অতিবৃষ্টি ও পাহাড়ি ঢলে সিলেটে আকস্মিক বন্যা
অতিবৃষ্টি ও পাহাড়ি ঢলে সিলেটে বন্যা দেখা দিয়েছে। সপ্তাহখানেক ধরে অবিরাম বৃষ্টি বর্ষণ ও ভারত হতে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে সিলেটের নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে।
একই সাথে জলাবদ্ধতা দেখা দিয়েছে সিলেট নগরী জুড়ে। সিলেট মহানগরীর বেশ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ মার্কেটে পানি ঢুকেছে,ডুবেছে ভিআইপি রোডসহ অলিগলির অসংখ্য রাস্তা ঘাট,পানি ঢুকেছে বাসা বাড়ীতেও।
গতকাল বিকেলে পানি বৃদ্ধি কম থাকলেও বন্যার শিকার স্হানীয় বাসিন্দারা বলছেন,মঙ্গলবার ভোরবেলা হতেই ক্রমশ অবস্থার অবনতি হচ্ছে,বৃদ্ধি পাচ্ছে পানি। পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় অনেক ক্ষয়ক্ষতির আশংকা করছেন তারা।এদিকে সিলেটের আবহাওয়া পরিস্থিতি সম্পর্কে জানতে চাইলে সিলেট আবহাওয়া অফিসের জ্যেষ্ঠ আবহাওয়াবিদ সাঈদ চৌধুরী বার্তা বাজারকে জানান,সিলেটের আবহাওয়া এখনো ভালো নেই,আগামি ২২হতে ২৩ তারিখ পর্যন্ত অবিরাম বৃষ্টি আভাস দেখা যাচ্ছে,তবে শুক্রবার ও শনিবার বৃষ্টি কম হবে,২৪ তারিখ হতে আবহাওয়া পরিস্থিতির উন্নতির সাথে কমবে সৃষ্ট বন্যার পানি,এমনটিই আশা করছেন তিনি।
সিলেট নগরী ছাড়াও আশপাশের উপজেলাগুলোতে বন্যার দুর্ভোগে নাকাল স্হানীয় বাসিন্দারা।ইতোমধ্যেই নিরাপদ স্থানে সরিয়ে যেতে বলা হচ্ছে।পানি বৃদ্ধি সম্পর্কে জানতে চাইলে সিলেট পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী পরিচালক আসিফ আহমদ বার্তা বাজারকে জানান,সিলেটের মধ্যে কোম্পানীগঞ্জ ও কানাইঘাট উপজেলার পানি পরিস্থিতি বিপৎ সীমার মধ্যে রয়েছে।
কোম্পানীগঞ্জে আজ বিকেল ৩টায় ১৪.১৭ মিটার উপর দিয়ে পানি প্রবাহিত হয়েছে এবং কুশিয়ারা নদীর পানি বিপৎসীমার উপর দিয়ে ১৬.৩৯ মিটারের উপর দিয়ে প্রবাহিত হয়েছে।
একই সাথে সিলেট সুরমা নদীর পানিও বিপৎসীমার উপর দিয়েই প্রবাহিত হচ্ছে।নদীর তীর ঘেঁষে গড়ে উঠা কলকারখানা,বাসা বাড়ী ও বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান রয়েছে ঝুঁকির মধ্যে। সিলেটের মধ্যে ঝুকিপূর্ণ রয়েছে কোম্পানীগঞ্জ ও কানাইঘাট উপজেলা।
সিলেটে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কমিটি জরুরি বৈঠক ডেকে করণীয়গুলো ঠিক করেছে। ইতিমধ্যেই বিভিন্ন উপজেলাগুলোতে আশ্রয় কেন্দ্রের নাম,মোবাইল নাম্বারসহ প্রকাশ করে বাসিন্দাদের নিরাপদ থাকতে বলা হয়েছে।
সাইফুল/বার্তাবাজার/এম.এম