আইন নিয়ে উচ্চশিক্ষা – ক্যারিয়ার এবং সম্ভাবনা

ক্যারিয়ার নিয়ে ভাবনা রয়েছে সবার। বিচিত্র মানুষের বিচিত্র ভাবনা। তবে পেশার পছন্দ ভিন্ন রকম হলেও পছন্দের তালিকায় আইন একটু বাতিক্রম।

বিচারপতি, অ্যাটর্নি জেনারেল, অধ্যাপক, ব্যারিস্টার অথবা অ্যাডভোকেট পদবিগুলো নামের আগে দেখতে কার না ভালো লাগে।

 

বর্তমানে অনেকেই আগ্রহী হচ্ছেন পছন্দের এই আইন পেশায়। দেশের প্রায় সব সরকারি-বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে এ বিষয়ে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর পর্যায়ে পড়াশোনার সুযোগ রয়েছে।

আইন বিভাগে পড়াশোনা, কর্মক্ষেত্র, সুবিধা-অসুবিধাসহ নানা প্রসঙ্গ নিয়ে ঢাকা ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির আইন বিভাগের সাবেক শিক্ষার্থী সামছুল আলম সাদ্দামের

মুখোমুখি হয়ে বিস্তারিত লিখেছেন বার্তা বাজারের সংবাদদাতা মো. কাওছার আলী ৷

বার্তাবাজার: আইন বিষয়ে ক্যারিয়ার এবং সম্মান কেমন?

সামছুল আলম সাদ্দাম: বাংলাদেশ একটি শ্রেণী আছে যাদের নামের আগে বিজ্ঞ লিখা হয় সেটা হচ্ছে আইন পেশা। আইন বিষয় পড়াশোনা করলে শুধু আইনজীবী

হাওয়া যাবে তা নয়, এই বিভাগের শিক্ষার্থীরা বিভিন্ন পেশায় আছে। যেমন : বিসিএস ক্যাডার, ব্যাংক এবং বিভিন্ন সেক্টর। ‘ল’ শেষ করে অনেকগুলো পেশায় যাওয়ার সুযোগ থাকায় এ বিভাগের প্রতি মানুষের আগ্রহ ক্রমশ বেড়েই চলছে।

 

বার্তাবাজার: কোন বিভাগের শিক্ষার্থী আইন নিয়ে পড়তে পারবেন?

সামছুল আলম সাদ্দাম: যে কোনো ব্যাকগ্রাউন্ডের শিক্ষার্থী বা পেশাজীবীর আইন পড়ার সুযোগ আছে। সে বিজ্ঞানের ছাত্র হোক, মানবিক, বাণিজ্য কিংবা মাদ্রাসা

ব্যাকগ্রাউন্ডের হোক না কেন। প্রথমে আপনাকে এইচএসসি পাসের পর যে কোনো সরকারি অথবা বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে আইন অনুষদে ভর্তি হতে হবে। এখানে আপনাকে চার বছর মেয়াদি এলএলবি অনার্স সম্পন্ন করতে হবে। এক্ষেত্রে যে কোনো বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন অনুষদে ভর্তি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হতে হবে।

 

আপনি ইচ্ছা করলে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হতে পারেন। আর বাংলাদেশের প্রায় সব বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে আইনের জন্য এলএলবি অনার্স কোর্স চালু আছে। এখানে

পড়তে হলে প্রতিষ্ঠানভেদে খরচ পড়বে ৩ থেকে ৭ লাখ টাকা।

 

বার্তাবাজার: কর্ম জীবনে সুবিধা এবং অসুবিধা কেমন?

সামছুল আলম সাদ্দাম: আইন বিভাগের পাশ করা শিক্ষার্থীরা চাইলে পুলিশ ক্যাডার হতে পারে। আইন বিভাগের শিক্ষার্থীরা ব্যাংকার হতে পারে। আইন বিভাগ থেকে

বিসিএস ক্যাডারও হতে পারে। যে কোনো সেক্টরে তারা চাইলেই অবদান বা কাজ করার সামর্থ অর্জন করে। কিছু সময় এই বিষয়ে পড়াশোনা করলেই চাকরি হয়

এমনটা নয়। অনেক সময় পড়াশোনা শেষ করে ৪-৫ বছর বা তারও বেশি সময় ভোগান্তির শিকার হতে হয়। কখনো কখনো বেতন ছাড়াই দীর্ঘ দিন কাজ

করতে হয়।এই বিষয়টি অনেকের জন্য বড়ো একটি চ্যলেঞ্জিং বিষয় হয়ে দাড়ায়।

 

মো. কাওছার আলী: কোন প্রতিষ্ঠান গুলো আইনের জন্য ভালো হবে?

সামছুল আলম সাদ্দাম: আইন বিষয়ের ব্যাপক চাহিদা থাকায় বাংলাদেশের প্রায় সব বিশ্ববিদ্যালয়ে এ বিষয়ে পড়ার সুযোগ রয়েছে। পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে

অন্যতম হলো ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়, ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়, খুলনা

বিশ্ববিদ্যালয়, কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়, জাতীয় কবি কাজী নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়, গোপালগঞ্জ বঙ্গবন্ধু বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় ও বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ে।

 

এছাড়াও দেশের অনেক বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে অন্যতম হলো নর্থ সাউথ ইউনিভার্সিটি, ব্র্যাক ইউনিভার্সিটি, ড্যাফোডিল ইউনিভার্সিটি,

ঢাকা ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি, ইউনাইটেড ইউনিভার্সিটি, আমেরিকান ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি, স্টেট ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশসহ আরও অনেক

বিশ্ববিদ্যালয়ে। এছাড়া আপনি চার বছর মেয়াদি এলএলবি না করেও আইন পেশায় আসতে পারেন। এজন্য আপনাকে যে কোনো বিশ্ববিদ্যালয় অথবা কলেজ থেকে

অনার্স বা ডিগ্রি পাস করে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে যে কোনো ‘ল’ কলেজে দু’বছর এলএলবি (পাস) কোর্স করতে হবে।

 

মো. কাওছার আলী/বার্তাবাজার/আর এম সাফিন

বার্তা বাজার .কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
এই বিভাগের আরো খবর