রাজবাড়ীতে কোরবানির হাট মাতাবে ৩৫ মণের রাজাবাবু

আসন্ন পবিত্র ঈদুল আযহা সামনে রেখে রাজবাড়ীর গোয়ালন্দে কোরবানির জন্য সাড়ে ৫ফুট উচ্চতা ও ১০ফুট লম্বা সাদা কালো রঙ্গের ৩৫ মণ ওজনের একটি হলস্ট্যান ফ্রিজিয়ান জাতের ষাঁড় প্রস্তুত করেছেন রাজবাড়ীর গোয়ালন্দ উপজেলার খামারী ফজলু মন্ডল। ভালবেসে এর নাম রেখেছেন রাজবাড়ীর রাজাবাবু। যা এবার রাজবাড়ীর কোরবানির হাট মাতাতে প্রস্তুত।

গোয়ালন্দ উপজেলা প্রাণি সম্পদ কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, এবার ঈদুল আযহা উপলক্ষে উপজেলায় ২০২৩টি গরু, ১৩২৫টি ছাগল এবং ৯৩টি ভেড়াসহ মোট ৩৪৪১টি গবাদি পশু ও প্রাণী প্রস্তুত করা হয়েছে।

খামারী ফজলু মন্ডল বলেন, হলস্ট্যান ফ্রিজিয়ান জাতের ষাঁড়টি ২০১৮ সালের মাঝামাঝিতে রাজবাড়ীর সোনাপুর থেকে কিনে আনেন। ষাঁড়টির গায়ের রং সাদা-কালোর মিশ্রণ হওয়ায় ভালবেসে নাম রাখেন রাজাবাবু। সাড়ে ৫ ফুট উচ্চতা ও ১০ফুট লম্বা ৩৫ মণ অর্থাৎ ১ হাজার ৪‘শ কেজি ওজনের এই ষাড়টিকে শুরু থেকেই উপজেলা প্রাণী সম্পদ কার্যালয়ের পরামর্শে কোনো ক্ষতিকর ওষুধ ছাড়াই শুধু দেশীয় খাবার গম, ভুষি, ভাত, ছোলা, চিরা, খৈল, ঘাস খাইয়ে সন্তানের মতো লালন-পালন করে এবারের কোরবানিতে বিক্রির জন্য প্রস্তুত করেছেন। দাম হাঁকিয়েছেন ১২ লাখ টাকা। আকর্ষণীয় নাম আর আকারে বড় হওয়ায় আগ্রহ নিয়ে ষাঁড়টিকে দেখতে প্রতিদিনই উৎসুক মানুষজন খামারে ভিড় জমাচ্ছেন।

তিনি আরো বলেন, গরুর খাবারে বর্তমান বর্ধিত বাজার মূল্যে প্রতিদিন গরুটির পেছনে যা খরচ হয়েছে তাতে ১২ লাখ টাকায় বিক্রি করতে পারলে কিছুটা লাভবান হবেন। এরই মধ্যে গরুটি বিক্রির জন্য বিভিন্ন স্থানের ব্যাবসায়ীদের সাথে যোগাযোগ করছেন তিনি।

গরুটির রাখাল জিন্নাত বলেন, গরুটি খুবই শান্ত প্রকৃতির, আজ ৪ বছর যাবৎ এ গরুটিকে আমি দেখাশোনা করছি। আমার মালিক গরুটি এবার কোরবানির ঈদে বিক্রি করবে। ভাল দামে বিক্রি করতে পারলে আমাদের ভাল লাগবে।

দর্শনার্থী জহুরুল চিশতি বলেন, পাশের গ্রামেই আমার বাড়ি। গরুটির কথা শুনেই গরুটিকে দেখতে এসেছি। এসে যা দেখলাম তাতে এ যাবৎ কালে আমার দেখা এই গরুটিই সবচেয়ে বড় গরু।

প্রতিবেশী আরজু বলেন, এই গরুটি ৪ বছর যাবৎ আমার চাচা ফজলু মন্ডল লালন পালন করছে। এই কোরবানির ঈদে গরুটি ভাল দামে বিক্রি করতে পারলে আমাদেরও খুব ভাল লাগবে।

গোয়ালন্দ উপজেলা প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তা ডা. পার্বতী পাল বলেন, ঈদুল আযহা উপলক্ষে এ বছর গোয়ালন্দ উপজেলায় ৩৪৪১টি গবাদি পশু ও প্রাণী প্রস্তুত করা হয়েছে। এর মধ্যে ফজলু মন্ডলের ৩৫ মণ ওজনের গরুটি সবচেয়ে বড়। ফজলু মন্ডল শুরু থেকেই উপজেলা প্রাণি সম্পদ কার্যালয়ের সব ধরণের সহযোগিতা ও পরামর্শে সম্পূর্ণ দেশীয় খাবার খাইয়ে গরুটিকে লালন-পালন করে বড় করেছেন। আশা করছি সে গরুটি বিক্রি করে লাভবান হবেন।

মাহদী/বার্তাবাজার/এম আই

বার্তা বাজার .কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
এই বিভাগের আরো খবর