অন্তঃসত্ত্বা হওয়ায় আদালতে হাজিরা মওকুফ চান পরীমনি

রাজধানীর বনানী থানায় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনের মামলায় ব্যক্তিগত হাজিরা মওকুফ চেয়ে আবেদন করেছেন ঢাকাই সিনেমার চিত্রনায়িকা পরীমনি। বৃহস্পতিবার (১২ মে) সকাল ১০টা ১৪ মিনিটে ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-১০-এর বিচারক নজরুল ইসলামের আদালতে তিনি হাজিরা দিয়ে এ আবেদন করেন। চিত্রনায়িকা পরীমনি অন্তঃসত্ত্বা বলে তার পক্ষে এ আবেদন করেন ব্যক্তিগত আইনজীবী নীলাঞ্জনা রিফাত সুরভী।

আদালত আবেদনটি নথিভুক্ত করে এ বিষয়ে শুনানির জন্য ২ জুন ধার্য করেন। মামলার সাক্ষ্যগ্রহণের তারিখও একই দিন ধার্য করা হয়।

আদালত সূত্রে জানা গেছে, বৃহস্পতিবার পরীমনিসহ তিনজনের বিরুদ্ধে সাক্ষ্যগ্রহণের জন্য দিন ধার্য থাকলেও কোনো সাক্ষীই আদালতে উপস্থিত হননি। কিন্তু পরীমনি হাজির হন। তার সঙ্গে আসেন তার স্বামী শরীফুল রাজ। সাক্ষ্যগ্রহণের জন্য দিন ধার্য ছিল গত ২৯ মার্চ। সেদিন অপর দুই আসামি আদালতে উপস্থিত থাকলেও পরীমনি অসুস্থ থাকায় আদালতে হাজির হতে পারেননি। সে কারণে পরীমনির আইনজীবী নীলাঞ্জনা রিফাত সুরভী সময়ের আবেদন করেন। ওই আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতেই সাক্ষ্যগ্রহণের জন্য ১২ মে দিন ধার্য করেন ঢাকার বিশেষ জজ আদালত ১০-এর বিচারক নজরুল ইসলাম।

এর আগে ১ মার্চ চিত্রনায়িকা পরীমনির বিরুদ্ধে হওয়া মাদক মামলার কার্যক্রম স্থগিত করেন হাইকোর্ট। এরপর ৮ মার্চ পরীমনির মাদক মামলার কার্যক্রম স্থগিত করে দেওয়া হাইকোর্টের আদেশ ছয় সপ্তাহের জন্য স্থগিত করেন চেম্বার জজ আদালত।

তারও আগে ১ মার্চ ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-১০-এর বিচারক নজরুল ইসলামের আদালতে মামলার বাদী র‌্যাব-১-এর কর্মকর্তা মজিবর রহমান সাক্ষ্য দেন। এর মধ্য দিয়ে এ মামলার সাক্ষ্যগ্রহণ শুরু হয়েছে।

এদিন মামলার বাদীর জবানবন্দি শেষে পরীমনি ও কবীর হালদারের পক্ষে অ্যাডভোকেট মাজেদুর রহমান মামুন তাকে জেরা করেন। কবীর হালদারের পক্ষে জেরা শেষ হলেও পরীমনির পক্ষে শেষ হয়নি। অন্য আসামি আশরাফুল ইসলাম দিপুর পক্ষে তার আইনজীবী এস এম আক্তারুজ্জামান হিমেল জেরা করেন।

মাদক মামলা স্থগিতের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রপক্ষের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে চেম্বার বিচারপতি ওবায়দুল হাসান এ আদেশ দেন। ২০২২ সালের ৫ জানুয়ারি এ মামলায় পরীমনিসহ তিনজনের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন আদালত।

গত বছরের ৪ আগস্ট অভিযান চালিয়ে পরীমনিকে তার বনানীর বাসা থেকে আটক করে র‌্যাব। অভিযানে নতুন মাদক এলএসডি, মদ ও আইস উদ্ধার করা হয়। তার ড্রয়িংরুমের কাভার্ড, শোকেশ, ডাইনিংরুম, বেডরুমের সাইড টেবিল ও টয়লেট থেকে বিপুল পরিমাণ মদের বোতল উদ্ধার করা হয়। তার পর দিন ৫ আগস্ট র‌্যাব বাদী হয়ে রাজধানীর বনানী থানায় পরীমনি ও তার সহযোগী বিপুর বিরুদ্ধে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলা করে।

বার্তাবাজার/জে আই

বার্তা বাজার .কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
এই বিভাগের আরো খবর