বশেফমুবিপ্রবিতে ছাত্রলীগের দু’গ্রুপের সংঘর্ষ, আহত ২২

বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বশেফমুবিপ্রবি) ছাত্রলীগের দু’গ্রুপের রাতভর সংঘর্ষ ও মির্জা আজম হলে ভাঙচুরের ঘটনা ঘটেছে।

সোমবার (১৯ সেপ্টেম্বর) দিবাগত মধ্যরাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের মির্জা আজম হলে সামানে বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের আহ্বায়ক কাউছার আহমেদ স্বাধীন ও যুগ্ম আহ্বায়ক এহসানুল হক ইরফান দুই গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। পরে মির্জা আজম হলে ভাঙচুরের ঘটনা ঘটে। এতে দুই পক্ষে থেকে দাবি করেন কমপক্ষে ২২জন আহত হয়েছে।

আহতদের মধ্যে সমাজকর্ম বিভাগের ২য় বর্ষের শিক্ষার্থী শাকিল আহমেদ ও ফিশারিজ বিভাগের চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থী ও বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের যুগ্ন আহবায়ক এহসানুল হক ইরফান জামালপুর সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে।

জানা যায়, সোমবার রাত সাড়ে ১০টা দিকে মির্জা আজম হলের ১০১ রুমে সিনিয়র ও জুনিয়র শিক্ষার্থীর মধ্যে কথা কাটাকাটি শুরু হয়। কথা কাটাকাটির সূত্র ধরে রাত ১২টার দিকে ছাত্রলীগের দুই গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষ শুরু হয়। পুরে ঘটনাস্থলে পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।

বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের আহ্বায়ক কাউছার আহমেদ স্বাধীন বলেন, ‘মির্জা আজম হলে‌ ১০১ রুমে মাদকাসক্ত এক শিক্ষার্থী থাকেন। রাত সাড়ে দশটার দিকে প্রথম বর্ষের এক শিক্ষার্থীর নিচে পানি নিতে গেলে তাকে মাদকাসক্ত শিক্ষার্থী শাকিল আহমেদ প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থী আহাদ হোসেন আকাশকে রুমে ডেকে নিয়ে গাঁজা সেবনের আহ্বান করেন। পরে সেখানে সেবন না করলে তার সাথে খারাপ ব্যবহার করেন এবং তাঁর রুমে বড় ভাইদেরকে নিয়ে বাজে মন্তব্য করলে কথা কাটাকাটি ও ধাক্কাধাক্কি শুরু হয়। আমরা কয়েকজন জামালপুর শহরে ছিলাম এ খবর পেয়ে আমরা ক্যাম্পাসে আসি। পরে সবাই মিলে সমঝোতার চেষ্টা করলে সাদিকুর রহমান, এহসানুল হক ইরফান ও মুস্তাফিজুর রহমান সোহাগের নেতৃত্বে আমাদের উপর হামলা চালায় ও ভাঙচুর করে।

বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের যুগ্ম আহ্বায়ক এহসানুল হক ইরফান বলেন, ‘আমাদের কর্মী শাকিল আহমেদকে প্রথমে মারধর করে। পরে দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ শুরু হয়। এতে আমাদের ৬ জন আহত হয়েছে।

এদিকে আজ সোমবার দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসে বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের আহ্বায়ক কাউছার আহমেদ স্বাধীনের নেতৃত্বে হামলা ও ভাঙচুর প্রতিবাদে বিক্ষোভ সমাবেশ করেন।

মির্জা আজম হলের প্রভোস্ট সাদিকুর রহমান বলেন, ‘রাতে সংঘর্ষের ঘটনা শোনার সাথে সাথেই আমরা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে আসি। এখানে আমাদের থাকার ব্যবস্থা না থাকাই আমরা জামালপুর শহরে থাকি।

বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রেজারার মোহাম্মদ আবদুল মাননান বলেন, ‘মধ্যরাতে সংঘর্ষের ঘটনাটি ঘটে, এ ঘটনায় ৬ সদস্য তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। দুজন আহত শিক্ষার্থী হাসপাতালে ভর্তি রয়েছে আমরা তাদেরকে হাসপাতালে গিয়ে দেখে এসেছি।

ইমরান/বার্তাবাজার/এম আই

বার্তা বাজার .কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
এই বিভাগের আরো খবর