ত্রাণবাহী নৌকা দেখলে তারা দৌড়ে ছুটে আসেন নৌকা নিয়ে

চারিদিকে থৈ থৈ পানি। মধ্যখানে বেশ দূর দূর প্রায় শতাধিক পরিবার। কেউ বিপদে পড়লে এত সহজে কাছে যাওয়া সম্ভব নয়। রয়েছে প্রতিটি পরিবারের নিজস্ব ছোট নৌকা। ত্রাণবাহী নৌকা দেখলে তারা দৌড়ে ছুটে আসেন নৌকা নিয়ে ত্রাণবাহী নৌকার কাছে। শিশু-কিশোর, যুবক-বৃদ্ধ৷ তারা বাড়ি থেকে বের হতে পারেন না। গত প্রায় ১০ দিন থেকে তারা পানিবন্দি। খেয়ে না খেয়ে চলছে তাদের জীবন। ইঞ্জিন নৌকার শব্দ শুনলেই তারা বাড়ি থেকে উঁকি দেন। এই বুঁজি কেউ ত্রাণ নিয়ে আসছে। ত্রাণ পাওয়ার পর তাদের মুখের হাসি সব কিছুকে হার মানায়।

সিলেটের গোলাপগঞ্জ উপজেলার বাঘা ইউনিয়নের এখলাছপুর গ্রাম এটি। গত কয়েকদিনের টানা বৃষ্টি ও উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে এখনো পানিবন্দি উপজেলার হাজার হাজার মানুষ। বন্যার পানি ধীরে ধীরে কমতে শুরু করেছে। তবে এখনো পুরোপুরি পানি না কমার কারণে দুর্ভোগে রয়েছেন উপজেলার বিভিন্ন এলাকার মানুষ।

ইতিমধ্যে বন্যার্তদের পাশে দাঁড়িয়েছেন প্রবাসী, জনপ্রতিনিধি, বিত্তবান, রাজনৈতিক, সামাজিক সংগঠনের নেতৃবৃন্দ। প্রতিদিন ত্রাণ সামগ্রী নিয়ে বন্যার্তদের পাশে ছুটে যাচ্ছেন তারা। নিয়মিত খুঁজ খবর রাখছেন অসহায় পরিবারগুলোর।

বাঘা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আব্দুস সামাদ বলেন- সরকারি ও বেসরকারি মিলিয়ে এখন পর্যন্ত প্রায় আড়াই হাজার পরিবারকে ত্রাণ দিতে পেরেছি। বিভিন্ন সংস্থা, প্রবাসী, বিত্তবানরা আমার ইউনিয়নের মানুষের পাশে সব সময় ত্রাণ নিয়ে আসতেছেন। বন্যার পর যারা সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ওয়ার্ড ভিত্তিক তালিকা করে সরকার থেকে যা আসবে তাদেরকে সহযোগিতা করব।

ফাহিম/বার্তাবাজার/এম আই

বার্তা বাজার .কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
এই বিভাগের আরো খবর