একই পরিবারে আট জন্মান্ধ

গাজীপুরের শ্রীপুরের উজিলাব গ্রামের একটা পরিবারেই আটজন সদস্যের জন্ম হয়েছিল চোখের আলো ছাড়া। পরিবারের প্রধান হোসেন আলীর সঙ্গে ঠিক কোন সালে বিয়ে হয়েছিল, বলতে পারলেন না রাশিদা বেগম। তবে এটুকু বললেন, ‘বিয়া হইছিল স্বাধীনের দুই-আড়াই বছর পর।’

দুজনেরই বাড়ি গাজীপুরের শ্রীপুরের উজিলাব গ্রামে। হোসেন আলীর এক চোখ দৃষ্টিহীন। তাই বিয়েতে রাশিদার অমত ছিল। তবে বিয়ের পর ভিন্ন একজন মানুষ হিসেবে স্বামীকে আবিষ্কার করলেন। মোট কথা দাম্পত্যজীবনে সুখী হয়েছিলেন তাঁরা। অচিরেই সেই সুখের সংসারে এল এক সন্তান। একসময় বুঝতে পারলেন, তাঁদের বড় সন্তান আমির হোসেনের চোখে আলো নেই। বিষয়টিকে নিয়তির লিখন হিসেবেই মেনে নিলেন তাঁরা।

এরপর রাশিদা বেগম ও হোসেন আলীর সংসারে একে একে আসে আরও তিন সন্তান। সবাই দৃষ্টিপ্রতিবন্ধী। সেই সন্তানেরা এখন বড় হয়েছেন। তাঁদেরও সংসার হয়েছে। তবে দৃষ্টিপ্রতিবন্ধিতার ধারাটা তৃতীয় প্রজন্মেও চলে এসেছে। তাঁদেরই একজন জোনাকি আক্তার। বয়স ১০ বছর। গত ১৭ জানুয়ারি তার চোখে লেন্স বসানো হয়েছে। এখন দেখতে পায় জোনাকি। তাঁর পরিবারে দৃষ্টিপ্রতিবন্ধী অন্যরা হলেন জোনাকির বাবা জাকির হোসেন, বড় চাচা আমির হোসেন, বড় চাচি শিউলি আক্তার, ফুফু নাসরিন আক্তার ও হাসিনা আক্তার, ফুফাতো বোন রুপা, ফুফাতো ভাই মারুফ। তাঁদের মধ্যে সাতজন প্রতিবন্ধী ভাতা পাচ্ছেন।

মূলতঃ জিন বা ডিএনএ কেন্দ্রীক যে জটিলতা তা থেকেই এই ধরনের পর্যায়ক্রমে এইরকম সন্তান উত্তরাধিকারসূত্রে জন্মগ্রহন করে থাকে।

বার্তাবাজার/ এম এইচ আর

বার্তা বাজার .কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
এই বিভাগের আরো খবর