অবশেষে রমেকে চোখ দিলো স্বাস্থ্য অধিদপ্তর; ১৬ কর্মচারী বদলী
অবশেষে রংপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের দিকে চোখ দিলো স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। দীর্ঘদিন সেবার মান- রোগী হয়রানিসহ নানান অভিযোগ উঠে হাসপাতালের কর্মচারীদের বিরুদ্ধে। হাসপাতালটিতে কর্মরত ওয়ার্ডমাষ্টারসহ ষোল কর্মচারীকে বদলীর আদেশ দিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।
মঙ্গলবার (২৭ সেপ্টেম্বর) স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পরিচালক শামিউল ইসলাম স্বাক্ষরিত দুইটি আলাদা প্রজ্ঞাপনে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ১৬ কর্মচারীকে আগামী সাতদিনের মধ্যে বাদলি ও নতুন কর্মস্থলে যোগ দেয়ার আদেশ দেয়া হয়।
দীর্ঘদিন ধরে রংপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে কর্মরত এসকল কর্মচারীকে দেশের বিভিন্ন স্থানে বদলীর আদেশ দেয়া হয়েছে প্রজ্ঞাপনে।
রংপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে কর্মচারীদের সিন্ডিকেটের জালে হাসপাতাল প্রশাসন-চিকিৎসক ও সাধারণ রোগীররা বিভিন্ন সময় ভোগান্তি ও হয়রানির স্বীকার হয়ে আসছে।
সাম্প্রতিক সময় এক ওয়ার্ড বয়ের কাছে হাসপাতালের এক চিকিৎসকের মায়ের চিকিৎসা নিতে এসে হয়রানি হয় তার স্বজনরা। হাসপাতাল পরিচালকের কাছে অতিরিক্ত ফি নিয়ে ভর্তিসহ ও হয়রানির লিখিত অভিযোগ করে ঐ চিকিৎসক। তাৎক্ষণিক বিষয়টি নিয়ে নানা সমালোচনার সৃষ্টি হয়৷
এছাড়াও কিছুদিন আগে ওয়ার্ড মাষ্টার হাসানকে হাসপাতালের মালামাল চুরির সময় হাতে-নাতে আটক করে হাসপাতালের উপ-পরিচালক মোকাদ্দেম হোসেন। ঐ ওয়ার্ড মাষ্টারের বিরুদ্ধে এর আগে হাসপাতালের দুটি এসি চুরির ও অভিযোগ রয়েছে।
এদিকে গতকাল সোমবার (২৬ সেপ্টেম্বর) হাসপাতালে কতিপয় অসাধু চক্রের দৌরাত্ম্যে অনিয়ম, অব্যবস্থাপনা ও জনদূর্ভোগের প্রতিবাদে স্বাস্থ্য সেবা ও শিক্ষার পরিবেশ ফিরিয়ে আনার দাবীতে চিকিৎসকরা।
ঐ মানববন্ধনে খোদ রমেকের অধ্যক্ষ বিমল রায় অসহায়ের মতো অভিযোগ তুলে বলেন চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারীদের কাছে আজ তারাও জিম্মি। দীর্ঘদিন একই প্রতিষ্ঠানে চাকুরী করায় তাদের অনেক বড় একটি সিন্ডিকেট তৈরী হয়েছে যা অনেক শক্তিশালী। হাসপাতালকে বাঁচাতে হলে এই সিন্ডিকেট এর বিরুদ্ধে ব্যবস্থার দাবী করেছিলেন তিনি।
রকি/বার্তাবাজার/জে আই