হাসপাতালে নবজাতক পাল্টে দেওয়ায় আসামি গ্রেপ্তার, অতঃপর

হবিগঞ্জ ২৫০ শয্যা আধুনিক জেলা সদর হাসপাতালে নবজাতক পাল্টে দেওয়ায় আজমিরীগঞ্জ উপজেলার শিবপাশা গ্রামের মাসুম চৌধুরী উপর অভিযোগ উঠেছে। আসামি মেয়ে নবজাতকের বাবা আজ বুধবার (২৭ জানুয়ারি) রাতে ছেলে নবজাতকটির বাবার দায়ের করা মামলার পরিপ্রেক্ষিতে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। ইচ্ছাকৃত ভাবেই তিনি নবজাতক বদল করেছিলেন বলে পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদে স্বীকার করেছেন।

হাসপাতালে কর্মরত চিকিৎসক ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, ২৫ জানুয়ারি মঙ্গলবার সকালে হাসপাতালে একটি ছেলে নবজাতকের জন্ম দেন জেলার শায়েস্তাগঞ্জ উপজেলার দেলোয়ার হোসেনের স্ত্রী ফেরদৌসী আক্তার। এর প্রায় ৩০ মিনিটি পরে সেখানে আরেকটি মেয়ে নবজাতকের জন্ম দেন আজমিরীগঞ্জ উপজেলার শিবপাশা গ্রামের মাসুম চৌধুরীর স্ত্রী। শিশুদের স্পেশাল কেয়ার নিউবর্ন ইউনিটে রাখা হয় দুটি নবজাতককেই। মায়েরা ভর্তি ছিলেন হাসপাতালের গাইনি ওয়ার্ডে।

এদিকে মাসুম মিয়া সকালে তার বাচ্চাকে দুধ খাওয়ানোর জন্য ওই ইউনিট থেকে মায়ের কাছে আনতে যান। এ সময় তিনি নিজের মেয়ে নবজাতককে না এনে নিয়ে আসেন ফেরদৌসী আক্তারের ছেলে নবজাতকটিকে। কিছুক্ষণ পর ফেরদৌসির স্বজনরা বাচ্চা আনতে গেলে দেখেন তাদের বাচ্চাটি নেই। এরপর তারা কান্নায় ভেঙে পড়েন ও বাচ্চা চুরি হয়েছে বলে হুলস্থূল শুরু করেন। পরে সংবাদ পেয়ে ঘটনাস্থলে আসে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ ও সদর মডেল থানার পুলিশ। দীর্ঘ ৬ ঘণ্টা এ নিয়ে গোলমালের পর বিকেল ৩টায় ফেরদৌসীর ছেলে বাচ্চাটিকে মাসুমের স্ত্রীর পাশে পাওয়া যায়। এ সময় পুলিশ যার যার নবজাতক তার তার হাতে তুলে দেয়। এ ঘটনায় মামলা দায়ের করেন ছেলে নবজাতকটির বাবা দেলোয়ার হোসেন।

হাসপাতালে মাসুমের মেয়ে শিশু জন্ম হওয়ায় তিনি সন্তুষ্ট ছিলেন না। এজন্য তিনি পাশের শয্যায় থাকা ছেলে নবজাতকটি ইচ্ছাকৃতভাবে চুরি করেছিলেন। ছেলে নবজাতকের বাবার দায়ের করা মামলায় তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মাসুক আলী এই সব কথা জানান

বার্তাবাজার/এম.এম

বার্তা বাজার .কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
এই বিভাগের আরো খবর