গাইবান্ধায় সংবাদ সম্মেলন আ.লীগের ভাবমূর্তি বিনষ্টের অভিযোগে পত্রিকায় অগ্নিসংযোগ

গাইবান্ধার বিভিন্ন উপজেলা ও পৌর আওয়ামী লীগের কমিটি গঠন নিয়ে ঢাকা থেকে প্রকাশিত দৈনিক ভোরের পাতা পত্রিকায় সংবাদ প্রকাশ করায় বিক্ষুব্ধ আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীরা পত্রিকাটিতে অগ্নিসংযোগ করেছে।

রবিবার (৩ জুলাই) বিকেলে জেলা শহরের কাচারী বাজার মোড়ে নেতাকর্মীরা সমবেত হয়ে বিক্ষোভ প্রদর্শন করে। এর আগে তারা গাইবান্ধা প্রেসক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে বিষয়টির প্রতিবাদ ও তীব্র নিন্দা জানান।

সংবাদ সম্মেলনে জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আবু বকর সিদ্দিকের নেতৃত্বে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক
মৃদুল মোস্তাফিজ ঝন্টু। এসময় জেলা, সাত উপজেলা ও এক পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের মধ্যে বক্তব্য দেন রেজাউল করিম রেজা, আব্দুল লতিফ প্রধান, মোকাদ্দেস আলী বাদু, আশরাফুল সরকার আলম লেবু, জিএম সেলিম পারভেজ, অ্যাড. সামসীল আরেফিন টিটু, নাসিরুল আলম স্বপন, অধ্যাপক
সামিকুল ইসলাম লিপন, মো. তৌহিদুল ইসলাম, অধ্যাপক আব্দুল জলিল, শহিদুল্লাহিল কবির ফারুক, ওমর ফারুক রুবেল, কামাল হোসেন, পিয়ারুল ইসলাম, রণজিত বকসী সূর্য্য, সাইফুল আলম সাকা, তানজিমুল ইসলাম জামিল প্রমুখ।

সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে উল্লেখ করা হয়, ভোরের পাতা পত্রিকায় প্রকাশিত সংবাদে বিএনপি ও জামায়াত পন্থী অনুপ্রবেশকারীদের অর্থের বিনিময়ে দলে বিভিন্ন পদে পদায়ন করা হয়েছে, যা আদৌও সত্য নয়। গাইবান্ধার বর্তমান ৭টি উপজেলা ও পৌর কমিটিতে কোন অনুপ্রবেশকারী নেই বা আর্থিক লেনদেনের কোন সম্পৃকতা নেই। যে কোন সময়ের চেয়ে আওয়ামী লীগ জেলা ও উপজেলা সুসংগঠিত। আগামী দিনে বিরোধী দলের যে কোন চ্যালেঞ্জ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসনার নেতৃত্বে মোকাবেলার জন্য প্রস্তুত রয়েছে। আওয়ামী লীগ কেন্দ্রীয় কমিটির সাখাওয়াত হোসেন শফিকের জনপ্রিয়তায় ঈর্ষান্বিত হয়ে একটি কুচক্রি মহল ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হয়ে বিভিন্ন পত্রপত্রিকায় সংবাদ পরিবেশ করে আওয়ামী লীগের ভাবমুর্তি নষ্ট করার পায়তারায় লিপ্ত রয়েছে।

সংবাদ সম্মেলনে আরও উল্লেখ করা হয়, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ গাইবান্ধা জেলা শাখা ৭টি উপজেলা, ৩টি পৌরসভার কমিটির কার্যক্রম গতিশীল যে কোন সময়ের চেয়ে আগামী দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে গাইবান্ধার ৫টি আসনেই নৌকার প্রার্থীকে বিজয়ের লক্ষ্যে জেলা আওয়ামী লীগ ও ৭টি উপজেলা কমিটি কাজ করে যাচ্ছে। সংবাদ সম্মেলন থেকে ভোরের পাতা পত্রিকার ওই প্রতিবেদকের অপসারণ দাবি করা হয়। তা না হলে গাইবান্ধায় ভোরের পাতা পত্রিকা অবাঞ্ছিত ঘোষণা করা হবে বলে নেতৃবৃন্দ উল্লেখ করেন।

সুমন/বার্তাবাজার/এম আই

বার্তা বাজার .কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
এই বিভাগের আরো খবর