মুন্সিগঞ্জে সংঘর্ষ: বিএনপির ১৫৩ নেতাকর্মীর জামিন মঞ্জুর

মুন্সিগঞ্জে সংঘর্ষের ঘটনায় পুলিশের করা মামলায় বিএনপির ১৫৩ নেতাকর্মীর আগাম জামিন মঞ্জুর করেছেন হাইকোর্ট। বুধবার (২৮ সেপ্টেম্বর) বিকেল ৩টার দিকে হাইকোর্টের বিচারপতি মোস্তফা জামান ইসলাম ও বিচারপতি মো. খায়রুল আলমের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ তাদের জামিন মঞ্জুর করে রায় দেন।

এর আগে সোম ও মঙ্গলবার (২৬ ও ২৭ সেপ্টেম্বর) দুদিনে হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় মুন্সিগঞ্জে সংঘর্ষের ঘটনায় করা মামলায় বিএনপির তিন শতাধিক নেতাকর্মীর আগাম জামিন চেয়ে আবেদন করা হয়।

জামিন আবেদনকারীদের আইনজীবী অ্যাডভোকেট মো. কামাল হোসেন মঙ্গলবার (২৭ সেপ্টেম্বর) জাগো নিউজকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

তিনি জানান, মুন্সিগঞ্জ সদর উপজেলার মুক্তারপুর পুরোনো ফেরিঘাট এলাকায় বিএনপি ও পুলিশের সংঘর্ষের ঘটনায় দুটি পৃথক মামলা হয়। এতে বিএনপি নেতাকর্মীদের আসামি করা হয়েছে। সোম ও মঙ্গলবার দুই দফায় আমরা তিনশতাধিক আসামির আগাম জামিন আবেদন করেছি।

জ্বালানি তেলসহ নিত্যপণ্যের মূল্যবৃদ্ধি এবং ভোলা ও নারায়ণগঞ্জে বিএনপির তিন নেতাকর্মী নিহতের প্রতিবাদে মুন্সিগঞ্জের মুক্তারপুরে বিক্ষোভ কর্মসূচি করে বিএনপি। ওইদিন বিকেল ৩টার দিকে পূর্বনির্ধারিত কর্মসূচিতে যোগ দিতে বিভিন্ন উপজেলা থেকে আসা নেতাকর্মীরা মুক্তারপুর মোড়ে জড়ো হতে থাকেন। পুলিশ বাধা দিলে তারা মুক্তারপুর থেকে ট্রাকে পুরোনো ফেরিঘাট এলাকায় যান।

সেখানে বিভিন্ন এলাকা থেকে ছোট ছোট মিছিল নিয়ে নেতাকর্মীরা আসতে শুরু করেন। এসময় সদর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মিনহাজুল ইসলাম একটি মিছিলের ব্যানার ধরে টান দিলে সংঘর্ষের সূত্রপাত হয়।

এ সংঘর্ষে বেশ কয়েকজন পুলিশ সদস্য ও বিএনপির অর্ধশতাধিক নেতাকর্মী আহত হন। তাদের মধ্যে শহিদুল ইসলাম সাওন নামে যুবদলকর্মী চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান।

গত ২২ সেপ্টেম্বর মুন্সিগঞ্জ সদর উপজেলায় বিএনপি-পুলিশের সংঘর্ষের ঘটনায় দলটির নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে দুটি পৃথক মামলা হয়।

মামলা দুটিতে এক হাজার ৩৬৫ জনকে আসামি করা হয়েছে। এর মধ্যে বিএনপির নেতাকর্মী ও অজ্ঞাতপরিচয় ব্যক্তি আছেন। দুটি মামলায় ২৬ জনকে গ্রেঢতার করে জেলা কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

পুলিশ জানায়, একটি মামলায় মুন্সিগঞ্জ সদর থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মাইনউদ্দিন বাদী হয়ে সরকারি অস্ত্র, গুলি লুট ও মোটরসাইকেল পোড়ানোর অভিযোগে ৩১৩ জনের নাম উল্লেখ করে ও অজ্ঞাতপরিচয় ৭০০ থেকে ৮০০ জনকে আসামি করে মামলা করেন।

এ মামলায় প্রধান আসামি করা হয়েছে জেলা বিএনপির সদস্যসচিব কামরুজ্জামান রতনকে। মামলায় ২৪ জনকে গ্রেফতার দেখিয়ে এরই মধ্যে জেলা কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

বার্তাবাজার/জে আই

বার্তা বাজার .কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
এই বিভাগের আরো খবর