কুমিল্লার দাউদকান্দি উপজেলার স্বল্পপেন্নাই থেকে মুন্সিগঞ্জের গজারিয়া উপজেলার মেঘনা সেতু এলাকা পর্যন্ত ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে ২৯ কিলোমিটারজুড়ে তীব্র যানজট সৃষ্টি হয়েছে। মেঘনা–গোমতী ও মেঘনা দ্বিতীয় সেতুর সংযোগ সড়কের নির্মাণকাজ, উল্টো পথে এলোপাতাড়ি যানবাহন চলাচলের কারণে গত বৃহস্পতিবার বেলা তিনটা থেকে এ যানজটের সৃষ্টি।
ঘণ্টার পর ঘণ্টা যানজটে আটকা থেকে যাত্রী, চালক ও রোগীদের দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে।
দুর্ভোগে পড়েন দাউদকান্দি পৌর সদরে অবস্থিত ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন কলেজের প্রথম বর্ষের শতাধিক শিক্ষার্থী। প্রথম বর্ষের চূড়ান্ত পরীক্ষা দিতে গিয়ে নয় কিলোমিটার পথ হেঁটে ও উল্টো পথে যেতে হয়েছে তাঁদের।
চট্টগ্রাম থেকে ঢাকাগামী শ্যামলী পরিবহনের বাসের চালক আলতাফ হোসেন বলেন, আজ শনিবার সকাল সাতটায় দাউদকান্দির আমিরাবাদে এসে যানজটে আটকা পড়ে চার কিলোমিটার মহাসড়ক অতিক্রম করতে দুই ঘণ্টা সময় লেগেছে।
ফেনী থেকে ঢাকাগামী এনা পরিবহনের বাসের চালক নুরুল আফসার বলেন, কাউন্টার থেকে নির্দিষ্ট সময়ে নির্দিষ্ট গাড়ি চালানোর কারণে তিন ঘণ্টার পথ ১২ ঘণ্টায় অতিক্রম করায় কয়েক দিন ধরে না ঘুমিয়েই গাড়ি চালাতে হচ্ছে। তীব্র যানজটে দীর্ঘ সময় পথে আটকে থাকায় নারী ও শিশু যাত্রীদের যে কী অবস্থা হচ্ছে, তা ভাষায় প্রকাশ করার মতো নয়।
ফেনী থেকে ঢাকাগামী স্টার লাইন পরিবহনের বাসের চালক দৌলত হোসেন বলেন, কিছু চালকদের শৃঙ্খলার অভাবে অন্য চালক ও যাত্রীদের দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। সেতুর সংযোগ সড়কের কাজের জন্যও যানজট হচ্ছে।
চট্টগ্রাম থেকে ঢাকাগামী কাভার্ড ভ্যানের চালক আজগর হোসেন বলেন, যানজটের ভোগান্তি কোনো কোনো ব্যক্তির জন্য কত বেদনাদায়ক, কেউ যানজটে আটকে না থাকলে বুঝতে পারবে না।
দাউদকান্দি হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবুল কালাম আজাদ ও ভবেরচর হাইওয়ে ফাঁড়ির ওসি কবির হোসেন বলেন, যানবাহন চলাচল স্বাভাবিক করার চেষ্টা চলছে।
সূত্র: প্রথম আলো