মুদি দোকানিকে হত্যার দায়ে ৮ জনের যাবজ্জীবন

কুড়িগ্রামের চিলমারীতে মুদি দোকানিকে হত্যার দায়ে আটজনকে যাবজ্জীবন কারাদন্ডের আদেশ দিয়েছে আদালত।

সোমবার (৯ মে) দুপুরে কুড়িগ্রাম জেলা জজ আদালতের সিনিয়র জেলা ও দায়রা জজ মো. আব্দুল মান্নান আসামীদের উপস্থিতিতে এ আদেশ দেন। পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) আব্রাহাম লিংকন এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত আসামীরা হলেন, ১. রাশেদ মিয়া, ২. মোসলেম উদ্দিন, ৩.তছলিম উদ্দিন, ৪. মকবুল হোসেন, ৫. নুরু মিয়া, ৬.মোনাল মিয়া ওরফে মোন্নাফ, ৭. আ. কাদের এবং ৮. মিন্টু। এরা সকলেই চিলমারী উপজেলার রাণীগঞ্জ ইউনিয়নের কাঁচকোল এলাকার সড়কটারী গ্রামের বাসিন্দা।

নিহত যুবকের নাম নূরুন্নবী মিয়া (২০)। তিনি উপজেলার কাঁচকোল এলাকার মোখলেছুর রহমানের ছেলে। ২০০৪ সালের ২২ জানুয়ারি দিবাগত রাতে সংঘটিত হত্যাকান্ডের এক দিন পর নিহতের বাবা বাদী হয়ে চিলমারী থানায় মামলা করেন। দীর্ঘ ১৮ বছর মামলার কার্যক্রম শেষে আদালত সোমবার আট আসামিকে যাবজ্জীবন কারাদন্ডের আদেশ দেন।

মামলা সূত্রে জানা গেছে, ২০০৪ সালের ২২ জানুয়ারি রাতে ভুক্তভোগী নূরুন্নবীর সাথে আসামি রাশেদ নূরুন্নবীদের মুদির দোকানের ভেতর ঘুমিয়েছিল। পূর্ব শত্রুতার জেরে সেদিন দিবাগত রাতে ভুক্তভোগী নূরুন্নবী মিয়াকে পরিকল্পিত ভাবে দোকানের ভেতর ঘুমন্ত অবস্থায় গলায় মাফলার পেঁচিয়ে হত্যা করে রাশেদ ও অন্য আসামিরা। পরের দিন সকালে নিহতের ভাই আশরাফুল ইসলাম দোকানে গিয়ে নূরুন্নবীর মরদেহ দেখতে পায়। পরে স্থানীয়রা ছুটে এসে পুলিশে খবর দিলে পুলিশ মরদেহ উদ্ধার করে।

এ ঘটনায় নিহতের বাবা মোখলেছুর রহমান বাদী হয়ে পাঁচ জনের নাম উল্লেখ করে চিলমারী থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন। মামলায় ৯ জনের সংশ্লিষ্টতার অভিযোগ এনে অভিযোগপত্র দেয় পুলিশ। পরে চাঁদ মিয়া নামে এক আসামির মৃত্যু হলে তাকে অব্যাহতি দেওয়া হয়। আসামিদের বিরুদ্ধে হত্যার অভিযোগ সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত হওয়ায় আদালত অপর আট আসামিকে যাবজ্জীবন কারাদন্ডের আদেশ দেন।

মামলায় রাষ্ট্র পক্ষের আইনজীবী ছিলেন পিপি আব্রাহাম লিংকন। আর আসামি পক্ষে আইনজীবী ছিলেন অ্যাডভোকেট আমজাদ হোসেন ও সামসুজ্জোহা রুবেল।

সুজন/বার্তাবাজার/এম আই

বার্তা বাজার .কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
এই বিভাগের আরো খবর