সিরাজগঞ্জে বাড়ছে চোখ ওঠা রোগী

সিরাজগঞ্জে হঠাৎ করে বাড়ছে চোখ ওঠা রোগীর সংখ্যা। রোগটি ছোঁয়াচে বলে সতর্কতার বিকল্প নেই বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকরা। সোমবার (২৬ সেপ্টেম্বর) সকালে সিরাজগঞ্জ শহরের ডা. এম এ মতিন বিএনএসবি বেজ চক্ষু হাসপাতালের ম্যানেজার এস এম কবির উদ্দিন এ তথ্য নিশ্চিত করেন।

তিনি জানান, ভাইরাসের উপদ্রব বেড়ে যাওয়ায় হাসপাতালে অপারেশন বন্ধ রয়েছে। সেই সঙ্গে বন্ধ রয়েছে ফ্রি চক্ষু ক্যাম্পও। এ রোগে আক্রান্ত সিরাজগঞ্জ পৌরসভার গয়লা গ্রামের তরিকুল ইসলামের ছেলে অষ্টম শ্রেণির শিক্ষার্থী কাউসার (১৩) জানান, তার দু’চোখে হঠাৎ করে লাল হয়ে যায় এবং খচখচ ও ব্যাথা শুরু করে। পরে চক্ষু হাসপাতালে চিকিৎসা নেন। সিরাজগঞ্জ চক্ষু হাসপাতালে এ রোগে চিকিৎসা সেবা নিতে আসা তাড়াশ উপজেলার নওগাঁ ইউনিয়নের দেবিপুর গ্রামের দবির উদ্দিন বিএসসি জানান, তিনি ক’দিন যাবত চোখ নিয়ে অস্বস্তিতে ছিলেন। সে জন্য চক্ষু হাসপাতালে সেবা নিতে এসেছিলেন। পরে চিকিৎসক তাকে ঔষদ ও পরামশ্র দিয়েছেন।

রায়গঞ্জ উপজেলার চাঁদপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক রুবেল আহম্মেদ জানান, উপজেলার বিভিন্ন গ্রামেও এ রোগের প্রভাব ব্যাপক হারে বেড়েছে। হাসপাতালের চিকিৎসক ডা. আব্দুল্লাহ আল-মামুন বলেন, গরম আর বর্ষা মৌসুমে চোখ ওঠার প্রকোপ বাড়ে। একে বলা হয় কনজাংটিভাইটিস বা চোখের আবরণ কনজাংটিভার প্রদাহ। সমস্যাটি চোখ ওঠা নামেই পরিচিত। রোগটি ছোঁয়াচে। ফলে দ্রুত অন্যদের মধ্যে ছড়িয়ে পড়ে। কনজাংটিভাইটিসের লক্ষণ হলো চোখের নিচের অংশ লাল হয়ে যাওয়া, চোখে ব্যথা, খচখচ করা বা অস্বস্তি। প্রথমে এক চোখ আক্রান্ত হয়, তারপর অন্য চোখে ছড়িয়ে পড়ে। ওই হাসপাতালের কনসালট্যান্ট ডা. জাহাঙ্গীর আলম জানান, এ রোগে চোখ থেকে পানি পড়তে থাকে। চোখের নিচের অংশ ফুলে ও লাল হয়ে যায়। চোখ জ্বলে ও চুলকাতে থাকে। আলোয় চোখে আরও অস্বস্তি হয়। কনজাংটিভাইটিস রোগটি আক্রান্ত ব্যক্তির সংস্পর্শ থেকে ছড়ায়। রোগীর ব্যবহার্য রুমাল, তোয়ালে, বালিশ অন্যরা ব্যবহার করলে এতে আক্রান্ত হয়। এ ছাড়া কনজাংটিভাইটিসের জন্য দায়ী ভাইরাস বাতাসের মাধ্যমেও ছড়ায়। আক্রান্ত ব্যক্তির আশপাশে যারা থাকে তারাও এ রোগে আক্রান্ত হয়। সিরাজগঞ্জ শহরের বাসিন্দা শিবলু বলেন, গতকাল হঠাৎ আমি চোখ উঠা রোগে আক্রান্ত হই। পরে আমার পরিবারের আরও একজন সদস্য একই রোগে আক্রান্ত হয়।

এ প্রসঙ্গে সিরাজগঞ্জ সিভিল সার্জন ডা. রামপদ রায় বলেন, এ রোগ প্রতিবছরই দেখা যায়। তবে এটা ছোঁয়াচে রোগ বিধায় নিয়ম মেনে চলাফেলা করতে হবে। ###

মালেক/বার্তাবাজার/জে আই

 

বার্তা বাজার .কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
এই বিভাগের আরো খবর