জেল থেকে চোরাই পথে জামিন পাচ্ছে আসামি
একটি সমাজ বা রাষ্ট্রের অন্যতম ভিত্তি হচ্ছে আদালত। সাম্য, সমতা ও ন্যায় বিচার প্রতিষ্ঠায় সংবিধানের অভিভাবকের ভূমিকা পালন করেন আদালত। আস্থা আর ভরসার শেষ জায়গাটিও যখন প্রতারণার কবলে পড়ে, তখন প্রশ্নবিদ্ধ হয় পুরো বিচার ব্যবস্থাও।
একজন বিচারপ্রার্থী ভাবতেই পারেন, তার সঙ্গে অন্যায় করা হয়েছে। তবে জালিয়াতির মাধ্যমে আদালতের আদেশকেও যে বিভ্রান্ত করা যায়, এমন অপরাধের বেশকিছু তথ্য এসেছে। সীমান্তবর্তী জেলা জয়পুরহাটে জালিয়াতির এমন ঘটনা আশঙ্কাজনক হারে বেশি।
পাঁচবিবি থানার রেলস্টেশন এলাকা থেকে ৫৪০ পিস ইয়াবাসহ র্যাবের হাতে আটক হন রুবেল হোসেন ও রাজু নামের দুই মাদক ব্যবসায়ী। মামলায় রুবেলের কাছ থেকে ৩০০ পিস ইয়াবা উদ্ধার দেখানো হয়। কিন্তু বেশিদিন কারাগারে থাকতে হয়নি রুবেলকে। নিম্ন আদালতে ব্যর্থ হলেও উচ্চ আদালত থেকে ঠিকই জামিন নিয়ে বেরিয়ে আসে স্থানীয়ভাবে চিহ্নিত এই মাদক ব্যবসায়ী।
রুবেল হোসেনের এই জামিন নিয়ে রয়েছে ভিন্ন তথ্য। উচ্চ আদালতের জামিন আদেশ অনুযায়ী, তার জামিন আবেদনে মামলার প্রকৃত তথ্য লুকানো হয়েছে। জাল নথি তৈরি করে ৩০০ পিস ইয়াবার জায়গায় যেখানে উদ্ধার দেখানো হয় মাত্র ৪০ পিস। সঙ্গত কারণেই জামিনযোগ্য বিবেচনায় আসামিপক্ষের আবেদনও মঞ্জুর করেন আদালত।
জামিনে বেরিয়ে রুবেল স্বাভাবিক জীবনযাপন করছেন। তার কাছে জিজ্ঞাসা, জালিয়াতির এসব চোরাগলির পথ, তিনি চিনলেন কিভাবে?
রুবেল নিজের কাঁধে দায় না নিলেও প্রশ্ন উঠতে পারে, জামিন জালিয়াতির পেছনে কে বা কারা জড়িত? সূত্র: চ্যানেল টুয়েন্টিফোর
বার্তাবাজার/এম আই