে শিক্ষা নিতে হবে। বুধবার (২৮ সেপ্টেম্বর) জাতীয় প্রেস ক্লাবে বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোট আয়োজিত আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ৭৬তম জন্মদিন ও বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোটের ৪২তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে এ আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।

তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রীর পরিবার থেকে শিক্ষা নিতে হবে। শেখ রাসেল মায়ের আঁচল থেকে ছুটে গিয়ে যুদ্ধ করেছে। বঙ্গবন্ধু যখন বিদেশে যেতেন সবাই অবাক হয়ে বলতেন, আপনার দুই ছেলে যুদ্ধ করেছে!

সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বলেন, প্রধানমন্ত্রীর জীবন থেকে আমাদের শিক্ষা নিতে হবে। তিনি একজন রাজনীতিবিদের সন্তান হিসেবে রাজনীতিতে এসেছেন। তিনি ছয় দফা দেখেছেন, সে সময় তিনি কঠিন সময় মোকাবিলা করেছেন তার মাকে নিয়ে। তিনি গৃহবন্দি অবস্থায় সজীব ওয়াজেদ জয়কে জন্ম দিয়েছেন। স্বাধীনতার পর মাত্র সাড়ে তিন বছরের মাথায় পরিবারের সব সদস্যকে হারিয়ে ৯ বছর নির্বাসনে ছিলেন। সেই সময় তিনি পুরোপুরি জানতেও পারেননি তার পরিবারের সঙ্গে কী হয়েছে। দেশে আসার পর থেকে ৪২ বছর ধরে তিনি সংগ্রামে লিপ্ত রয়েছেন। বাংলার মানুষের অধিকারের প্রশ্নে কখনো আপস করেননি। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার যে মানুষের প্রতি ভালোবাসা, এ থেকেও আমরা শিক্ষা নিতে পারি।

তিনি বলেন, আজ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ৭৬তম জন্মদিন। এটা আমাদের জন্য অত্যন্ত আনন্দের, উৎসবের দিন। শেখ হাসিনা ১৬ কোটি বাঙালির আশা-ভরসার একমাত্র স্থল। শেখ হাসিনাকে ঘিরেই বাংলাদেশের আগামী স্বপ্ন।

নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রীর ৭৬তম জন্মদিনে আমরা গর্বের সঙ্গে বলতে পারি, মানুষের যে মৌলিক অধিকার তা আমরা দিতে পেরেছি। কিন্তু দেশ স্বাধীন হওয়ার পর দেশের মানুষ মৌলিক অধিকার থেকে বঞ্চিত ছিল।

তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশে বন্যা, খরা, দারিদ্র্যতার নামে পৃথিবীর বিভিন্ন দেশ থেকে যারা অর্থ নিয়ে এসেছেন, পদক নিয়েছেন, শান্তির পদক নিয়েছেন- তারা কিন্তু দেশের দারিদ্র্যতা দূর করতে পারেননি। দারিদ্র্যতা দূর করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। অনেকে অর্থশালী হয়েছেন বাংলাদেশের দারিদ্র্যতাকে বিক্রি করে। কিন্তু দারিদ্র্যতা যায়নি।

খালিদ মাহমুদ চৌধুরী আরও বলেন, বঙ্গবন্ধুর আদর্শ বাস্তবায়ন করতে পারলে বাংলাদেশ শুধু দক্ষিণ এশিয়া নয়, পুরো দুনিয়ার মধ্যে একটি শ্রেষ্ঠ দেশে পরিণত হবে।

বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোট সাংস্কৃতিক অঙ্গনে আরও অবদান রাখবে- এমন আশা প্রকাশ করে প্রতিমন্ত্রী বলেন, বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক কর্মীদের জন্য যে স্বপ্ন দেখেছিলেন তা বাস্তবায়ন করতে গেলে আরও বেশি সাংস্কৃতিক চর্চা করতে হবে। সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ড নিয়েই এ ধরনের সংগঠনগুলোকে এগিয়ে যেতে হবে। বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোট যেন এ কাজটি করতে পারে।

আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন অভিনেত্রী ও আয়োজক সংগঠনের সভাপতি ফাল্গুনী হামিদ। পরে শেখ হাসিনার জন্মদিন উপলক্ষে এক র‌্যালির আয়োজন করা হয়।

বার্তাবাজার/জে আই

বার্তা বাজার .কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
এই বিভাগের আরো খবর