মিঠাপুকুরে জমে উঠেছে কোরবানির পশুর হাট

ধীরে ধীরে জমে উঠছে কুরবানির গরু, ছাগলের হাট প্রতিবারের ন্যায় বছর ঘুরে ঘনিয়ে এসেছে পবিত্র ঈদুল আযহা। এই ঈদকে ঘিরে রংপুরের মিঠাপুকুর উপজেলার বিভিন্ন হাটে-বাজারে প্রচুর গরু ও ছাগল নিয়ে হাটে ভিড় করছে বিক্রেতারা।

রবিবার (০৩ জুলাই) সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, উপজেলার শঠিবাড়ি হাট, বড়বালা ইউনিয়নের ছড়ান হাট সহ কয়েকটি কোরবানির হাট ঘুরে দেখা যায়, ঈদের আর মাত্র কয়েক দিন বাকি থাকলেও তেমন বিক্রি বাড়েনি উপজেলার বিভিন্ন হাটগুলোতে।

হাটের নিজস্ব জায়গা না থাকায়, কয়েকটি ইউনিয়নে কুরবানীর পশুর হাট গুলা বাজারের নিকটতম স্কুলের মাঠে বসেছে, হাট গুলো গ্রামকেন্দ্রিক বিধায়, এখানে অধিকাংশ ষাঁড় দেশি জাতের।

শঠিবাড়ি হাটে গরু বিক্রয় করতে আসা রমজান আলীর সাথে কথা হলে তিনি বলেন, ক্রেতারা তার গরু ৯০-৯৫ হাজার টাকা পযন্ত দাম করতেছে। কিন্তু গরুটি ১লক্ষ ১০ হাজার টাকায় বিক্রয় করতে পারলে তিনি খুশি।
উপরদিকে ছড়ান হাটে গরু বিক্রয় করতে আসা বাদল মিয়ার সাথে কথা বলে জানা যায় , তার গরুটি ক্রেতারা ৭০থেকে ৮০ হাজার টাকা মূল্য করতেছে , তিনি গরুটি ৯০ হাজার টাকা হলে বিক্রয় করবেন।

হাটের আরও বেশকিছু ক্রেতা-বিক্রেতাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, ঈদ আরো কয়েক দিন বাকি আছে, তাই কুরবানির পশুর হাটে পর্যাপ্ত গরু-ছাগল উঠলেও বেচা-কেনা তেমন চোখে পড়ার মত নয়।
হাট ঘুরে আরও জানা যায়, গরু পালন করতে ইদানীং খরচের পরিমাণ অনেক বাড়তি হয়েছে, তাই কম দামে গরু বিক্রি করলে পালনকারীর মুনাফা আসবেনা। কুরবানির পশুর হাটে গরু-ছাগলের দামে অধিকাংশ ক্রেতারা সন্তুষ্ট ।

উপজেলার শঠিবাড়ী হাট , বালারহাট, বৈরাতীহাট, রানীপুকুরের হাট সহ প্রায় সব খানেই জমে উঠেছে কুরবানির পশুর হাট।
ছড়ান হাটের ইজারাদার মোঃ আলমগীর মিয়া বলেন, আজ ছড়ানে কুরবানির পশুর হাটের প্রথম দিন । তাই এখন একটু বিক্রি কমই হবে। আগামী হাটগুলো থেকে আশা করছি পর্যাপ্ত গরু বিক্রি হবে। এখনো ঈদের কয়েকদিন বাকি আছে। বিক্রির মূল সময় এখনো আসেনি।

পলাশ/বার্তাবাজার/জে আই

বার্তা বাজার .কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
এই বিভাগের আরো খবর