বেঁচে রইলেন শুধু নবদম্পতি

বৌভাতের দাওয়াত খেয়ে প্রাইভেটকারে করে নবদম্পতিকে নিয়ে বাবার বাড়িতে ফিরছিলেন স্বজনরা। পথিমধ্যে উত্তরার জসীমউদ্‌দীন মোড় সংলগ্ন সড়কে বিআরটি প্রকল্পের গার্ডার পড়ে তাদের বহনকারী প্রাইভেটকারের ওপর।

প্রাইভেটকারে সাতআরোহীর মধ্যে শুধু বেঁচে যান বর হৃদয় (২৫) ও নববধূ রিয়া মনি। গত শনিবার (১৩ আগস্ট) বিয়ে হয় তাদের।

প্রাইভেটকারে আরোহীদের মধ্যে ছিলেন হৃদয়ের বাবা রুবেল (৬০), হৃদয়ের শাশুড়ি ফাহিমা (৪০), রিয়া মনির খালা ঝরনা (২৮), ঝরনার দুই সন্তান জান্নাত (৬) ও জাকারিয়া (২)। ঘটনাস্থলেই তাদের মৃত্যু হয়। শুধু বেঁচে গেছেন হৃদয় ও রিয়া। তাদেরগুরুতর অবস্থায় হাসপাতালে নেয়া হয়েছে।

ঘটনাস্থলে উপস্থিত স্বজনেরা জানান, গত শনিবার হৃদয় ও রিয়ার বিয়ে হয়। তারা আজ ছেলের বাড়ি থেকে দাওয়াত খেয়ে মেয়েরবাড়ি যাচ্ছিলেন। হৃদয়ের পরিবার দক্ষিণখান থানার কাওলা আফিল মেম্বারের বাড়ির ভাড়াটিয়া। আর কনে রিয়া মনির বাড়িআশুলিয়ার খেজুরবাগানে আসরাফউদ্দিন চেয়ারম্যান বাড়ি এলাকায়।

হৃদয়ের চাচাতো ভাই রাকিব জানান, বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে তারা দুর্ঘটনার খবর পান। কিন্তু এতো সময় পরও গাড়ি থেকেমরদেহগুলো বের করতে পারেননি উদ্ধারকারীরা। ভেতরে যদি কেউ বেঁচে থেকেও থাকেন তাহলে এতোক্ষণে মারা গেছেন।

রাকিব ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, সরকার কীভাবে এ অব্যবস্থাপনার মধ্যে কাজ করছে? আমরা কার কাছে বিচার দেব! আমাদেরঅন্তত লাশগুলো বের করে দিক। কিন্তু এখানে তো কোনো উন্নত যন্ত্রপাতি নেই।

এর আগে বিকেলে রাজধানীর উত্তরায় নির্মাণাধীন বাস র‌্যাপিড ট্রানজিট (বিআরটি) প্রকল্পের ফ্লাইওভারের একটি গার্ডারক্রেন উল্টে প্রাইভেটকারের ওপর পড়ে। এ সময় হৃদয় ও রিয়া মনিকে উদ্ধার করে উত্তরা ৩ নং সেক্টর ক্রিসেন্ট হাসপাতালেপাঠানো হয়। পরে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী দীর্ঘ প্রচেষ্টার পর গাড়ির মধ্যে আটকে থাকা বাকি পাঁচজনের মৃতদেহ উদ্ধারকরে হাসপাতালে পাঠিয়ে দেয়।

গত ১৫ জুলাই গাজীপুরে একই প্রকল্পের ‘লঞ্চিং গার্ডার’ চাপায় এক নিরাপত্তারক্ষী নিহত হন। এ দুর্ঘটনায় এক শ্রমিক ও একজনপথচারী আহত হন।

তনু/বার্তাবাজার/এম.এম

বার্তা বাজার .কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
এই বিভাগের আরো খবর