দালালের খপ্পরে পড়ে প্রতারিত মালয়েশিয়াগামী পাঁচ যুবক

দালালের সঙ্গে চুক্তি হয়েছিল এক লাখ নব্বই হাজার টাকায়। অগ্রিম ৫০ হাজার, বাকী ১লাখ ৪০ হাজার বিমানে উঠার পূর্বে পরিশোধ করা শর্তে। দালালের গুপ্ত কৌশলকে সহজে বিশ্বাস করে ৩’ই জুলাই ঢাকায় গিয়ে পরদিন বিকাল ৪টায় ফ্লাইট হওয়ার নিমিত্তে চুক্তি মোতাবেক নির্দিষ্ট অঙ্কের টাকা বুঝে নেওয়ার পর দুপুরে তাদের নেওয়া হয় এয়ারপোর্টে।

সেখানে তাদের রেখে মুহূর্তেই আড়াল হয়ে যায় দালাল। ফ্লাইটের নির্দিষ্ট সময় (বিকেল ৪টা) অতিবাহিত হওয়ার পরেও দীর্ঘক্ষণ অপেক্ষা করে দালালের দেখা না পেয়ে যুবকরা বুজতে পারেন যে, তারা প্রতারণার শিকার।

সাথে সাথে বিষয়টি র‍্যপিডঅ্যাকশন ব্যাটালিয়নকে অবহিত করলে তারা নিকটস্থ এয়ারপোর্ট থানার সহায়তা নেওয়ার পরামর্শ দেয়। তবে সেখানেও আইনি সহায়তা না পেয়ে নির্বাক হয়ে পড়েছে তারা ও তাদের স্বজনরা।

ভুক্তভোগীদের পরিবার সূত্রে জানা যায়, ৪ জুলাই’২২ সকালে ঢাকা উত্তরা-দক্ষিণখান থানা এলাকায় নিউ এয়ারপোর্ট রোডস্থ হোটেল জাকের আবাসিক এর ১০৫ নং রুমে ৫’জন মিলে মোট ৭লাখ টাকা সহ সর্বমোট সাড়ে ৯লাখ টাকা দালালকে বুঝিয়ে দেয়। এর আগে ৩’জুলাই ভুক্তভোগীরা দালালের সাথে ঢাকা যায়।

অভিযুক্ত দালালের নাম মো. শহীদুল্লাহ, পিতা মো. শাহদাৎ হোসেন, জাতীয় পরিচয়পত্র নং ১৪৯৬০০৭৩৫০। বাড়ী লামার পার্শ্ববর্তী চকরিয়া উপজেলায়।

জানা গেছে, মূলত দালাল মো. শহীদুল্লাহর চটকদারি কথার খপ্পরে পড়ে আর্থিক সচ্ছলতার জন্য পরিবার ছেড়ে মালয়েশিয়া যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেন এই ৫’যুবক। তারা হলেন- বান্দরবানের লামা পৌরসভা ৯নং ওয়ার্ড হরীনঝিরি গ্রামের বাসিন্দা; সাহ্লাচিং মার্মার ছেলে উচুমং মার্মা, সানি অং মার্মার ছেলে উমানু মার্মা, ধুংচিং মার্মার ছেলে অংসি মার্মা, উমং মার্মার ছেলে মংমেগ্য মার্মা ও নুর মোহাম্মদের ছেলে মো. মামুন।

এদিকে ধারকর্জ করে নেওয়া টাকা আত্মসাত হয়ে যাওয়ার খবর শুনে যুবকদের স্বজনরা হতাশ ও নির্বাক হয়ে পড়েছে। তাদের প্রত্যেকের বাবা দিন মজুর। বিষয়টি সংশ্লিষ্ট আইন প্রয়োগকারী সংস্থার সহযোগিতা কামনা করছেন তারা।

মিজানুর/বার্তাবাজার/এম.এম

বার্তা বাজার .কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
এই বিভাগের আরো খবর