সম্মেলন করে মনোনয়ন পত্র প্রত্যাহার করলেন আ.লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী মহারাজ

পিরোজপুরে আসন্ন জেলা পরিষদ নির্বাচনে প্রধানমন্ত্রীর সিদ্ধান্তকে সন্মান জানিয়ে সংবাদ সম্মেলন করে আওয়ামী লীগের ‘বিদ্রোহী’ প্রার্থী চেয়ারম্যান পদে প্রার্থিতা প্রত্যাহার করেছেন মহিউদ্দিন মহারাজ। আজ রোববার দুপুরে জেলা আওয়ামীলীগ কার্যালয়ে এক সাংবাদিক সম্মেলনে এ ঘোষনা দেন জেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান ‘বিদ্রোহী’ চেয়ারম্যান প্রার্থী মহিউদ্দিন মহারাজ। তিনি জেলা আওয়ামীলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক হিসেবে দায়িত্বরত আছেন।

সংবাদ সম্মেলনে জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও জেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান মহিউদ্দিন মহারাজ লিখিত বক্তব্যে জানান, বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের সভাপতি ও মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সিদ্ধান্তের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। ২০১৬ সালের নির্বাচনেও তিনি দলীয় মনোনয়ন না পেয়ে বিদ্রোহী প্রার্থী হিসাবে নির্বাচন করে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছিলেন। বিরোধীদল এ নির্বাচনে অংশগ্রহন করেনি সুতারং এই নির্বাচন উন্মুক্ত থাকবে ভেবে তিনি মনোনয়ন দাখিল করেছিলেন। যেহেতু তিনি মনেপ্রানে আওয়ামী লীগ করেন তাই দলের প্রতি এবং দলীয় সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সিদ্ধান্তের প্রতি পূর্ণ আস্থা ও শ্রদ্ধা রেখে দল সমর্থিত প্রার্থী শহীদ পরিবারের সন্তান ৬১ জেলার একমাত্র দলীয় সমর্থিত নারী প্রার্থী সালমা রহমানের প্রতি পূর্ণ সমর্থন জানিয়ে নির্বাচন থেকে প্রার্থিতা প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।

জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও জেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান মহিউদ্দিন মহারাজ আরো বলেন, বিগত নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দি প্রার্থীর চেয়ে বিপুল ভোটে জয়লাভ করেছিলাম এবারের নির্বাচনের আগে ৭৪৭ জন ভোটারের মধ্যে ৭০৫ জন ভোটার আমাকে দলীয় মনোনয়ন দেয়ার জন্য শুপারিশ করেছিলেন। কিন্ত তিনি মনে করেন ব্যাক্তির চেয়ে দল বড় তাই তিনি মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সিদ্ধান্তকে সন্মান করে বিদ্রহী প্রার্থীতা প্রত্যাহার করেছেন। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুকে ভালোবেশে তার প্রিয় সংগঠন বাংলাদেশ আওয়ামীলীগকে ভালোবেশে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সিদ্ধান্তকে সন্মান জানিয়েছেন।

জেলা আওয়ামী লীগ কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন, জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি সাবেক সাংসদ বীর মুক্তিযোদ্ধা এ কে এম এ আউয়াল, সহ সভাপতি পৌর মেয়র হাবিবুর রহমান মালেক, দলীয় সমর্থিত নারী প্রার্থী সালমা রহমান হেপী, জেলা ও উপজেলা আওয়ামী লীগের শতাধিক নেতা কর্মীরা এ সময় উপস্থিত ছিলেন।

এর পরই তিনি জেলা সভাপতি সহ নেতৃবৃন্দকে সাথে নিয়ে জেলা প্রশাসক ও জেলা রিটার্ণিং কর্মকর্তা মোহাম্মদ জাহেদুর রহমানের কাছে মনোনয়ন প্রত্যাহার পত্র জমা দেন। এ ছাড়াও বাকী ২ সতন্ত্র প্রার্থীও তাদের মনোনয়ন পত্র প্রত্যাহার করায় চেয়ারম্যান পদে সালমা রহমান হেপির আর কোন প্রতিদন্দ্বি রইলো না। এছাড়াও সাধারণ সদস্য পুরুষ ২০ জনের মধ্যে ০১ জন মনোনয়ন পত্র প্রত্যাহার করে মোট ১৯ জন রয়েছে। এছাড়াও সংরক্ষিত মহিলা সদস্য ১১ জনের মধ্যে ০১ জন প্রত্যাহার করে ১০ জন সদস্য প্রতিদ্বান্দতা করনবেন। আসন্ন জেলা পরিষদ নির্বাচনে পুরুষ সদস্য মোট ১৯ জন এবং সংরক্ষিত মহিলা সদস্য ১০ জন প্রার্থী প্রতিদ্বান্দতা করবেন।

কাফী/বার্তাবাজার/জে আই

বার্তা বাজার .কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
এই বিভাগের আরো খবর