অবশেষে অলআউট শ্রীলঙ্কা, ব্যাটিংয়ে পিছিয়ে বাংলাদেশ

টেস্টে খেলবেন কি না সেটি নিয়েই ছিল অনিশ্চয়তা। অথচ মাঠে নেমেই রেকর্ডে রাঙাচ্ছেন বাংলাদেশের জান বাংলাদেশের প্রাণ সাকিব আল হাসান। শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে পাঁচ উইকেট শিকার করেছেন টাইগার অলরাউন্ডার। অপর দিকে, সফরকারীরাও গুটিয়ে গেছে প্রথম ইনিংসে ৫০৬ রান করে। তাদের লিড ১৪১ রানের। আর তাই পিছিয়ে থেকেই চতুর্থ দিন শেষ বিকেলে ব্যাটিংয়ে নামল বাংলাদেশ।

অলআউট শ্রীলঙ্কা, পিছিয়ে থেকে ব্যাটিংয়ে নামল বাংলাদেশ খেলার সময় এর আগে ষষ্ঠ উইকেট জুটিতে যেন আঠার মতো ক্রিজে লেগে গিয়েছিলেন লঙ্কান দুই ব্যাটার ম্যাথিউস ও চান্দিমাল। চান্দিমালের পতনের পরপরই তাসের ঘরের মতো ভেঙে পড়ে সফরকারীদের ইনিংস। ষষ্ঠ উইকেট জুটিতে ম্যাথিউস ও চান্দিমালের পার্টনারশিপ টিকেছিল ৪১৫ বল পর্যন্ত। রান এসেছিল ১৯৯। যা মনে করিয়ে দিচ্ছিল চলতি টেস্টের প্রথম ইনিংসে ষষ্ঠ উইকেট জুটিতে মুশফিক-লিটনের ২৭২ রানের পার্টনারশিপকে।

অবশেষে চতুর্থ দিন বৃহস্পতিবার (২৬ মে) শেষ বিকেলে লঙ্কানদের জুটি ভাঙতে পারলেন এবাদত। তুলে নেন সেঞ্চুরি হাঁকানো দিনেশ চান্দিমালকে। তামিমের হাতে ক্যাচ দিয়ে আউট হবার আগে ২১৯ বলে ১২৪ রান করেন তিনি। নিজেদের সেরা জুটি গড়ে এগিয়ে চলেছিলেন ম্যাথিউস ও চান্দিমাল। এই দুইজনের আগের সর্বোচ্চ জুটি ছিল ১৮১ রানের, ২০১৭ সালে ভারতের বিপক্ষে।

এরপরই অবশ্য ম্যাথিউসেরও আউট হবার সম্ভাবনা জেগেছিল। রিভিউও নিয়েছিল বাংলাদেশ। কিন্তু শেষ পর্যন্ত সব চেষ্টাই ভেস্তে গেছে। চট্টগ্রাম টেস্টের ১৯৯ রানের অনবদ্য ইনিংস খেলার পর ঢাকা টেস্টেও ছিলেন অপ্রতিরোধ্য। শেষ পর্যন্ত অপরাজিত ছিলেন ১৪৫ রানে।

এদিকে, এবাদতের পর উইকেটর দেখা পেয়েছেন সাকিব। চান্দিমালের পর ব্যাট করতে নামা নিরোশান ডিকভেলাকে থিতু হতেই দেননি টাইগার অলরাউন্ডার। সাকিবের পঞ্চম শিকার হয়ে সাজঘরে ফিরে গেছেন প্রভীন জয়াভিক্রমা। এ নিয়ে টেস্টে ১৯তম বার পাঁচ উইকেট তুলে নিলেন তিনি। বাংলাদেশের প্রথম ইনিংসে পাঁচ উইকেট পড়ার পরই দুই শতক দেখেছিল দর্শকরা। লঙ্কান ইনিংসেও সেই পাঁচ উইকেট পড়ার পরই দুই শতক দেখল সবাই। মন্থর ব্যাটিংয়ে প্রথমে শতক হাঁকান ম্যাথিউস। এরপর শতক হাঁকান চান্দিমাল।

এর আগে চতুর্থ দিনের প্রথম সেশনে কোনো সাফল্য পাননি বাংলাদেশের বোলাররা। হতাশাকে সঙ্গী করে প্রথম সেশনে লঙ্কানরা বিনা উইকেটে সংগ্রহ করে ৮৭ রান। তবে মিরপুরে একটা উইকেটের জন্য আপ্রাণ চেষ্টা করেছে সাকিব-তাইজুল-এবাদতরা। মাঝে মুমিনুলের এক আবেদনে আম্পায়ার সায় দিলেও, রিভিউ নিয়ে জীবন পেয়ে বাংলাদেশের দুর্দশা আরও বাড়িয়েছেন চান্দিমাল। ষষ্ঠ উইকেট জুটিতে লাঞ্চের আগেই লিড নিয়েছে সফরকারীরা। চার দিনেও দুই ইনিংস শেষ না হওয়া টেস্টের ভাগ্য ধীরে ধীরে এগোচ্ছে ড্রয়ের পথে।

দিনের শুরুতে আশা জাগিয়েও উইকেটের দেখা পায়নি বাংলাদেশের বোলাররা। এবাদত হোসেনের বলে বেশ কয়েকবার পরাস্ত হলেও লেগ বিফোরের হাত থেকে বেঁচে গেছেন সফরকারী দলের দুই ব্যাটার। সাকিব-তাইজুলও পারেননি সাফল্য এনে দিতে। বেশ স্বাছন্দ্যেই ব্যাট করছেন ম্যাথিউস-চান্দিমাল। মাঝে মাঝে ব্যাটের কাণায় লেগে কিংবা পায়ে বল লেগে আফসোস বাড়িয়েছে টাইগারদের।

বার্তাবাজার/এম.এম

বার্তা বাজার .কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
এই বিভাগের আরো খবর