নিউজিল্যান্ডের মসজিদে সন্ত্রাসী হামলার পরে শোকাহতদের পাশে দাাঁড়িয়েছেন দেশটির প্রধানমন্ত্রী জেসিন্ডা আর্ডর্ন। তিনি যেভাবে সার্বিক পরিস্থিতি মোকাবেলা এবং সংখ্যালঘু সম্প্রদায় ও অভিবাসীদের আস্থা অর্জনের চেষ্টা করেছেন তা এখন প্রশংসিত হচ্ছে।
অস্ট্রেলিয়ার সিডনি মর্নিং হেরাল্ড তাদের একটি প্রতিেবেদনে জানায়, নিজের নয় বছর বয়সী শিশু সন্তানকে ঘরে রেখে নিজে নির্ঘুম রাত কাটিয়েছেন নিউজিল্যান্ডের সরকারপ্রধান।
এদিকে পশ্চিমা বিভিন্ন দেশের সরকার নন-মুসলিম ব্যক্তির দ্বারা সংগঠিত হামলাকে ‘সন্ত্রাসবাদী হামলা’ বলতে দ্বিধা করেছেন। বেশিরভাগ ক্ষেত্রে হামলাকারীদেরকে ‘মানসিক রোগী’ হিসেবে দেখানো হয়েছে। কিন্তু নিউজিল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী জেসিন্ডা ছিলেন ব্যতিক্রম।
তিনি শনিবার সকালেই ঘোষণা দিয়েছেন, আমি আপনাদেরকে বলছি, আমার বন্দুক বিষয়ক আইন বদলে ফেলবো।
এদিকে আজ শনিবার দুপুরেই ক্রাইস্টচার্চের ঘটনাস্থল পরিদর্শনে যান জেসিন্ডা। সেখানে স্বজন হারানো শোকাহত মুসলিম কমিউনিটির সদস্যদের সাথে সাক্ষাৎ করেন তিনি। এসময় তার গায়ে ছিল কালো গাউন আর মাথায় ছিল একটি কালো স্কার্ফ।
এ সময় নিউজিল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী স্বজনদের এক সমাবেশে বক্তব্যে বলেন, যারা প্রাণ হারিয়েছেন তারা এই নিউজিল্যান্ডকে কল্পনাও করেননি। আমরাও যেই নিউজিল্যান্ডকে চিনি এটা সেই নিউজিল্যান্ড নয়। যারা মারা গেছেন তারা আসলে আমরাই। অনেক অভিবাসী হামলায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন। নিউজিল্যান্ড তাদেরও ঘর।