‘বঙ্গবন্ধুর রাজনৈতিক সহযোদ্ধা ছিলেন শেখ ফজিলাতুন্নেছা’

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সংগ্রামে তার সহধর্মিণী শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব সহযোদ্ধা হিসেবে সবসময় তাকে সাহস জুগিয়ে গেছেন বলে মন্তব্য করেছেন কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ এফ এম আবদুল মঈন।

সোমবার (৮ আগস্ট) বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিবের ৯২তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে চাঁদপুর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃক আয়োজিত ‘বঙ্গমাতা: এক মহীয়সী নারীর অনন্য দৃষ্টান্ত’ শীর্ষক ওয়েবিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন তিনি।।

উপাচার্য এ এফ এম আবদুল মঈন বলেন, বঙ্গবন্ধু রাজনীতি করার কারণে দীর্ঘদিন জেল, জুলুম ও অত্যাচার সহ্য করেছেন। ১২টি বছর তাঁকে কারাগারে কাটাতে হয়েছে। বঙ্গবন্ধু অন্তরীণ থাকাবস্থায় জানতেন তাঁর পরিবার, সন্তান-সন্ততি দেখভাল করার জন্য বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব রয়েছেন। বঙ্গবন্ধুর রাজনৈতিক সহযোদ্ধা হিসেবে বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব তাঁকে নিরলসভাবে সমর্থন করে গেছেন।

উপাচার্য আরও বলেন, শুধু রাজনৈতিক প্রেরণাই নয়, বঙ্গবন্ধুর লেখালেখির পেছনেও প্রেরণা তিনি জুগিয়েছেন। বঙ্গমাতা জেলগেটে বসে বঙ্গবন্ধুকে বলেছিলেন, “বসেই তো আছ, লেখ তোমার জীবনের কাহিনী” বঙ্গমাতার এই কথায় বঙ্গবন্ধু অনুপ্রাণিত হয়েছিলেন। বঙ্গবন্ধুকে শুধু তিনি লিখতেই বলেননি, তিনি তাঁকে যোগান দিয়েছেন কালি কলম ও মন। এ কারণেই আমরা এখন বঙ্গবন্ধুর জীবনী ও তাঁর রাজনৈতিক সম্পর্কে জানার সুযোগ পাচ্ছি। বঙ্গবন্ধুর সব কাজে এভাবেই সমর্থন যুগিয়ে স্বাধীন বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠার পেছনে বঙ্গমাতার যে অবদান তা কোনোভাবেই আমরা খাটো করে দেখতে পারি না।

অনুষ্ঠানের সভাপতি চাঁদপুর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. মো. নাছিম আখতার বলেন, বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব ছিলেন নির্লোভ, নিরহংকারী এবং উদার মানসিকতার অধিকারী। সহধর্মিণী যদি সাহায্যকারী না হয়, তবে একজন পুরুষ মানুষের জীবনে সফলতা অর্জন করা সম্ভব নয়। বঙ্গবন্ধুর সফলতার নেপথ্যে ছিলেন আমাদের বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব।

তিনি আরও বলেন, বঙ্গবন্ধুর মধ্যে আমরা যেই নির্মোহতা, উদারতা দেখি তার সবটুকুই বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন নেছা মুজিবের মধ্যেও ছিল। বঙ্গবন্ধু যখন মন্ত্রিত্ব পাওয়ার পরও ছেড়ে দিয়ে দলের দায়িত্ব নেন। তখন বঙ্গমাতা পেছন থেকে তাকে মানসিকভাবে সমর্থন দিয়েছেন। প্রত্যেকটি বিষয়ে তার এমন সমর্থনের কারণেই বঙ্গবন্ধু যেই লক্ষ্যে পৌঁছাতে চেয়েছিলেন, সেখানে পৌঁছাতে পেরেছেন।

অনুষ্ঠানে প্রধান আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন রাজশাহী প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. বশির আহমেদ।
ওয়েবিনারটির সঞ্চালনায় ছিলেন চাঁদপুর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিকল্পনা ও উন্নয়ন বিভাগের সেকশন অফিসার মো. মেহেদী হাসান এবং টেকনিক্যাল সহায়তায় ছিলেন সহকারী রেজিস্ট্রার মো. জিয়াউর রহমান।

বাসার/বার্তাবাজার/এম.এম

বার্তা বাজার .কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
এই বিভাগের আরো খবর