সাতক্ষীরার সুন্দরবন এলাকায় বরফ তৈরী কারখানা নির্মানের অভিযোগ!

শ্যামনগর উপকূলীয় অঞ্চল সুন্দরবন সংলগ্ন এলাকায় অবৈধভাবে বরফ মিল তৈরির অভিযোগ উঠছে। বংশিপুর থেকে মুন্সীগঞ্জ যেতে মুনছুর সরদার গ্যারেজ নামক স্থান এ বরফ মিল তৈরি হতে দেখা গেছে।

সরজমিনে গিয়ে জানাগেছে যে, বংশিপুর সরদার লেদের মালিক সাতক্ষীরার শেখ শাহীনুর রহমান, কালীগঞ্জের মনিরুল ইসলাম, পাটকেলঘাটা পল্লী বিদ্যুৎ অফিসের লাইনম্যান আব্দুস সবুর নাম ৩ জন শেয়ারের মাধ্যম এই বরফ কারখানা তৈরি করছে।

তথ্যনুসন্ধানে জানাগেছে যে, শাহীনুর বংশিপুর বরফমিল তেরী করে। মিল চালুর পর ওভারলোডের কারন বার বার ট্রান্সফরমার নষ্ট হয়ে গেল আব্দুস সবুর শ্যামনগর পল্লী বিদ্যুৎ অফিস লাইনম্যান হিসবে চাকুরীরত অবস্থায় থাকাকালীন শাহীনুরের সাথে পরিচয় হয়। এবং বরফমিলের অতি মনাফার লোভে শাহীনুরের সাথে শেয়ার থাকে। পরবর্তিতে নওয়াবেকীতে পর পর ২টা বরফ মিল তৈরীতে মনিরুলকে শেয়ার করে নেয়।

একুই ব্যক্তি এতোগুলা বরফ মিল সুদরবন সংলগ্ন এলাকায় অবৈধভাব তৈরী করলেও নজর পড়নি পরিবেশ অধিদপ্তরের। দেদারছ বিদ্যুৎ সংযাগ সহযাগীতা করন লাইনম্যান সবুর।

গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদশ সরকার পরিবেশ ও বনমন্ত্রণালয়ের ২০১৬ সালের প্রজ্ঞাপনে সরকার পরিবেশ সংরক্ষণ আইন ১৯৯৫ (সর্বশেষ সংশাধিত ২০১০) অনুসারে বিভিন সময় বাংলাদেশের ১৩টি অঞ্চলক প্রতিবেশ সংকটাপন্ন (ইসিএ) এলাকা হিসেবে ঘোষণা করেন।

উপকূল সুন্দরবন অঞ্চলর ১০ কিঃমিঃ এর মধ্যে কোন মিল কারখানা তৈরি করা যাবে না। প্রজ্ঞাপনের ৬ষ্ঠ কলামে বলা হয়েছে যে, মাটি, পানি, বায়ু এবং শব্দ দূষণকারী শিল্প বা প্রতিষ্ঠান স্থাপন করা যাবে না। সরকারী প্রজ্ঞাপনের নিষেধাজ্ঞাকে অমান্য করে ইচ্ছে মত বরফ কারখানা তৈরি করছে। যত্রতত্র স্থানে এমন ধরনের কারখানা তৈরিতে পরিবেশ নষ্ট হচ্ছে বলে দাবী করেছেন বিশষজ্ঞরা।

মিল মালিক শাহীনুর ইসলাম বলেন, অনেক টাকা লোকশান করে এই মিল তৈরি করছি। আপনারা একটু সহযোগীতা করেন। এই মিল বেশি লাভজনক না। মিলের শেয়ার পল্লী বিদ্যুৎ এর লাইনম্যান আ: সবুর মোবাইল পরিচয় শুনে ফোনটি কেটে দেয়।

সাতক্ষীরা পরিবেশ অধিদপ্তরের কর্মকর্তা সরদার শরিফুল ইসলাম জানান, অবৈধ কারখানা তৈরি করলে তাদের বিরুদ্ধ আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। পল্লীবিদ্যুৎ সংযোগ না দিলে কারখানা গড়ে উঠতে পারতো না বলে দ্বায় এড়িয়ে যান।

পল্লীবিদুতের শ্যামনগর সহকারী জনারেল ম্যানেজার সালাউদ্দীন বলেন, এগুলো পরিবেশ অধিদপ্তর দেখবে। আমরা সংযোগ যেমন দিতে পারি আবার সংযোগ বিছিন্ন করতেও পারি। পরিবেশ অধিদপ্তরের কোন অভিযোগ থাকলে তারা জানালে আমরা অবশ্যই ব্যবস্থা গ্রহণ করবো৷

মীর খায়রুল/বার্তাবাজার/এম.এম

বার্তা বাজার .কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
এই বিভাগের আরো খবর