কোম্পানীগঞ্জে বজ্রপাতে মৃত্যুর দুইদিন পর মৎস্যজীবির মরদেহ উদ্ধার

সিলেটের কোম্পানীগঞ্জে মাছ ধরতে গিয়ে নিখোঁজের দুইদিন পর সবুজ বিশ্বাস (১৭) নামের এক কিশোর মৎস্যজীবির মরদেহ উদ্ধার করেছে স্থানীয়রা। বুধবার (১৮ মে) বাগানচিরির পাড় বিল থেকে দুপুর ১২ টার সময় নিহতের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। মরদেহ উদ্ধারের পর তার মুখে বজ্রপাতের চিহ্ন পাওয়া গেছে।

ধারণা করা হচ্ছে, মাছ ধরার সময় বজ্রপাতের আঘাতে সে মারা গেছে। নিহত ব্যক্তি উপজেলার ইছাকলস ইউনিয়নের শিবপুর গ্রামের মৃত নিধির বিস্বাস ছেলে।

সবুজ বিস্বাস সোমবার (১৬ মে) দুপুর দেরটার সময় পার্শ্ববর্তী বাগানচিরির পাড় বিলে মাছ ধরতে যায়। দীর্ঘ সময় বাড়িতে ফিরে না আসায় স্থানীয়রা তার খোঁজে বিলে যায়। সেখানে তার ব্যবহৃত নৌকাটি খুঁজে পেলেও তাকে পাওয়া যায়নি। নিখোঁজের পরপরই স্থানীয়ভাবে সিলেট ফায়ার স্টেশনে ডুবুরি দল পাঠানোর জন্য যোগাযোগ করা হলেও স্টেশন থেকে সারা মিলেনি।

নিহতের এক আত্মীয় জানান, তাৎক্ষণিকসময়ে মরদেহ উদ্ধারের জন্য ডুবুরি দলকে জানানো হলেও কেউ এগিয়ে আসেনি। দীর্ঘ দুইদিন যাবত খোঁজাখুঁজির পর স্থানীয়রা নিখোঁজ ব্যক্তির মরদেহ উদ্ধার করলেও প্রশাসনিকভাবে কেউ সাহায্যের জন্য এগিয়ে আসেনি বলে হতাশা ব্যক্ত করেন স্থানীয় অনিল বিস্বাস।

মরদেহ উদ্ধারকারী নিহতের মামা কুলিন্দ্র বিশ্বাস জানান, দুই দিনেও কেউ মরদেহ উদ্ধারে আসেনি। যদি প্রশাসনের কেউ উদ্ধারে এগিয়ে আসতো তবে গত দুইদিন আগেই মরদেহ খুজে পেতাম।

নিখোঁজের প্রথম দিন সিলেট ফায়ার স্টেশন কন্ট্রোল রুম থেকে দায়িত্বরত হযরত আলী নামে এক কর্মকর্তা জানান, সন্ধ্যা ঘনিয়ে আসছে তাই আগামীকাল ঘটনাস্থলে ডুবুরিদল পাঠাবো। কিন্তু দুই দিনেও তাদের উদ্ধার টিম পাঠায়নি।

মরদেহ উদ্ধারে এগিয়ে না আসার কারণ উল্লেখ করে ফায়ার স্টেশনের কন্ট্রোল রুমে দায়িত্বরত হযরত আলী জানান, গতকাল ডুবুরি দল পাঠানোর জন্য ডিডি মনিরুজ্জামানকে স্যারকে বলেছিলাম, ওনি বলেছে ডুবুরি দল ঢাকায় চলে গেছে। এরপরের দিন ডুবুরি দল না পাঠানোর কারণ উল্লেখ করে তিনি জানান, এরপরের দিন স্যারকে বলতে ভুলে গেছি।

স্থানীয় ওয়ার্ড সদস্য রিপন বিশ্বাস জানান, নিখোঁজ ছেলেটিই তার পরিবারের একমাত্র রোজগার ব্যক্তি। তার পিতা নেই৷ বাসায় তার একমাত্র ছোট বোন ও মা রয়েছে। অসহায় পরিবারটির পাশে দাঁড়ানোর জন্য উপজেলার বিত্তবানদের অনুরোধ করছি।

মরদেহ উদ্ধারের বিষয়টি প্রতিবেদককে নিশ্চিত করেন কোম্পানীগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ সুকান্ত চক্রবর্তী।

তারিকুল/বার্তাবাজার/এ.আর

বার্তা বাজার .কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
এই বিভাগের আরো খবর