প্রযুক্তির মাধ্যমে চোখের আলো ফিরে পাবে অন্ধ ব্যক্তি

পৃথিবীতে যারা জন্মগত অথবা জন্মের কোন কারণে অন্ধ হয়ে যায় তাদের জন্য আশার আলো হয়ে দেখা দিচ্ছে রেটিনাল ইমপ্লিমেন্ট। তবে হতাশার কথা হলো এ প্রযুক্তি অনেক ব্যয় বহুল হওয়া নিম্ন আয়ের বা সাধারণ মানুষের পক্ষে তা ব্যবহার করা অসম্ভব প্রায়। এই প্রযুক্তির মাধ্যমে শত শত মানুষ তাদের চোখের আলো ফিরে পাওয়ার চেষ্টা করছেন। ব্রেইন ইমপ্লান্ট বাস্তবায়নের জন্য আগ্রুস-২ বায়োনিক চোখ সেবা বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।

ন্যানো প্রিসিসন মেডিকেলের প্রধান নির্বাহী অ্যাডাম ম্যান্ডেলসন জানান, অন্ধ মানুষের জন্য আমরা কাজ করে যাচ্ছি। এখন আমাদের লক্ষ্য নিউরো স্টিমুলেশন প্রযুক্তির উন্নয়ন করা, যার মাধ্যমে অন্ধ ব্যক্তি তার চোখের আলো ফিরে পাবে।

আইইইই স্কেপট্রাম এর রিপোর্ট বলছে, সেকেন্ড সাইট প্রক্রিয়াটি বন্ধ করে দেওয়া হচ্ছে। যদিও দৃষ্টিশক্তিহীন ব্যক্তিদের দৃষ্টি ফেরানোর লক্ষ্যে ২০১৯ সালে আর্টিফিসিয়াল ভিশন নিয়ে যাত্রা শুরু করে। ২০২০ সালে সেকেন্ড সাইট প্রক্রিয়াটি ২০২০ সালের দিকে ব্যবসায়ীক কার্যক্রম বন্ধ করে দিয়েছে। তারা এখন ব্রেইন ডিভাইসের ওপর জোর দিয়েছে। যা বিশ্বে আর্টিফিশিয়াল ভিশন পূরণ করবে।

তবে এই প্রযুক্তিতে চোখের দৃষ্টিশক্তি ফেরানোর প্রক্রিয়া অত্যন্ত ব্যয়বহুল। এর পিছনে কিছু কারণ রয়েছে এ প্রযুক্তি ব্যবহারের জন্য প্রশিক্ষণের প্রয়োজন রয়েছে। এর জন্য প্রায় ১ লাখ ৫০ হাজার ডলার খরচ হবে। যা অনেকের পক্ষে ব্যয় করে এ সুবিধা গ্রহণ করা দুঃসাধ্য হবে।

মূলত গ্লানের উপর ক্যামের সংযুক্ত করা হবে এবং একটি ভিডিও প্রসেসিং ইউনিট (ভিপিইউ) থাকবে। ক্যামেরার সব বিষয় দেখে ভিপিআই এর কাছে একটি ভিডিও পাঠাবে। যেটি কনভার্ট করে ছবি আকারে সাদাকালো কিংবা রঙিন আকারে ব্যবহারকারীর গ্লাসে সতর্ক পাঠাবে। আর এই প্রক্রিয়ার মাধ্যমে অন্ধ ব্যক্তি সঠিক পথ নির্ণয় করতে সক্ষম হবে। এভাবেই উন্মোচিত হবে নতুন দিগন্ত।

বার্তাবাজার/এম আই

বার্তা বাজার .কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
এই বিভাগের আরো খবর