কর্ণফুলীর বড়উঠানে খোলা স্যানিটেশনের দূর্ষণে গ্রামবাসীর দুর্ভোগ

চট্টগ্রামের কর্ণফুলীর বড়উঠানের ৮নং ওয়ার্ডের সৈয়দ আহমদের বাড়ির খোলা স্যানিটেশনের দূর্ষণে দুর্ভোগ পোহাচ্ছে গ্রামের ৫ পরিবার। খোলা স্যানিটেশনের দূর্ষণে দুর্ভোগে চলাচলের বিঘ্ন ঘটছে এসব পরিবারের।

এতে করে হুমকির মুখে পড়ছে পরিবেশও। স্বাস্থ্য ঝুঁকিতে রয়েছে মানুষ। পাইপ বা ড্রেনের ব্যবস্থা না করে খোলা স্যানিটেশনের দূগন্ধ ও দূর্ষিত বর্জ্যে কষ্টের শেষ নেই মানুষের। চলাচলের রাস্তা দিয়ে এ ধরণের দূর্ষণ সৃষ্টি করায় ক্ষোভ জানিয়েছেন ঔই এলাকার মানুষ।

রবিবার (১৪ আগষ্ট) দুপুরে বড়উঠান খিলপাড়ার সৈয়দ আহমদের বাড়ির জিয়াউল হকের বসতঘরে সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, ঘরের মধ্যে খোলা স্যানিটেশন ও গবাদি পশুর গোয়াল ঘরের ময়লা পানি ঘরের পাশঘেঁষে চলে যাচ্ছে পূর্বদিকের সড়কে। সড়কটি এ এলাকার ৫ পরিবারের চলাচলের একমাত্র মাধ্যম।

এলাকাবাসীর অভিযোগ, বড়উঠান খিলপাড়ার সৈয়দ আহমদের বাড়ির জিয়াউল হকের বসতঘরে খোলা স্যানিটেশন ও গোয়াল ঘরের বর্জ্যরে পানি চলাচলের রাস্তায় ছেড়ে দেওয়ায় দূর্ষণে দুর্ভোগ পোহাচ্ছে এ এলাকার মানুষ। পাইপ বা ড্রেনের ব্যবস্থা না করে খোলা স্যানিটেশনের দূগন্ধ ও দূর্ষিত বর্জ্যে কষ্টের শেষ নেই মানুষের। চলাচলের রাস্তা দিয়ে এ ধরণের দূর্ষণ সৃষ্টি করায় ক্ষোভ জানিয়েছেন ঔই এলাকার মানুষ।

পাশ্ববর্তী বাসিন্দা তৌহিদুল আলম (২৪) জানান, খোলা স্যানিটেশন ও গোয়াল ঘরের বর্জ্যরে পানিসহ দিনে বা রাতে ছেড়ে দিয়েছে সড়কে। যার কারণে এ বাড়ির ২০ পরিবার এ সড়ক ব্যবহার করতে পারে না। শুক্রবারসহ মসজিদে নামাজ পড়তে যাওয়ার সময়ও এসব দূর্ষিত পানির ওপর দিয়ে হেঁটে যেতে হয়।

আমরা প্রতিবাদ করায় আমার ঘরের পরিবারের সদস্যদের মারধর ও হামলা করে জিয়াউল হক। উল্টা আমাদের বিরুদ্ধে আদালতে মামলাও করেছে তার স্ত্রীকে দিয়ে। এ মিথ্যা মামলায় আমার জেলেও যেতে হয়েছে। তাদের মামলার হয়রানীর ভয়ে এলাকার কেউ প্রতিবাদও করে না।

এবিষয়ে আমরা স্থানীয় চেয়ারম্যানকে জানিয়েছি এবং উপজেলা প্রশাসনের হস্তাক্ষেপ কামনা করছি। স্থানীয় বড়উঠান ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ দিদারুল আলম বলেন, খোলা স্যানিটেশন ও গোয়াল ঘরের বর্জ্যরে পানির কারণে স্থানীয়রা অতিষ্ঠ হয়ে স্থানীয় ভূক্তভোগী এক পরিবারটি আমার পরিষদে জিয়াউল হক নামে এক ব্যক্তির বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ জানিয়েছে। পরিষদে তাকে ডাকা হলেও সে কোনো সাড়া দেন না।

কর্ণফুলী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) পিযুষ কুমার চৌধুরী বলেন, এ বিষয়ে আমাকে কেউ অভিযোগ করেনি। অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

সুমন/বার্তাবাজার/এম.এম

বার্তা বাজার .কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
এই বিভাগের আরো খবর