রায়পুরায় কোরবানির পশুর হাট মাতাবে বাহুবলী

নরসিংদীর রায়পুরায় কোরবানির পশুর হাট মাতাবে ১৮ মণ ওজনের বাহুবলী। উপজেলার মির্জাপুর ইউনিয়নের ১ নং ওয়ার্ড মাহমুদাবাদ মিটাবন হাটি গ্রামের চাঁন মিয়ার বাড়িতে মিলবে এই বাহুবলীর দেখা।

স্থানীয় বিভিন্ন খামার ও কৃষকদের বাড়িতে ঘুরে এখন পর্যন্ত যে কয়েকটি বড় ষাঁড়ের দেখা মিলে তার মধ্যে বাহুবলী অন্যতম। বৃদ্ধ চাঁন মিয়ার দুই ছেলে রাশেদ ও সৈকত দুই বছর যাবৎ লালন পালন করছেন বাহুবলীর। বাহুবলীর বর্তমান বয়স প্রায় চার বছর। দাঁত পরেছে ছয়টি।

কৃষক রাশেদ জানান, দেড় বছর বয়সে শাহীওয়াল জাতের ষাঁড়টি কিনে আনেন তাদের বাবা চাঁন মিয়া। সম্পূর্ণ প্রাকৃতিক খাবার ও ছোলা, ভূষি খাইয়ে ষাড়টিকে বড় করা হয়েছে।গত কোরবানী ঈদে দাম উঠেছিল আড়াই লাখ টাকা। কিন্তু বাবার ইচ্ছে ষাঁড়টিকে আরো বড় করে বিক্রি করবে। তাই গত ঈদে আর বিক্রি করা হয়নি। ছোট ভাই সৈকত সারাক্ষণ দেখাশুনা করে।

বাহুবলী নাম কেন রাখা হয়েছে এমন প্রশ্নের জবাবে সৈকত বলেন, বাহুবলী সিনেমায় একটি ষাড়ের দৃশ্য ছিল। খুব তাজ আর শক্তিশালী ষাঁড়। তার অনুকরণে আমাদের ষাড়ের নাম রেখেছি বাহুবলী।

চাঁন মিয়ার ছেলে রাশেদ জানান, স্থানীয় কসাইয়ের মাধ্যমে বাহুবলীর ওজন অনুমান করা হয়েছে ১৮-২০ মণ এর মধ্যে। ১৮ মণ এর কম হবে না। এর দৈর্ঘ্য ৯ ফুটের বেশি আর উচ্চতা ৫ ফুট। এখন পর্যন্ত বাজারে উঠানো হয়নি।বাড়িতে পাইকাররা আসেন। পাঁচ লাখ পর্যন্ত দাম উঠেছে।আামাদের ইচ্ছে সাত লাখ টাকা হলে বিক্রি করব বাহুবলীকে।

উপজেলা ভেটেরিনারি সার্জন মিরাজ হোসেন বলেন, পশুর হাঁটে আমাদের মেডিক্যাল টিম থাকবে। আমরা বাজার থেকে তথ্য সংগ্রহ করছি সর্বোচ্চ কত ওজনের পশু হাঁটে উঠানো হয়। তবে সত্যিকার অর্থে যদি বাহুবলীর ওজন ১৮ মণ হয় তবে এখন পর্যন্ত স্থানীয় পশুর মধ্যে এটিই সর্বোচ্চ ওজন। পরবর্তীতে বাজার ঘুরে জানা যাবে আরো বড় পশু হাঁটে উঠানো হয় কিনা।

রেজাউল/বার্তাবাজার/এম আই

বার্তা বাজার .কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
এই বিভাগের আরো খবর