‘মুশি-লিটন ও সাকিবের কাছে আমি দুঃখিত’

চট্টগ্রামে প্রথম টেস্টের পর মিরপুরের হোম অব ক্রিকেটে দারুণ কিছু করার প্রত্যাশা নিয়ে মাঠে নেমেছিল বাংলাদেশ। কিন্তু ব্যাটিং ব্যর্থতার চরম বাস্তবতার করুণ দৃশ্য আবারও ফুটে উঠেছে মুমিনুল হক বাহিনীর। তবে এরমধ্যে টাইগারদের জন্য প্রাপ্তি মুশফিকুর রহিম, সাকিব আল হাসান ও লিটন কুমার দাস। মিরপুর টেস্টে বাংলাদেশকে টিকিয়ে রেখেছন এই তিন ক্রিকেটারই। ব্যাট হাতে মুশফিকুর এবং লিটনের দুর্দান্ত পারফরম্যান্সের পাশাপাশি সাকিবের অলরাউন্ডিং ঝলকে লড়াই চালিয়ে যায় টাইগাররা।

চলতি সিরিজের আগে মুশফিকুর রহিমের ব্যাট হাসছিলো না বলে সমালোচনার তীর ছোঁড়া হচ্ছিলো এই অভিজ্ঞ ক্রিকেটারের দিকে। চট্টগ্রাম টেস্টে শতক হাঁকিয়ে সমালোচনার জবাব ব্যাট হাতে দারুণ ভাবেই দিয়েছিলেন মুশফিক। কিন্তু সেই টেস্টে মুশফিকের শতক নিয়ে ওঠে প্রশ্ন। ধীরগতির শতকের কারণে বাংলাদেশ জয়ের সম্ভাবনা তৈরি করতে পারেনি এমন আলোচনাও উঠে।

সব সমালোচনা, প্রশ্নের উত্তর মিরপুরেও ব্যাট হাতে দেবেন বলে অপেক্ষায় ছিলেন মুশফিক। মিরপুরে প্রথম ইনিংসে ২৪ রানে ৫ উইকেট হারানোর পর লিটনকে নিয়ে দলের হাল ধরেন এই ব্যাটার। শেষপর্যন্ত ১৭৫ রানের অপরাজিত এক ইনিংস খেলেন মুশি। ব্যাট হাতে টেস্টে বাংলাদেশের অন্যতম সেরা ইনিংস বলা যায় মুশির এই ১৭৫* রানকে। প্রয়োজনে যেমন ধরে খেলেছেন, আবার টেলএন্ডারদের নিয়ে ব্যাটিংয়ের সময় চালিয়ে খেলতেও দেখা যায় তাকে।

অপর দিকে টাইগারদের টেস্ট দলের সবচেয়ে ধারাবাহিক ব্যাটসম্যান লিটন। মিরপুরে অষ্টম টাইগার ক্রিকেটার হিসেবে টেস্ট ফরম্যাটে দুই হাজার রানের মাইলফলক স্পর্শ করেছেন তিনি। শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে মিরপুর টেস্টের দ্বিতীয় ইনিংসে ৪১ রান করার মধ্য দিয়ে ২০০০ রানের মাইলফলক স্পর্শ করেন এই ডানহাতি ব্যাটসম্যান।

টেস্ট ক্যারিয়ারের ৩৩তম ম্যাচে এসে এই মাইলফলক নিজের করে নিলেন লিটন। বাংলাদেশিদের মধ্যে তৃতীয় দ্রুততম হিসেবে ২০০০ রানের মাইলফলক স্পর্শ করেছেন এই ক্রিকেটার। লেগেছে ৫৬ ইনিংস।

ক্যারিয়ারের শুরুর দিকে রানের জন্য সংগ্রাম করা লিটন ২১তম টেস্টে এসে পেয়েছিলেন প্রথম ১০০০ রানের দেখা। দ্বিতীয় এক হাজার রান পেতে এরপর মাত্র ১৩ টেস্ট ম্যাচ লাগলো লিটনের। মিরপুরে দ্বিতীয় ইনিংসে ফিফটি পাওয়া লিটন প্রথম ইনিংসে করেছিলেন ১৪১ রান।

এদিকে এই ম্যাচে আবারও দারুণ কীর্তি গড়েছেন সাকিব। লঙ্কানদের বিপক্ষে ৫ উইকেট তুলে নেওয়ার পর ব্যাট হাতে ফিফটিও পান এই অলরাউন্ডার। এ নিয়ে দশমবারের মতো এমন কীর্তি গড়লেন সাকিব। তার সামনে এখন আছেন কেবল ইয়ান বোথাম। এই ইংলিশ অলরাউন্ডার ১১ বার টেস্টে পাঁচ উইকেট এবং পঞ্চাশ রান করেছিলেন।

ম্যাচ হারলেও প্রেজেন্টশনে তাই এই তিন ক্রিকেটারের প্রশংসা করতে ভুল করেননি টাইগার অধিনায়ক মুমিনুল হকও। তিনি এই তিন ক্রিকেটারকে নিয়ে বলেন, ‘দলের জন্য যারা ভালো খেলেছে, সেই মুশি-লিটন এবং সাকিবের কাছে আমি দুঃখিত। তাদের পারফরম্যান্স ইতিবাচক আমাদের জন্য।’

বার্তাবাজার/এম.এম

বার্তা বাজার .কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
এই বিভাগের আরো খবর