আখাউড়ায় সড়ক সংস্কারে অনিয়মের অভিযোগ

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া উপজেলা স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদফতর (এলজিইডি) কর্তৃক রাস্তার সংস্কারে পিচ ঢালাইয়ে অনিয়মের অভিযোগ পাওয়া গেছে। কাজের মান খারাপ হওয়ায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন স্থানীয়রা।

আখাউড়া এলজিইডি অফিস সূত্রে জানা যায়, উপজেলার ধরখার ইউনিয়নের তন্তর বাজার থেকে ছতুরা-চান্দুপুর, রুটি, নূরপুর, ইদিলপুর ঘোলখার হয়ে ধরখার বাসস্ট্যান্ড পর্যন্ত। রাস্তাটি ৯ হাজার ৯শত ৭০ মিটার দৈর্ঘ্য ও চওড়া ৩ দশমিক ৬৬ মিটার। এলজিইডি বিভাগের আওতায় যৌথ ভাবে বাস্তবায়ন করছে মেসার্স মৈত্রী বিল্ডার্স ও মেসার্স নির্মাণ বিল্ডার্স নামে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান।

সড়ক কার্পেটিং কাজে ব্যয় নির্ধারণ করা হয়েছে প্রায় ৭ কোটি ২০ লাখ টাকা। ৯ হাজার ৯৭০ মিটার সড়কের মধ্যে ১৬৩৩ মিটার রিটার্নিং দেওয়াল ধরা আছে।সড়কে আর কার্পেটিং ধরা ৪০ মিলিমিটার।

তবে স্থানীয়রা বলেন ১৬৩৩ মিটার রিটার্নিং দেওয়াল হওয়ার কথা থাকলেও হয়েছে প্রায় ১ হাজার মিটারের মতো। ৪০ মিলিমিটার কার্পেটিং হওয়ার কথা থাকলেও তা কমিয়ে কোথাও ২৪ কোথাও ৩০ মিলিমিটার করে করা হয়েছে। কাজের মান নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন এলাকাবাসী। সেই সঙ্গে পুনরায় কাজ বাস্তবায়নের দাবি তাদের।

এলাকাবাসী জানান, ঠিকাদার এই সড়কের কাজের শুরু থেকেই অনিয়ম করছেন।এলাকার প্রভাবশালী একটি মহল ঠিকাদারের সাথে থাকায় কাজে অনিয়মের বিরুদ্ধে কেউ কথা বলতে সাহস পায়না। সড়কের পুরাতন ইট গুলি সাথে নিম্ন মানের মিঠা ইটের সুরকি দিয়ে তাদের ইচ্ছে মত ম্যাকাডম করেছে।

সড়কের পাশে বিভিন্ন জায়গায় রিটার্নিং দেওয়াল দেওয়ার কথা থাকলেও অনেক জায়গায় বাঁশ দিয়ে মাটি আটকানো হয়েছে। কার্পেটিংয়ের তিনদিন আগে খুব সামান্য পরিমাণে তেল (প্রাইমকোড) দিয়ে রেখেছে যা গাড়ির চাকা ও বৃষ্টিতে চলেগেছে তার উপরেই ঢালাই দেয়া হয়েছে। পাশাপাশি ছোট পাথর দিয়ে সড়কে যে কার্পেটিং দিয়ে যাচ্ছে, তা পা দিয়ে আঁচড় কাটলে উঠে যাচ্ছে। তাই পুনরায় সড়কের কাজ বাস্তবায়ন করা হোক বলে দাবি জানান এলাকাবাসী।

এ বিষয়ে ধরখার ইউনিয়ন এর রুটি নুরপুর এলাকার ঢাকা তিতুমীর কলেজে মাস্টার্স ফাইনাল ইয়ারে অধ্যয়নরত শিক্ষার্থী শাহাদাত হোসেন বলেন, রাস্তাটি মেরামতে ব্যাপক অনিয়মের অভিযোগ রয়েছে। রিটার্নিং ওয়ালের পরিবর্তে কিছু জায়গায় বাঁশের মাচা বব্যহার করা হয়েছে। পিচ ঢালাই এর পূর্বে বিটুমিন অর্থাৎ তৈল কম দেওয়া হচ্ছে । শিডিউল মোতাবেক লকাজ না করার কথা বলেন এই শিক্ষার্তী। আইনমন্ত্রীর এলাকায় এমন অনিয়ম কোন ভাবে মেনে নেওয়া যায় না।

অনিয়মের বিষয়ে এলজিইডি বিভাগের পক্ষ থেকে কাজে দায়িত্বরত ওয়ার্ক অ্যাসিস্ট্যান্ট আব্দুল আজিজ বলেন, আমি যখন থাকি তখন কাজ ঠিক মতো হয়। কাজের অনিয়ম আমার চোখে পড়েনি।

এ বিষয়ে ঠিকাদার মোঃ রেজাউল বলেন, কার্পেটিং যত মি. মি. দেয়ার কথা ততটুকু দিচ্ছি। রিটার্নিং দেওয়াল যে জায়গায় ধরা আছে সেখানেই দিয়েছি। কাজের মান খারাপ হওয়ার অভিযোগ অস্বীকার করে তিনি বলেন, আমাদের কাজ খারাপ হচ্ছে না।

এলজিইডির আখাউড়া উপজেলা প্রকৌশলী আমিনুল ইসলাম বলেন, কাজ খারাপ হওয়ার কথা নয়। সোমবার কাজের সাইড ঘুরে এসেছি।থিকনেস চেক করেছি থিকনেস মোটামুটি ঠিক আছে।অভিযোগ আমরা শুনেছি আমরা সেটা দেখব। নিম্নমানের সামগ্রী ব্যবহারের বিষয়ে বলেন ভালো খারাপ মিক্স থাকে সব সময়,একদম নিম্নমানের সামগ্রী বলা যাবেনা।

পারভেজ/বার্তাবাজার/এ.আর

বার্তা বাজার .কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
এই বিভাগের আরো খবর