ঘুষ দিয়ে মামলা জিততে চেয়েছিলেন ড. ইউনূস

ঘুষ দিয়ে মামলা জিততে চেয়েছিলেন ড. মুহাম্মদ ইউনূস। বিচারকাজকে প্রভাবিত করতে ১৪ কোটি টাকা দেন লবিস্ট ফার্মকে। এমনকি দফায় দফায় বিপক্ষের আইনজীবীকে দিয়েছিলেন ঘুষ নেয়ার প্রস্তাব। রোববার (৩ জুলাই) সুপ্রিম কোর্ট প্রাঙ্গণে সাংবাদিকদের এ কথা জানান গ্রামীণ টেলিকমের চাকরিচ্যুত শ্রমিকদের আইনজীবী মো. ইউসুফ আলী।

এদিকে, দুদক আইনজীবী বলছেন, ঘুষ দিয়ে বিচারকাজকে প্রভাবিত করার চেষ্টা ফৌজদারি অপরাধ। ড. ইউনূস প্রভাবশালী হলেও আইনের ঊর্ধ্বে নন।

সুনির্দিষ্ট কোনো কারণ ছাড়াই খামখেয়ালিপনায় মাত্র এক নোটিশে ৯৯ জন শ্রমিককে চাকরিচ্যুত করে ড. ইউনূসের গ্রামীণ টেলিকম। একইভাবে ২০২০ সালের বিভিন্ন সময়ে প্রতিষ্ঠানটির মোট ১৬৭ জন শ্রমিককে ছাঁটাই করা হয়। ন্যায়বিচার পেতে হতদরিদ্র এসব শ্রমিক দ্বারস্থ হন আদালতের।

কিন্তু আইনি লড়াইয়েও শঠতার আশ্রয় নেয় ড. মুহাম্মদ ইউনূসের প্রতিষ্ঠান। মামলা জিততে ঘুষের অফার করা হয় বিচার সংশ্লিষ্টদের। যেকোনো মূল্যে মামলা জিততে ১৪ কোটি টাকা খরচ করা হয় লবিস্ট ফার্মের পেছনে। যাদের কাজ ছিল প্রতিপক্ষ উকিল ও বিচার সংশ্লিষ্টদের ঘুষ নিতে রাজি করানো।

গ্রামীণ টেলিকমের চাকরিচ্যুত শ্রমিকদের আইনজীবী মো. ইউসুফ আলী বলেন, ড. মুহাম্মদ ইউনূস এতদিন ঘুষ দেয়ার জন্য বহু চেষ্টা করেছেন। তিনি লেবার কোর্টের রায় তার পক্ষে আনার জন্য দালাল ঠিক করেছেন ১৪ কোটি টাকায়। মামলা জেতার জন্য তিনি তো বহু ঘুষ দিয়েছেন।

এ আইনজীবী আরও জানান, ন্যায়বিচার চেয়ে শ্রমিকদের করা সব কটি মামলাই ঘুষ দিয়ে জিততে চেয়েছিলেন ড. মুহাম্মদ ইউনূস। তবে নিজে কোনো ধরনের অনৈতিক সুবিধা নেয়ার কথা অস্বীকার করেন।

তিনি বলেন, ‘আমার বিরুদ্ধে আনা কোনো অভিযোগই সত্য নয়। এটার তো ডকুমেন্টারি অ্যাভিডেন্স আছে। এটা তো আমি বারবার বলছি। আমার ফিস (মজুরি) পরিশোধিত হয়েছে অ্যাকাউন্ট-পে চেকের মাধ্যমে।’

এদিকে, ঘুষ কিংবা নিজের প্রভাব খাটিয়ে বিচারকাজকে প্রভাবিত করার চেষ্টাকে ফৌজদারি অপরাধ বলে জানান দুদক আইনজীবী খুরশিদ আলম খান।

তিনি বলেন, অবশ্যই এটা ফৌজদারি অপরাধ এবং যদি মিস কন্ট্রাক করে থাকে, তাহলে অবশ্যই এটা ফৌজদারি অপরাধ। কেউ তো আইনের ঊর্ধ্বে নয়। প্রভাবশালী হলেও ঘুষ দিয়ে মামলা জিততে ড. ইউনূসের চেষ্টা প্রমাণিত হলে তার বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নিতে কোনো বাধা নেই বলেও জানান দুদক আইনজীবী।

বার্তাবাজার/জে আই

বার্তা বাজার .কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
এই বিভাগের আরো খবর