খাচ্ছি কি কোমল পানীয় না বিষ?

সামাজিক স্ট্যাটাস নিরূপণের মাপকাঠি হিসেবে বিয়ে বা পিকনিকে, ভ্রমণ এমনকি পথে-ঘাটে পারিবারিক বা যেকোনো অনুষ্ঠানে বিভিন্ন ব্রান্ডের কোমল পানীয় হরদম খেয়ে যাচ্ছি। এসব কোমল পানীয় স্বাস্থ্যের জন্য কতটা উপকারী না অপকারী তা জানা সত্ত্বেও আমাদের দৈনন্দিন খাবারের তালিকায় জায়গা করে নিচ্ছে এই পানীয় নামক বিষ।

জানা যায়, কোমল পানীয়ে এন্টি ফ্রিজার হিসাবে মেশানো হয় একটি রাসায়নিক উপাদান। যার নাম ইথিলন গ্রাইকল। ফলে ফ্রিজে দীর্ঘক্ষণ রাখলেও তা বরফ হয় না। এটি  মানবদেহের জন্য স্বল্প মাত্রার আর্সেনিকের মতোই একটি বিষ। এতো জানার পরও কি খাচ্ছি আমরা কোমল পানীয় নামে বিষ খাচ্ছি না তো?

দেখা যায়, ঠাকুরগাঁওয়ের রাণীশংকৈল উপজেলার পৌর শহর, নেকমরদ ও কাতিহার বাজারসহ বিভিন্ন স্থানে রাস্তার পাশের দোকান এমনকি মার্কেটের ভিতরের দোকানের সামনে রয়েছে বিভিন্ন কোম্পানীর পানীয় এর সারিসারি স্তূপ। রোদ কিংবা বৃষ্টি এমনকি ঝড়েও এ পানীয় গুলো এভাবেই রাখা হচ্ছে। যেখানে কোম্পানী কর্তৃক বোতলের গায়ে ২০-২৫ ডিগ্রি সে. তাপমাত্রার নিচে ও শুস্ক স্থানে এবং সরাসরি সূর্যের আলো থেকে দূরে রাখার নির্দেশনা দেওয়া থাকলেও  সেখানে দোকানদার নিয়মনীতির তোয়াক্কা না করে এভাবে দিনের পর দিন উন্মুক্ত স্থানে ফেলে রেখে দেদারসে বিক্রি করে যাচ্ছে বিষ নামীয় এসব পানীয়। এতে করে স্বাস্থ্য ঝুঁকিতে পড়ছে সাধারণ মানুষ এমনটাই জানিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা।

নাম প্রকাশ না করার সত্ত্বে কয়েকজন দোকানদার জানান, ভাই এ সব মাল বাইরে না রাখলে কাস্টমার কিভাবে বুঝবে যে এ দোকানে ঠান্ডা (কোমল পানীয়) আছে। তাই আমরা এসব বাইরে রাখছি।

এ বিষয়ে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক মেডিক্যাল অফিসার ডাঃ ফিরোজ আলম জানান, বিভিন্ন কোম্পানির বিভিন্ন প্রোডাক্ট নির্দিষ্ট তাপমাত্রায় রাখার নিয়ম থাকলেও অনেকে না মানার কারণে তা স্বাস্থ্যের হুমকি স্বরূপ হয়ে দাড়ায়। তাই আমাদের সকলকে এ বিষয়ে সচেতন হওয়া উচিত।

তিনি আরও বলেন, চিনি ও অম্লীয় উপাদান দুটোই প্রচুর পরিমাণে থাকে কার্বোনেইটেড পানীয়তে। দুটোই দাঁতের শত্রু। তাই দাঁতের ক্ষয় ও সুস্বাস্থ্য বজায় রাখতে কোমল পানীয় এড়িয়ে চলতে হবে।

কয়েকজন সচেতন নাগরিক বলেন, আমরা হুজুগে বাঙ্গালী। আসুন হুজুগে বিশ্বাসী না হয়ে স্বাস্থ্য সচেতন হই। তথাকথিত বিভিন্ন কোম্পানির মনমাতানো ও লোভনীয় বিজ্ঞাপনে প্রলুব্ধ হওয়া থেকে বিরত থাকি।

এ বিষয়ে রাণীশংকৈল উপজেলা নিবার্হী কর্মকর্তা সোহেল সুলতান জুলকার নাইন কবীরকে অবগত করা হলে তিনি বলেন, বিষয়টি জানানোর জন্য ধন্যবাদ, এবং এ বিষয়ে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

সবুজ/বার্তাবাজার/এম আই

বার্তা বাজার .কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
এই বিভাগের আরো খবর