ইউপি চেয়ারম্যানের ছোট ছেলেকে কুপিয়ে হত্যা, স্ত্রী আশংকাজনক

ফরিদপুরের সদরপুর উপজেলার ঢেউখালী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মো. মিজানুর রহমান বয়াতির ১০ বছরের ছোট ছেলে রাফসানকে কুপিয়ে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা। বাড়িতে ঢুকে তাকে কুপিয়ে হত্যা করা হয়।

বুধবার (১৮ মে) বিকাল ৪টা ৫ মিনিটের দিকে সদরপুর উপজেলা সদরের পোষ্ট অফিসের সামনে ইউপি চেয়ারম্যানে শ্বশুরবাড়িতে এই ঘটনা ঘটে।

একইসঙ্গে কুপিয়ে আহত করা হয় ওই ইউপি চেয়ারম্যানে স্ত্রী দিলজাহান বেগম ওরফে রত্না (৩৫) কে। তাকে ফরিদপুরের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল নেওয়া হয়েছে। নিহতের নাম রাফসান (১০)। সে ইউপি চেয়ারম্যান মিজানুর রহমানের দুই ছেলের মধ্যে ছোট।

এলাকাবাসী ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, চেয়ারম্যান মিজান বয়াতী ঢাকায় অবস্থান করছেন। বাড়িতে ১০ বছরের শিশুসন্তান রাফসানকে নিয়ে ঘুমিয়ে ছিলেন স্ত্রী দিলজাহান রত্না। বুধবার (১৮ মে) বিকেল ৪টার দিকে ওই গ্রামের সানু মোল্যার ছেলে এরশাদ ঘরের মধ্যে প্রবেশ করে চেয়ারম্যানের স্ত্রী ও ছেলেকে এলোপাতাড়ি কোপাতে থাকেন। এসময় চেয়ারম্যানের স্ত্রীর চিৎকারে প্রতিবেশীরা এগিয়ে এলে এরশাদ পালিয়ে যান।

পরে প্রতিবেশীরা দুজনকে উদ্ধার করে সদরপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে চিকিৎসক রাফসানকে মৃত ঘোষণা করেন। রত্নার অবস্থা গুরুতর হওয়ায় তাকে ফরিদপুর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। সেখানে তার চিকিৎসা চলছে, অবস্থা সংকটাপন্ন।

স্থানীয়রা জানান, এরশাদ তার স্ত্রীকে নির্যাতন করতেন। এনিয়ে একাধিকবার সালিশ হয়। চেয়ারম্যান মিজান বয়াতি এই সালিশ করেছিলেন। কয়েকদিন আগে স্ত্রীর সঙ্গে এরশাদের বিয়েবিচ্ছেদ হয়। সালিশের সিদ্ধান্ত পক্ষে না যাওয়ায় চেয়ারম্যানের ওপর ক্ষুব্ধ ছিলেন এরশাদ। সে কারণেই তিনি এই হামলা চালিয়েছেন বলে স্থানীয়দের ধারণা।

এ বিষয়ে ঢেউখালী ইউনিয়ন পরিষদের ৮নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য মো. শহীদ সরদার বলেন, চেয়ারম্যানের গ্রামের বাড়ি চর ডুবাল গ্রামে। তিনি পরিবার নিয়ে সদরপুর উপজেলা সদরের বাসায় থাকেন। যতটুকু জেনেছি পূর্বশত্রুতার জেরে ঢেউখালী গ্রামের মো. ছানু মোল্লার ছেলে এরশাদ মোল্লা এ ঘটনা ঘটিয়েছে।

ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ভাঙ্গা সার্কেল) ফাহিমা কাদের চৌধুরী বলেন, ‘দুর্বৃত্তরা কুপিয়ে জখম করায় ইউপি চেয়ারম্যানের ছেলে রাফসান ঘটনাস্থলেই নিহত হয়। এ ঘটনায় আহত হয়েছে ইউপি চেয়ারম্যানের স্ত্রী দিলজাহান। তার অবস্থা আশংকাজনক। তাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।’

ফরিদপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. জামাল পাশা বলেন, চেয়ারম্যানের স্ত্রীর অবস্থা গুরুতর। তাকে হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। পুলিশ বিষয়টি তদন্ত করছে। পরে বিস্তারিত জানাতে পারবো।

শিশির/বার্তাবাজার/এম.এম

বার্তা বাজার .কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
এই বিভাগের আরো খবর