‘মিথ্যা মামলা’ দিয়ে হয়রানির অভিযোগ বিএনপি নেতার বিরুদ্ধে

পটুয়াখালীর মহিপুরের সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান খলিলুর রহমানের ছেলে ও ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক সজীব হাওলাদারের নেতৃত্বে মিথ্যা মামলা দিয়ে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের হয়রানির অভিযোগ পাওয়া গেছে।

জানা গেছে, গত ২৮ জুন সন্ধ্যার সময় মহিপুর ওয়াপদা কলোনি মসজীদের সামনে মুখোশধারী দুর্বৃত্তের হামলায় মহিপুর গ্রামের বিএনপি কর্মী খলিলুর রহমান (৫৫) ও আলাউদ্দিন (৬০) আহত হন।

আহতদের উদ্ধার করে স্থানীয়রা বরিশাল শের ই বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করে। আহত খলিলের ২টি পা ভেঙ্গে দেয় দূর্বৃত্তরা। বর্তমানে উভয়ই বরিশাল শের ই বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি আছেন।

পরে মঙ্গলবার রাতেই খলিলের স্ত্রী বাদি হয়ে ১০ জনকে ৩/৪ জনকে অজ্ঞাত আসামী দিয়ে মহিপুর থানায় একটি মামলা দায়ের করে।

আহত খলিলের স্ত্রী বলেন, জায়গা জমি নিয়ে ইউপি সদস্য মামুন হাওলাদারের সাথে তাদের দীর্ঘদিনের বিরোধ আর এই বিরোধের জের ধরেই তার স্বামীর উপরে হামলা চালানো হয়েছে।

তবে মামলায় ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক সজীব হাওলাদারের প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ ইন্ধনে মহিপুরের ইউপি সদস্য মামুন হাওলাদার, মহিপুর ইউনিয়ন শ্রমিক লীগের সভাপতি আব্দুস ছত্তার, সাধারণ সম্পাদক মাসুম হাওলাদার এবং আরো অনেক আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের নির্দেশে রাজনৈতিক প্রতিহিংসার কারণে ফাঁসানো হয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।

মামলায় প্রধান অভিযুক্ত ইউপি সদস্য মামুন হাওলাদারের স্ত্রী বলেন, ঘটনার সময় আমার স্বামী আমাদের গ্রামের বাড়িতে ছিলেন। তবে ইউনিয়ন বিএপনির সাধারন সম্পাদকের নেতৃত্বে দীর্ঘদিন ধরে তাদের একনিষ্ঠ কর্মী খলিল বিভিন্ন ভাবে তাদের হয়রানি করে আসছিল। হয়রানির ঘটনা বরাবরই তারা থানা পুলিশকে অবগত করেছেন।

এই ঘটনার সাথে তার স্বামীর কোন সম্পৃক্ততা নেই বলে দাবি তার এবং তাকে রাজনৈতিক ভাবে হয়রানি করার জন্য ফাঁসানো হয়েছে বলে জানান তিনি।

মহিপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুল মালেক আকন বলেন, এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে মহিপুরের বিএনপির নেতাদের ইন্ধনে আমাদের দলের সামনের শাড়িতে থাকা নেতাকর্মীদের মিথ্যা মামলায় ফাঁসানো হয়েছে এবং তাদের হয়রানি করা হচ্ছে।

এসময় তিনি আরো বলেন, ঘটনার এঘটার সাথে যারা প্রকৃতভাবে জড়িত তাদের খুজে বের করে আইনের আওতায় আনা হোক।

মহিপুর থানার অফিসার ইনচার্জ খোন্দকার মো: আবুল খায়ের বলেন, মামলা হয়েছে ইতিপূর্বে আমরা ১ জনকে গ্রেফতার করে আদালতে প্রেরণ করেছি। বাকিদের ও আইনের আওতায় আনার চেষ্টা চলছে।

প্রতিপক্ষকে ফাঁসানোর অভিযোগের প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, তদন্ত হচ্ছে তবে কেউ কাউকে মিথ্যে ভাবে ফাঁসাতে পারবে না। পুরো ঘটনাই পুলিশ খতিয়ে দেখছে। প্রকৃত দোষীদেরই আইনের আওতায় আনা হবে।

মহিবুল্লাহ/বার্তাবাজার/এ.আর

বার্তা বাজার .কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
এই বিভাগের আরো খবর