গৃহকর্মীকে অমানবিক নির্যাতন, জখমে মরিচের গুঁড়া!

রাজধাণীতে কলাবাগানের একটি ফ্ল্যাটে ফারজানা আক্তার নামে এক গৃহকর্মীকে বাথরুমে হাত-পা বেঁধে আটকে রেখে মধ্যযুগীয় নির্যাতন,সুধু তাই নয় মারধর করে জখমে মরিচের গুড়াও লাগিয়ে দিয়ে অমানবিক নির্যাতন করার অভিযোগ উঠেছে। ১৭ জানুয়ারি রাতে তাকে ওই বাসা থেকে উদ্ধার করা হয়।

সূত্রে জানা যায়, রাজধানীর এলিফ্যান্ট রোডের একটি বাসায় গৃহপরিচারিকার কাজ করতে গিয়ে এমন অমানবিক নির্যাতনের শিকার হন তিনি প্রায় সময়ই। শরীরের নানা জায়গায় জখমের যন্ত্রণা এবং পাশবিক নির্যাতনের দুঃসহ স্মৃতি নিয়ে রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালে দিন পার করছেন ফারজানা। অসহ্য যন্ত্রণা নিয়ে চিকিৎসাধীন এ অসহায় মেয়েটির অভিযোগ, মারধরের সময় চিৎকার করলে বা কাউকে বললে তার মা-বাবাকে মেরে ফেলার ভয় দেখানো হতো। তাই সে নীরবে সহ্য করে সব নির্যাতন।

ভুক্তভোগী ফারজানা আক্তার জানান, ‘তারা আমার পুরো শরীরে মেরেছে। বাথরুমে হাত-পা বেঁধে সারারাত আমাকে মেরেছে। আমি আপুকে বলেছি, আমি আর মার খেতে পারছি না। আমাকে আমার মায়ের কাছে দিয়ে দেন। একথা বলাতে আমাকে আরও বেশি মারধরের হুমকি দিত।’

সূত্রে আরো জানা যায়, ফারজানার ছোট বোনটিও মারধরেরও শিকার হয়েছেন। মেয়েটির মা জ্যোৎস্না বেগম জানান, অসচ্ছল পরিবারে মেয়ে দুটির ভালোর জন্য অন্যের বাসায় কাজে পাঠান তিনি। এমন পরিস্থিতিতে পরতে হবে কল্পনাতেও ভাবেননি তিনি। এদিকে এ ঘটনায় কলাবাগান থানায় দায়ের করা মামলার অভিযুক্ত গৃহকত্রী সামিয়া ইউসুফ সুমিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তিনি নির্যাতনের কথা স্বীকার করেছেন বলে জানায় র‌্যাব।

র‌্যাব ২ এর কমান্ডিং অফিসার লেফটেন্যান্ট কর্নেল আবু নাঈম মোহাম্মদ তালাত বলছেন, ‘আমরা ফারজানার যাবতীয় খোঁজখবর রাখছি। তার চিকিৎসায় যে সমস্ত সহযোগিতা প্রয়োজন র‌্যাব তার পাশে থাকবে। রাজধানীর হাজারীবাগে বসবাসরত অসহায় পরিবারটি এ ঘটনার জড়িতদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি জানান’

বার্তাবাজার/এম.এম