শিমু হত্যা মামলার প্রতিবেদন দাখিলের নতুন দিন ধার্য করলেন আদালত

ঢাকাই সিনেমার অন্যতম অভিনেত্রী রাইমা ইসলাম শিমু হত্যা মামলার তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের জন্য আগামী (১৮ সেপ্টেম্বর) দিন ধার্য করেছেন আদালত। সোমবার (৮ আগস্ট) ঢাকার সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মেশকাত শুকরানা আদালতে নতুন দিন ধার্য করেন।

এদিকে মামলার তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের দিন ধার্য থাকলেও, তদন্তকারী কর্মকর্তা প্রতিবেদন দাখিল করতে না পারায় আদালত নতুন দিন ধার্য করেন। এর আগে গত ২০ জানুয়ারি ঢাকার চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট (সিজেএম) আদালতে শিমুর স্বামী সাখাওয়াত আলী নোবেল ও নোবেলের বাল্যবন্ধু এস এম ফরহাদকে রিমান্ড চলাকালে হাজির করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা।

এ সময় আসামিরা স্বেচ্ছায় স্বীকারোক্তি দিতে সম্মত হওয়ায়, তা রেকর্ড করার আবেদন করেন। আবেদনের প্রেক্ষিতে ঢাকার চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট সাইফুল ইসলামের আদালতে আসামি নোবেল এবং ঢাকার চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মিশকাত শুকরানার আদালতে আসামি ফরহাদ জবানবন্দি দেন। এরপর তাদের কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন আদালত। তারও আগে ১৮ জানুয়ারি আসামিদের আদালতে হাজির করে পুলিশ।

এই বিষয়টি কেরানীগঞ্জ মডেল থানায় দায়ের করা হত্যা মামলার সুষ্ঠু তদন্তের জন্য আসামিদের ১০ দিনের রিমান্ডে নিতে আবেদন করেন ওই থানার উপপরিদর্শক (এসআই) চুন্নু মিয়া।

অপর দিকে শুনানি শেষে ঢাকার চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট রাবেয়া বেগম তাদের তিন দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। ওইদিন কেরানীগঞ্জ মডেল থানায় নোবেল ও তার বাল্যবন্ধুর বিরুদ্ধে মামলা করেন শিমুর ভাই হারুনুর রশীদ। তাছাড়া মামলায় বেশ কয়েকজনকে অজ্ঞাতনামা আসামি করা হয়।

বিগত ১৭ জানুয়ারি সকাল ১০টার দিকে ঢাকার কেরানীগঞ্জ থেকে অজ্ঞাতনামা হিসেবে চিত্রনায়িকা রাইমা ইসলাম শিমুর (৩৫) বস্তাবন্দি মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। তবে তার পরিচয় মিলছিল না। ওইদিন রাতে তার ফিঙ্গারপ্রিন্ট নিয়ে নাম-পরিচয় শনাক্ত করে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)। স্বামী ও দুই সন্তানকে নিয়ে রাজধানীর কলাবাগান এলাকার বাসায় থাকতেন শিমু।

গত (১৬ জানুয়ারি) সকালে বাসা থেকে বেরিয়ে তিনি আর ফেরেননি। তার মোবাইল ফোনও বন্ধ পাওয়া যায়। এ ঘটনায় রাতেই কলাবাগান থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করা হয়। পরদিন (১৭ জানুয়ারি) কেরানীগঞ্জের হজরতপুর ব্রিজের কাছে আলিয়াপুর এলাকায় রাস্তার পাশ থেকে শিমুর বস্তাবন্দি খণ্ডিত মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।

উল্লেখ্য, ১৯৯৮ সালে সিনেমায় আত্মপ্রকাশ করেছিলেন শিমু। ২০০৪ সাল পর্যন্ত নিয়মিত বড় পর্দায় দেখা গেছে তাকে। গত কয়েক বছর ধরে তিনি নাটকের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। সবশেষ ফ্যামিলি ক্রাইসিস নামে একটি ধারাবাহিক নাটকে কাজ করেছেন।

বার্তাবাজার/এম.এম

বার্তা বাজার .কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
এই বিভাগের আরো খবর