নুরুল ইসলামকে মিথ্যাভাবে আসামি করায় এলাকাবাসীর নিন্দা

সিলেট সদর উপজেলার ৩নং খাদিমনগর ইউনিয়নের সাহেবের বাজার এলাকার সাতগাছি গ্রামের হাওরে দু’টি পরিবারের ধান কাটাকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষে নিহত পল্লী চিকিৎসক নিজাম উদ্দিন হত্যার প্রকৃত খুনিদের বিচারের দাবী জানিয়ে বিবৃতি দিয়েছেন এলাকাবাসী। বিবৃতিতে এলাকাবাসী জানিয়েছেন,গত ৯এপ্রিল (শনিবার) পূর্ব বিরোধের জের ধরে সাতগাছি গ্রামের হাওরে ধান কাটতে গিয়ে ভোরবেলা দু’টি পরিবারের লোকদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে।দু’পক্ষের সংঘর্ষেই নিহত হন নিজাম উদ্দিন।

উক্ত ঘটনায় ১১ এপ্রিল এসএমপি’র এয়ারপোর্ট থানায় একটি মামলা দায়ের করেন ডা. আকরাম উদ্দিন ।মামলা নং ৯৯/২২,তার দায়েরকৃত মামলায় একাধিক নিরিহ সাধারণ মানুষকে হয়রানির উদ্দেশ্যে ষড়যন্ত্রমূলক ভাবে আসামি করা হয়েছে,যা এলাকার আপামর সাধারণ মানুষকে ব্যথিত করেছে,সাধারণ মানুষকে আসামি করে হয়রানি না করতে নিহতের পরিবার ও প্রশাসনের কাছে আহবান করেছেন বৃহত্তর সাহেবের বাজার এলাকাবাসী।

তারা আরও বলেন,দীর্ঘ কয়েক বছর ধরে ডা.আকরাম উদ্দিন ও মৃত সোনাফর আলী এর উত্তরসূরিদের মধ্যে জায়গায় জমি নিয়ে বিরোধ চলে আসছে।এ দু’টি পরিবারের দীর্ঘদিনের সমস্যা সমাধানে কয়েকবার সালিশ বৈঠকে বসলেও উভয় পক্ষই মোরব্বিদের দৃষ্টতা দেখিয়েছে।একপক্ষ অপরপক্ষের জমি দখল,পাল্টাপাল্টি দখল করে এলাকায় আইনশৃঙ্খলার অবনতি করার অপচেষ্টা করেছে বার বার ,যা এলাকার সর্বজন অবগত।এরই জের ধরে সাতগাছি গ্রামের হাওরে ধান কাটতে যান ডা.আকরাম উদ্দিন ও তার পক্ষের লোকেরা এবং মৃত সোনাফর আলীর উত্তরসূরিরা।এসময় ধানী জমিতেই একপক্ষ অপরপক্ষকে প্রতিহত করতে ভোর প্রায় সাড়ে ৪টায় রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে।।এ সংঘর্ষে উভয় পক্ষের প্রায় ১৮ জন লোক গুরুতর আহত হয়ে সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা নেন।ঘটনাস্হলেই আকরাম উদ্দিনের পক্ষের লোক তার সহোদর ভাই নিজাম উদ্দিন নিহত হন,যা সকলেই অবগত। পরবর্তীতে অপরপক্ষের লোকজনের মধ্যে প্রবাসী আজিজুল মিয়া মৃত্যুবরণ করেন।এই সংঘর্ষে দু’পক্ষেরই দু’জন লোক নিহত হয়েছে।দু’পক্ষেই দুটি হত্যা মামলা দায়ের করা হয়েছে। যা তদন্তাধীন রয়েছে।

কিন্তু অত্যন্ত দুঃখজনক যে,রহস্য জনক কারণে আকরাম উদ্দিনের দায়েরকৃত মামলায় মানবিক সমাজকর্মী মো.নুরুল ইসলামসহ একাধিক নিরিহ সাধারণ মানুষকে ষড়যন্ত্রমূলক আসামি করে হয়রানি করা হচ্ছে,আমরা এর তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি।অবিলম্বে সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ তদন্তের মাধ্যমে প্রকৃত খুনিদের আইনের আওতায় নিয়ে আসতে এবং নিরিহ মানুষকে হয়রানি না করতে প্রশাসনের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করছি।

এলাকাবাসী বলেন,কার ইন্ধনে সাধারণ মানুষকে আসামি করে এমন হয়রানি করা হচ্ছে,তা বোধগম্য নয়।দুটি’ পরিবারের এমন ন্যাক্কারজনক ঘটনায় যেখানে গোটা এলাকা শোকাহত ।সেখানে নিরপরাধ মানুষকে হয়রানির উদ্দেশ্যে আসামি করে আরও ক্ষতের সৃষ্টি করেছে।প্রকৃত ঘটনা ভিন্নখাতে প্রবাহিত করতেই এমন মিথ্যার আশ্রয় নিয়েছেন মামলার বাদী ডা.আকরাম উদ্দিন।এলাকাবাসী বলেন,ডা.আকরাম উদ্দিনের বাড়ী ও মৃত সোনাফর আলীর উত্তরসূরিদের বাড়ী পাশাপাশি তারা একে অপরের প্রতিবেশী।দু’টি পরিবারের জমি সংক্রান্ত বিরোধের জের ধরে দুটি পরিবারের লোকেরাই সাতসকালে সংঘর্ষে জড়িয়েছে।আহতও হয়েছে দুটি পরিবারের সদস্য ও আত্মীয় স্বজনেরা।ডা.আকরাম উদ্দিন ও মৃত সোনাফর আলীর উত্তরসূরি এ দু’টি পরিবারের মধ্যে জায়গায় জমি নিয়ে দীর্ঘ কয়েক বছর ধরে বিরোধ চলে আসছে।দুটি পরিবার ও তাদের আত্মীয় স্বজনের মারামারির ঘটনায় সাধারণ মানুষকে যেনো হয়রানি না করা হয়।তাই সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ তদন্তের মাধ্যমে প্রকৃত খুনিদের বিচারের আওতায় নিয়ে আসলে পুলিশের প্রতি মানুষের আস্থা,বিশ্বাস ও ভালোবাসা শতভাগ বৃদ্ধি পাবে,নিরীহ মানুষ আইনের সহযোগিতা নিতে পুলিশের দ্বারস্থ হবে,পুলিশের প্রতি মানুষের আস্হা শ্রদ্ধা বাড়বে শতগুণ।এসময় এলাকাবাসী নিজাম উদ্দিন হত্যার প্রকৃত খুনিদের সর্বোচ্চ শাস্তি দাবী করে মরহুমের আত্মার মাগফেরাত কামনা করেন।

সাইফুল/বার্তাবাজার/জে আই

বার্তা বাজার .কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
এই বিভাগের আরো খবর