সিরাজগঞ্জে বিদ্যুৎ বিভ্রান্তির লুকোচুরি, বিপর্যস্ত জনজীবন

সিরাজগঞ্জ জেলা জুড়ে গত এক সপ্তাহ ধরে দফায় দফায় লোডশেডিং এ জনজীবন বিপর্যস্ত। মানুষজন এর স্বাভাবিক ভাবে জীবন যাপন করাই দূর্বিসহ হয়ে গেছে। এই লুকোচুরি খেলার কারণে শিশু ও বৃদ্ধ মানুষজন সবচেয়ে বেশি কষ্টে আছে।

সিরাজগঞ্জ জেলা শহরেই শুধু নয় উপজেলার গ্রামাঞ্চলে যেন এই সমস্যা আরও বেশি ভোগাচ্ছে খেটে খাওয়া মানুষগুলোকে। তিন ঘন্টা বিদ্যুৎ থাকলেও তার পরের দুই ঘন্টা লোডশেডিং। এভাবে দিনরাত ২৪ ঘণ্টা দফায় দফায় লোডশেডিং চলছে সিরাজগঞ্জ জুড়ে।

তাতঁকুঞ্জ সিরাজগঞ্জবাসীর শিল্প উৎপাদন ও ব্যবসা-বাণিজ্যের ওপর চরম প্রভাব ফেলছে এই লোডশেডিং। বিদ্যুতের এমন যাওয়া-আসায় ক্ষোভ ঝরে পড়ছে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে। যে যার মতো নিজের ক্ষোভ ও বুড়ো আঙুল দেখাচ্ছে বিদ্যুৎ ব্যবস্থাপনকে।

সামনেই ঈদুল আজহা উপলক্ষে বেচাঁকেনা করতে গিয়ে ব্যবসায়ীরা চরম বিপাকে পড়ছেন। ডিজিটাল এই দেশের মানুষের প্রায় সবকিছু ডিজিটালি নির্ভর। তবে বিদ্যুৎ না থাকলেই সব বৃথা।

জেলার বিভিন্ন উপজেলায় ঘুরে ঘুরে সাধারণ মানুষের সাথে কথা বলে যানা যায়, তারা কেউ ভালো নেই। প্রচন্ড গরমের রাত্রে ঘুমাতে পারছেন না। একবার বিদ্যুৎ গেলে কমপক্ষে ১ ঘন্টা তার কোনো খবর নেই। আবার আসলেও চলে যাচ্ছে।

বিশেষ করে পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির আওতাধীন এলাকাগুলোর অবস্থা আরও ভয়াবহ। এখানে লোডশেডিং হবে কখন সেটা না ভেবে, মানুষজন ভাবছে বিদ্যুৎ থাকবে কতক্ষণ। বিদ্যুৎ সংকটের কারণে কামারখন্দ, বেলকুচি, শাহজাদপুর, উল্লাপাড়া ও রায়গঞ্জ উপজেলার মাঝারী এবং ক্ষুদ্র শিল্প কারখানাগুলোতে উৎপাদনে বিপর্যয় নেমে এসেছে।

পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি-২ এর সিনিয়র জেনারেল ম্যানেজার অখিল কুমার সাহা জানান, তার সমিতির আওতাধীন ৫ উপজেলায় ৭০ মেগাওয়াট বিদ্যুতের চাহিদা থাকলেও সরবরাহ দেওয়া হচ্ছে মাত্র ৪২ থকে ৪৪ মেগাওয়াট। যা প্রায় ৪০ ভাগ নেই। সে দিক থেকে এভাবে আরও কিছু দিন বিদ্যুৎ থাকবেনা। সমস্যা হবেই।

নাজমুল/বার্তাবাজার/এম আই

বার্তা বাজার .কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
এই বিভাগের আরো খবর