ভারতের নিষেধাজ্ঞায় আখাউড়া স্থলবন্দর দিয়ে গম আমদানিতে বিপাকে ব্যবসায়ীরা
দেশের বিভিন্ন স্থানে অবস্থিত ফ্লাওয়ার মিলগুলোতে গমের চাহিদা মিটাতে ব্রাহ্মণবাড়িয়া আখাউড়া স্থলবন্দর দিয়ে ভারত থেকে গম আমদানি করছিলেন বন্দরের সিএন্ডএফ ব্যবসায়ীরা। আমদানি করা এসব গম চট্টগ্রাম, গাজীপুর, নারায়ণগঞ্জ, ময়মনসিংহ, ভৈরব, ফেনি, রাজশাহীসহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে ফ্লাওয়ার মিলগুলোতে সরবরাহ করা হচ্ছিলো।
কিন্তু ভারত সরকার নিজ দেশে গমের সরবরাহ বৃদ্ধি ও মূল্য নিয়ন্ত্রণে রাখতে গত শনিবার (১৪ মে) থেকে বাংলাদেশে গম রপ্তানি বন্ধ করে দিয়েছে। এতে বিপাকে পড়তে হয়েছে ব্যবসায়ীদের। দেশের বাজারে গমের আটার দামও এরিমধ্য বৃদ্ধি পেয়েছে। বুধবার (১৮ মে) সকালে ফোনে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন আখাউড়া স্থলবন্দরের আমদানি-রপ্তানিকারক এসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক মোঃ শফিকুল ইসলাম।
এ সময় আমদানিকারকরা পুরোনো সকল এলসির(লেটার অফ ক্রেডিট) বিপরীতে গম রপ্তানির দাবি জানিয়েছেন । এদিকে গম রপ্তানি বন্ধের খবরে হু হু করে বাড়তে শুরু করেছে গমের দাম।
আখাউড়া স্থলবন্দরের গম আমদানি কারক সিএন্ডএফ এজেন্ট আদনান ট্রেড ইন্টার ন্যাশনালের স্বত্বাধিকারী আক্তার হোসেন সাজু, মেসার্স জলি এন্টারপ্রাইজ এর মোবারক হোসেন ভুঁইয়াসহ কয়েকজন গম আমদানিকারক জানান, আমরা দেশের গমের চাহিদা মেটাতে ভারত থেকে গম আমদানি করে আসছি। এমতাবস্থায় ভারতীয় রপ্তানিকারকেরা আমাদের জানিয়েছেন ভারত সরকার আপাততো বাংলাদেশেসহ বহিঃবিশ্বে গম রপ্তানি বন্ধ করে দিয়েছেন। এখন আমাদের ১৩ তারিখের আগে এই বন্দর দিয়ে প্রায় ৩০ হাজার মেট্রিকটন গমের এলসি করা রয়েছে ভারতে। যা দেশে ঢোকার অপেক্ষায় রয়েছে। এই গম আখাউড়া স্থলবন্দর দিয়ে দেশে আসতে প্রায় ২ মাস সময় লাগবে।
তাই বাণিজ্য মন্ত্রণালয় যেন ভারত সরকারের সঙ্গে যোগাযোগ করে নতুন করে এলসি না নিলেও অবশ্যই যেন পূর্বের যেসব গমের এলসি দিয়েছি সেগুলোর যেন কোন সমস্যা না হয় সেই ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানানিয়েছেন।
এ বিষয়ে কথা হলে দ্বীপা ট্রেড ইন্টারন্যাশনাল এর স্বত্বাধিকার মোঃ নাসির উদ্দীন জানান, গম আমদানিতে ব্যাঘাত ঘটলে জাতীয় ভাবে একটি সমস্যা হয়ে দাঁড়াবে। এতে স্থানীয় আমদানিকারক ও ফ্লাওয়ার মিল মালিকরা বিপাকে পড়বে। এরি মধ্যে গম আমদানি কমে যাওয়ায় কয়েকটি ফ্লাওয়ার মিল বন্ধ হয়ে গেছে। যার জন্য বাজরে গমের আটার মূল্য বৃদ্ধি পেয়েছে। এই সমস্যা যেন দ্রুত সমাধান হয় এই আশায় আছি আমরা।
হাসান/বার্তাবাজার/এম.এম