গোয়াইনঘাটে যুবককে জবাই করে হত্যার ঘটনায় ১২ জন গ্রেফতার

সিলেটের গোয়াইনঘাটে পূর্ব শত্রুতার জের ধরে প্রতিপক্ষের হামলায় শুক্রবার (১৫ জুলাই) রাত আটটার দিকে আব্দুল কাদির নামে এক যুবককে গলা কেটে হত্যা করেছে। পরে সন্ত্রাসীরা নিহত আব্দুল কাদিরের বসতঘরেও অগ্নিসংযোগ করে সব কিছু পুড়িয়ে দিয়েছে।

এ ঘটনায় নারীসহ আরো অন্তত ৭-৮ জন আহত হয়েছেন। নিহত কাদির উপজেলার সদর ইউনিয়নের দক্ষিণ লাবু গ্রামের আব্দুল খালিকের ছেলে।

ঘটনার পরপরই সিলেট জেলা পুলিশ সুপার (অতিরিক্ত ডিআইজি পদোন্নতিপ্রাপ্ত) মোহাম্মদ ফরিদ উদ্দিন পিপিএম ঘটনার সাথে সাথেই জড়িতদের আইনের আওতায় আনার নির্দেশনা প্রদান করেন।

গোয়াইনঘাট থানা পুলিশ অভিযান চালিয়ে ঘটনার সাথে জড়িত ও এজাহারহানামীয় প্রধান আসামি লুৎফুরসহ ১২ জন আসামিকে আটক করে এবং অপরাধের সাথে ব্যবহৃত অস্ত্র জব্দ করা হয়েছে।

গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন- উপজেলার লাবু গ্রামের হাসান রেজা ছেলে লুৎফুর, আতাউর রহমানের ছেলে শাহীন, আবুল খায়েরের ছেলে বেলায়েত হোসেন, সোনা মিয়ার ছেলে কাজী কামাল, আব্দুর রহমানের ছেলে আব্দুন নুর, কুতুব উদ্দিনের ছেলে জসীম উদ্দিন,আব্দুস সোবাহানের ছেলে হাবিবুল্লাহ মিসবাহ , আব্দুস সালামের ছেলে অলিউল্লাহ, আব্বাস উদ্দিনের ছেলে আলী হোসেন ও আলম হোসেন।

গ্রেফতারের বিষয়টি নিশ্চিত করে সিলেট জেলা অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ও মিডিয়া মুখপাত্র মো. লুৎফর রহমান প্রতিবেদককে বলেন, হত্যা ও অগ্নিসংযোগে জড়িত প্রধান আসামীসহ ১২ জনকে গ্রেফতার করেছে গোয়াইনঘাট থানা পুলিশ। লাবু গ্রামে সব ধরনের অপ্রতিকর পরিস্তিতি মোকাবেলায় পুলিশ ও সাদা পোশাকের টিম মাঠে রয়েছে। এ ঘটনার সাথে জড়িতদের দ্রুত সময়ের মধ্যে আইনের আওতায় আনা হবে।

উল্লেখ্য দক্ষিণ লাবু গ্রামবাসীর সাথে ৪ বছর আগের একটি হত্যাকাণ্ডকে কেন্দ্র করে বিরোধ চলছিল নিহত কাদিরের পিতা আব্দুল খালিক ও তার আত্মীয়স্বজনদের।

এনিয়ে কয়েকদিন ধরে উভয়পক্ষে উত্তেজনা বিরাজ করছিল। শুক্রবার রাত ৮টার দিকে পূর্বপরিকল্পিত ভাবে আব্দুল খালিকের বাড়ি আক্রমন করেন গ্রামের লোকজন। তাদের প্রতিরোধ করতে এলে কাদিরের গলায় ছুড়ি চালায় প্রতিপক্ষের লোকজন এবং নিহতের বাড়িতে আগুন ধরিয়ে দেয়া হয়।

হত্যাকান্ডের ঘটনায় থানায় এখন পর্যন্ত কেউ অভিযোগ দায়ের করেনি। গ্রেফতারকৃতদের ৫৪ ধারায় আদালতে সোপর্দ করা হবে জানালে পুলিশের এক উর্দ্ধতন কর্মকর্তা। তিনি আরও জানান,আসামীদের রিমান্ড আবেদন করা হবে। রিমান্ড মঞ্জুর হলে অন্যান্য আসামীদের সনাক্ত করতে সহজ হবে।

তারিকুল/বার্তাবাজার/এম.এম

বার্তা বাজার .কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
এই বিভাগের আরো খবর