পালিয়ে গেল বরপক্ষরা, খাবার গেল এতিমখানায়

কুমিল্লায় দশম শ্রেণির এক স্কুলছাত্রীর বাল্যবিয়ে বন্ধ করে দিয়েছে প্রশাসন। বৃহস্পতিবার (৩০ জুন) দুপুরে সদর দক্ষিণ উপজেলার বারপাড়া ইউনিয়নের ভবানীপুর গ্রামের ঘটনায় সহকারী কমিশনার (ভূমি) আব্দুর রহমান বিয়েটি বন্ধ করে বরযাত্রীর জন্য রান্না করা খাবার পাঠিয়ে দেন পাশের একটি এতিমখানায়।

স্থানীয়রা জানান, ভবানীপুর গ্রামের দশম শ্রেণি পড়ুয়া ১৬ বছর বয়সী এক মেয়ের সঙ্গে বরুড়ার শিলমুড়ি ইউনিয়নের চন্ডিপুর গ্রামের মোবারক হোসেনের বিয়ের প্রস্তুতি চলছিল।

এ উপলক্ষে আয়োজন করা হয় খাবারের। খবর পেয়ে বিয়ে বাড়িতে অভিযান চালায় উপজেলা প্রশাসন। অভিযানের কথা শুনে বিয়ে বাড়ি থেকে পালিয়ে যায় বরপক্ষের লোকজন। পরে প্রাপ্তবয়স্ক না হওয়া পর্যন্ত বিয়ে দেবেন না মর্মে কনের বাবার কাছ থেকে মুচলেকা নেওয়া হয়।

উপজেলা প্রশাসন সূত্র জানায়, ভবানীপুর গ্রামের মোসলেম মিয়ার মেয়ে মাহিনুর আক্তার প্রীতির (১৬) সঙ্গে জেলার বরুড়া উপজেলার শিলমুড়ি ইউনিয়নের চন্ডিপুর গ্রামের মোবারক হোসেনের বিয়ের প্রস্তুতি চলছিল। গোপনে এ সংবাদ পেয়ে সেখানে অভিযান চালায় উপজেলা প্রশাসন।

এতে জন্মনিবন্ধন যাচাই করে কনের বয়স দেখা যায় ১৬ বছর। এ ছাড়া সে দশম শ্রেণির ছাত্রী। প্রচলিত আইন অনুযায়ী কনের বয়স ১৮ বছর না হওয়ায় বিয়েটি বন্ধ করে দেওয়া হয়।

এ বিষয়ে সদর দক্ষিণ উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) আব্দুর রহমান বলেন, জন্মনিবন্ধন যাচাই করে কনের বয়স দেখা যায় ১৬ বছর। এ ছাড়া সে দশম শ্রেণির ছাত্রী। প্রচলিত আইনে কনের বয়স ১৮ বছর না হওয়ায় বিয়েটি বন্ধ করে দেওয়া হয়। বরপক্ষের জন্য রান্না করা খাবার স্থানীয় বাহারুল উলুম এতিমখানায় পাঠিয়ে দেওয়া হয়।

বার্তাবাজার/এম.এম

বার্তা বাজার .কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
এই বিভাগের আরো খবর