পবিত্র ঈদুল আজহা উপলক্ষে অগ্রিম টিকিট বিক্রির শেষ দিনেও উৎকণ্ঠা যাত্রীদের। টিকিট ঘিরে নানা শঙ্কায় মুহূর্তেই ধৈর্য হারান সাধারণ মানুষ। যদিও আগের দিনের তুলনায় মঙ্গলবার (৫ জুলাই) কমলাপুর রেলস্টেশনে টিকিট প্রত্যাশীদের চাপ ছিল কিছুটা কম। বিক্রি শুরুর দুই ঘণ্টা পার হতেই ফাঁকা হয়ে যায় কাউন্টার।
দীর্ঘ ভোগান্তি শেষে টিকিট হাতে যেমন আনন্দে হেসেছেন যাত্রী, ছিল তার উল্টো চিত্রও।
এদিকে ঈদ যাত্রার প্রথমদিনে প্রায় এক থেকে দেড় ঘণ্টা পর ছেড়েছে সুন্দরবন, নীলসাগর, ধূমকেতু ও অগ্নীবীণাসহ বেশ কয়েকটি ট্রেন। তবে ছিল না যাত্রীদের উপচে পড়া ভিড়। বাকি ট্রেনগুলো ঢাকা ছেড়েছে সময় মতোই।
ভোগান্তি শেষে ঘরমুখো মানুষের উচ্ছ্বাস থাকলেও ক্ষোভ রয়েছে যাত্রার বিলম্ব নিয়ে। দাবি ঈদ যাত্রায় জটিলতা কমাতে স্থায়ী সমাধানের।
কমলাপুর স্টেশন ম্যানেজার জানায়, ট্রেন আসতে দেরি করায় পরে ছেড়েছে। এটা সিডিউল বিপর্যয় নয়।
উল্লেখ্য, আগামী ১০ জুলাই উদযাপিত হবে ঈদুল আজহা। ৯ জুলাই ঈদের শেষ ট্রেন। সে হিসেবে ওই দিনের টিকিট দেয়া হয়েছে মঙ্গলবার।
এছাড়া ফিরতি টিকিট বিক্রি শুরু ৭ জুলাই থেকে। ওইদিন ১১ জুলাইয়ের টিকিট বিক্রি হবে। ৮ জুলাই ১২ জুলাইয়ের টিকিট, ৯ জুলাই দেয়া হবে ১৩ জুলাইয়ের টিকিট, ১১ জুলাই ১৪ এবং ১৫ জুলাইয়ের টিকিট বিক্রি হবে।
এর মধ্যে ১০ জুলাই ঈদ হওয়ায় ১১ জুলাই সীমিতভাবে কয়েকটি আন্তঃনগর ট্রেন চলাচল করবে। তবে ১২ জুলাই থেকে সব ট্রেন চলাচল করবে।
বার্তাবাজার/এ.আর