মালয়েশিয়ায় বাংলাদেশী কর্মীর বিপুল চাহিদা, লাখ টাকা ইনকামের সুযোগ

দেশের ২য় বৃহত্তম শ্রমবাজার এশিয়ার ইউরোপ খ্যাত মালয়েশিয়ায় করোনা ও বন্যার মত প্রাকৃতিক দূর্যোগেও বিভিন্ন সেক্টরে বাংলাদেশী শ্রমিক কর্মচারীদের চাহিদা বাড়ছেই। বিভিন্ন সেক্টরে কাজ করে বাংলাদেশীরা মাসে প্রায় লাখ টাকা আয় করছে। এতে বাড়ছে বাংলাদেশে পাঠানো রেমিট্যান্স প্রবাহ।

৩য় বারের মতো ক্ষমতায় এসে আধুনিক মালয়েশিয়ার রুপকার মাহাথির মোহাম্মদ একটি অনুষ্ঠানে বলেছিলেন, বাংলাদেশিরা খুবই কর্মঠ ও পরিশ্রমী, তারা যে কোন কাজ করতে পারে আর অপরদিকে মালয়েশিয়ানরা অলস তারা রোদে যেতে পারে না ভারী কাজ করতে পারে না।

এসময় মাহাথির মজা করে বলেন, মালয়েশিয়ান মেয়েরা যেভাবে বাংলাদেশী ছেলেদের বিয়ে করে সংসার করছে পরে মনে হয় আর মেয়েই খোঁজে পাবে না এদেশের ছেলেরা বিয়ের জন্য।

বাংলাদেশী কর্মীদের অব্যাহত চাহিদা বৃদ্ধির কারণে দীর্ঘ ৩ বছরেরও বেশি সময় কলিং ভিসা বন্ধ থাকার পর গত ডিসেম্বরে শুধু মাত্র বাংলাদেশেী কর্মী নিয়োগের জন্য দু’দেশের মন্ত্রী পর্যায়ে এমওইউতে চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে।

কোতাবারু প্রদেশের মিজান গ্র্যান্ড কনস্ট্রাকশন গ্রুপে কর্মরত কুমিল্লা ক্যান্টনমেন্ট এলাকার মোঃ মাইনুদ্দিন বলেন, মালয়েশিয়ায় সব সেক্টরের প্রচুর কর্মী প্রয়োজন। সবচেয়ে বেশি কর্মী প্রয়োজন নির্মান সেক্টরে। শ্রমিকের অভাবে কারখানা ও সার্ভিস সেক্টরে উৎপাদন ব্যাহত হচ্ছে। আর এই নির্মান সেক্টরে ইনকামও বেশে অন্যন্যা সেক্টর থেকে একজন সাধারণ কর্মী ৮ ঘন্টা বেসিক ডিউটি ও অভার টাইম করে ৩ থেকে ৫ হাজার রিংগিত আয় করছে। তবে যারা কাজ জানেন এবং এখানে সাব কনটাক্টরি করেন তাদের ইনকাম লক্ষাধিক টাকা।

মিজান গ্র্যান্ড কনস্ট্রাকশন কোম্পানির সুপারভাইজার চাঁদপুরের শহিদুল ইসলাম বলেন, আমি দীর্ঘ সময় ধরেই এ কোম্পানিতে কাজ করছি, অনেকে মনে করে কনস্ট্রাকশন সেক্টরে পরিশ্রম বেশি এটা আসলে সত্য নয়, কারণ এখানে কংক্রিট মিক্সিং থেকে পরিবহন সব কাজ করা হচ্ছে আধুনিক টেকনোলজির যন্ত্রপাতির সাহায্যে। পরিশ্রমের কাজ নেই।

তিনি আরো বলেন, এই নির্মান প্রজেক্টে সাড় ৩ থেকে ৪ হাজার রিংগিত মাসে আয় করা যাচ্ছে যা অন্য সেক্টরে এত ইনকাম হয় না।

মিজান গ্র্যান্ড এর স্বত্তাধিকারী বাংলাদেশী দাতু মিজানুর রহমান বলেন, আমার অর্ধশত কোটি টাকার ৮টি কনস্ট্রাকশন প্রজেক্ট চালু রয়েছে। আরও কৃষি খামার আছে বেশ কয়েক টি। এসব খাতে আরোও ২ হাজার কর্মী প্রয়োজন। বর্তমানে সহস্রাধিক কর্মী কর্মরত আছে। কিন্তু শ্রমিক সংকটের কারণে আমার প্রজেক্টের কাজ বেধে দেওয়া সময়ের মধ্যে এগিয়ে নিয়ে যেতে পারছি না তাই জরুরি ভিত্তিতে আমার প্রজেক্টের জন্য কর্মী প্রয়োজন।

মামুন/বার্তাবাজার/এ.আর

বার্তা বাজার .কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
এই বিভাগের আরো খবর